অনলাইন
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সেতু মন্ত্রী
নো হেলমেট-নো ফুয়েল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ
অনলাইন ডেস্ক
(৬ মাস আগে) ১৫ মে ২০২৪, বুধবার, ২:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৭ পূর্বাহ্ন
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদের আগের চেয়ে ঈদের পরে দুর্ঘটনা বেশি এবং মর্মান্তিক কিছু দুর্ঘটনা হয়েছে। এগুলো মন্ত্রী নয়, মানুষ হিসেবে আমাদেরকে কষ্ট দেয়। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি এতদিন। এ বছর ঈদে যে যানজট এবং দুর্ঘটনা, আগামী বছর এর চেয়ে কম হবে সেটিই তো টার্গেট। তার পরের বছর আরও কম হবে। সেটা যদি না হয় তাহলে আমরা এখানে কাজ করছি কেন। আমাদের টিম ওয়ার্কের সফলতাটা কোথায়? এগুলোর রেজাল্ট তো পাচ্ছি না। রেজাল্ট না পেলে এগুলো করে কী লাভ।
তিনি বলেন, সড়কে ৪৩ বছরের পুরনো গাড়ি কি করে চলে? এতদিন কি তাহলে বিআরটিএ ঘুমিয়ে ছিল? ঢাকা শহরে লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। গাড়িগুলো গরীব গরীব চেহারার। ঢাকার চেয়ে গ্রামের গাড়িগুলো ভালো। বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ) চেয়ারম্যানকে তো কেউ কিছু বলবে না। কথা তো শুনতে হয় আমাকে। বুধবার সকালে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর সদর দপ্তরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭ অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে এ সব কথা বলেন তিনি।
সেতু মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এত রাস্তা, সীমান্ত এলাকা এবং সমতল থেকে পাহাড়ে রাস্তা, যে দিকে যান সুন্দর সুন্দর রাস্তা। এত রাস্তা হওয়ার পরেও শৃঙ্খলা আসে না কেন? শৃঙ্খলা না থাকলে এসবের রেজাল্ট আমরা তো পাব না।
তিনি বলেন, আজকে ঢাকা সিটিতে আমরা মোটরসাইকেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখানে হেলমেট ছাড়া নরমালি দেখা যায় না, সবাই হেলমেট পরে এবং দুইজন আরোহী। কিন্তু ঢাকার বাইরে এর তেমন বাস্তবায়ন দেখা যায় না। যদি হেলমেট না থাকে, ডিসি-এসপিদের বলেন যে ওইসব এলাকায় কাউকে তেল দেয়া হবে না। খালি ঢাকা শহরে করলে তো হবে না, পুরো বাংলাদেশে করতে হবে নো হেলমেট, নো ফুয়েল। এই সিদ্ধান্ত আজকে আমরা নিলাম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ।
দূর্নীতিবাজ কোন সরকারি কর্মকর্তাদের শাস্তি দিতে তো দেখি না, তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে
ই-রিক্সা চালু করতে পারে ই-রিক্সা পরিবেশ বান্ধব নিরাপদ।
What's wrong with battery-operated vehicles? They are good for environment. Elon Musk's Tesla vehicles run on battery.
গাড়ির সীট বল্ট বাঁধা নিয়ে কি কোন আইন নেই? তাহলে কেন "নো সীট বেল্ট নো ফুয়েল" নয়?
সাবাস !!!! মাথা ব্যাথা তাই মাথা কেটে ফেলার পরামর্শ। এই সেক্টরের হাজার হাজার কর্মজীবিরা যে বেকার হয়ে অপরাধের সাথে জড়িত হবে সেই বুদ্ধিটা মাথায় আসে নাই !!!!!
প্রতিটি অটো রিকশাকে যথাযথ নম্বর প্রদান করে উন্নত দেশের মত নিবন্ধন করা হউক। এতে করে সরকার প্রায় ৫০ লক্ষ চলমান অটো রিকশা থেকে প্রতি বছর রাজস্ব আদায় করতে পারবে। যেটা এখন মাঠ পর্যায়ের সরকার দলীয় প্রার্থীদের নিকট হাত খরচ বাবদ যাচ্ছে। রাজস্ব খাতে এটি আসলে এদিকে আমরা যেমন জলবায়ু তহবিল থেকে ডলার পাব অন্য দিকে প্রচুর পরিমান রাজস্ব আদায় করা যাবে। প্রতিটি অটো যদি প্রথম রেজিষ্ট্রেশন খরচ ২০,০০০ টাকা হয় তবে, 20,000 গুন 50,00,000 লক্ষ অটো রিকশা যা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। আর প্রতি বছর যদি ৫০০০ টাকা নবায়ন ফি ধারা হয় তবে 50,00,000 গুন 5000 টাকা যা প্রায় 2500 কোটি টাকার সমান। সুতরাং অটো রিকশাকে বৈধতা দিলে সরকারের আয় বাড়াবে যা প্রশাসনিক খরচ যোগাতে সাহা্য্য করবে।
ব্যাটারি চালিত গাড়ি প্রস্তুত, আমদানি বন্ধ করলেই তো হয় ।
শুনতে ভাল লাগে। কার্যত তোড় বড়ি খাড়া খাড়া বড়ি তোড়! ঢাকা কুমিল্লা বা ঢাকা চট্রগ্রাম হাইওয়েতে আহর্নিশ এ সব ব্যাটারী চালিত রিক্সা উল্টো দিক থেকে চলে। হাইওয়ে পুলিশ এদের থামায় না। এমন সিদ্ধান্তে উপস্থিত শ্রমিক পক্ষের কর্তাব্যক্তিদের কোন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল না কেন? সময় মত উসকে দিয়ে সব পন্ড হোক এই যদি মনে থাকে তবে কি আর করা।
ফাজলামির একটা সিমা থাকা দরকার বেটারি চালিত রিক্সার আমদানি, বানানো এবং বিক্রয় করার অনুমতি থাকবে কিন্তু চালানোর অনুমতি থাকনে না।