খেলা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেখানে অনন্য সাকিব
স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ মে ২০২৪, বুধবার২০০৭ সালে প্রথমবার মাঠে গড়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম আসরে বাংলাদেশ দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও ভারত দলে ছিলেন রোহিত শর্মা। ছিপছিপে গড়নের সাকিব তখন আনকোরা এক অলরাউন্ডার আর রোহিত ব্যাটিং করেন লোয়ার্ড অর্ডারে। ১৫ দিন পর পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। প্রথম থেকে নবম, এই দু’জনই আছেন। এখন পর্যন্ত ৮ আসর মিলিয়ে ১১৯ ম্যাচ হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। যেখানে ৩৬ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় তার অবস্থান দুই নম্বরে। ৩৯ ম্যাচ নিয়ে সবার উপরে রোহিত। এরমধ্যে ৭ মাচ খেলেন অধিনায়ক হিসেবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের শিকার ৪৭ উইকেট। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তিনিই শীর্ষে। তালিকায় থাকা পরের ৬ জনের ৫ জন ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন আর বাকি একজন এবারের আসরে নেই। আর ৮ নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নিয়েছেন ১৬ ম্যাচে ৩১ উইকেট। ফলে এবারের আসর শেষে অতি নাটকীয় কিছু না হলে শীর্ষে সাকিবই থাকছেন।
বাংলাদেশের মধ্যে সাকিবের পর আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ আসরের ১৫ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে ২৭ নম্বরে থাকা এই পেসার এবারের দলেও আছেন। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সাকিবের অবস্থান ৮ নম্বরে। ২৩.৯৩ গড় আর ৩ ফিফটিতে ৭৪২ রান করেন তিনি। এই তালিকায় বাংলাদেশের জার্সিতে সবার উপরে। সাকিবের পরে থাকা তামিমের অবস্থান ২৮ নম্বরে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫১৪ রান। ২০০৭ সালে আনকোড়া সাকিব থেকে মাঝে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার হওয়া আর এখন ক্যারিয়ারের শেষ পর্বে চলে আসা। যেন একটা উপন্যাস! এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে ১৫ জনের অন্তত ৬ জন প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। এরমধ্যে অনেকেই হয়তো তখনো পেশাদার ক্রিকেটই খেলা শুরু করেননি। বিশ্বকাপে স্কোয়াডে বাংলাদেশে সবচেয়ে জুনিয়র সদস্য লেগ স্পিনার ২১ বছর বয়সী রিশাদ হোসেন। আর সবচেয়ে সিনিয়র ৩৮ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৭ বছর বয়সী সাকিবের চেয়ে তিনিই শুধু সিনিয়র এই স্কোয়াডে।
২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হয় সাকিবের। আগে ফিল্ডিং করা বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন তিনি। ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে করেন ৯ বলে ১৩ রান। সবমিলিয়ে ওই বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ৬৭ রানের সঙ্গে নেন ৬ উইকেট। ওই আসরে বাংলাদেশের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি উইকেট ছিল শুধু আব্দুর রাজ্জাকের (৭)।
২০০৯ সালে বিশ্বকাপটা ভালো কাটেনি সাকিবের। ২ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেন ১৫ রান আর নেন ২ উইকেট। ঠিক পরের বছর মাঠে গড়ায় আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই আসরেও মাত্র ২ ম্যাচ খেলার সুযোগ পান সাকিব। যেখানে ৭৫ রানের সঙ্গে শিকার করেন ৪ উইকেট। ২০১২ বিশ্বকাপেও সাকিবের খেলা ম্যাচের সংখ্যা ২। যেখানেও রান করেন ৯৫, তবে কোনো উইকেটের দেখা পাননি।
২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। ওই আসরে ৭ ম্যাচে ১৮৬ রান করেন সাকিব। বল হাতে নেন ৮ উইকেট। ৮ রান খরচায় ৩ উইকেট ওই আসরে তার সেরা বোলিং ফিগার। ২০১৬ সালে সাকিব ভারতে হওয়া বিশ্বকাপে সাকিব খেলেন ৭ ম্যাচ। সেখানে ১২৯ রানের সঙ্গে শিকার করেন ১১ উইকেট। ৯ রান খরচার ৪ উইকেট ওই আসরে এই বাঁহাতি স্পিনারের সেরা বোলিং ফিগার।
২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অধীনে ওই আসরে ৬ ম্যাচে ১৩১ রান করেন সাকিব। আর বল হাতে নেন ৬ উইকেট। আর সর্বশেষ গত আসরে অধিনায়ক হিসেবে খেলেন সাকিব। যেখানে ৫ ম্যাচে ৪৪ রান করেন আর নেন ৬ উইকেট।