দেশ বিদেশ
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দুই অগ্রাধিকার
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৭ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবারঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারিত্বকে আরও শানিত করতে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এই দুই ইস্যুকে অগ্রাধিকারে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমমানের উন্নতি, ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ও মহামারি সামাল দেয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রটি। ওয়াশিংটন প্রণীত রাষ্ট্রভিত্তিক সমন্বিত কৌশল বা আইসিএস-এ বাংলাদেশ নিয়ে এমন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং দেশগুলোর জোট জাতিসংঘের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আগামী দিনের সম্পর্কের ফোরকাস্ট হচ্ছে ওই আইপিএস। যার বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কেমন হবে তার বর্ণনা দেয়া ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পাশাপাশি বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অবদানে সক্ষমতা বাড়ানো এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে সহায়তার মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের ১৮০টি দেশ এবং ভিয়েনা, রোম ও জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘের ৩টি মিশনের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (ইউএসএআইডি) সঙ্গে মিলে ইন্ট্রিগ্রেটেড কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি বা আইসিএস নামে ওই পজিশন পেপার তৈরি করা হয়েছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত ওই পজিশন পেপারে বলা হয়, একটি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ওই দেশে কর্মরত মার্কিন মিশন প্রধান লক্ষ্য ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে আইসিএস বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেবে। আইসিএস এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে ৪টি পর্ব রয়েছে। ২১ পৃষ্ঠার ওই পজিশন পেপারের মিশন প্রধানের অগ্রাধিকার, মিশনের কৌশলগত রূপরেখা, মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং মিশনের ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যের বিষয়গুলো আলাদা আলাদাভাবে সবিস্তারে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকায় মার্কিন মিশন প্রধানের প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার জোরালো করতে হবে।