দেশ বিদেশ
শিক্ষক উৎপল হত্যা: আদালতে দায় স্বীকার আশরাফুলের
স্টাফ রিপোর্টিার
৭ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবারআশুলিয়ার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আশরাফুল আহসান জিতুকে প্রেমে বাধা দেয়ার অভিযোগে শিক্ষক উৎপল কুমারকে (সরকার) হত্যা করার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। পরে সিজেএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আশরাফুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আশরাফুল বলেছেন, তার প্রেমিকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অনেক দিন থেকে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক। দু’জন একসঙ্গে কলেজে ঘোরাঘুরি করতেন। হত্যাকাণ্ডের তিনদিন আগে আশরাফুল তার প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে কেক খাচ্ছিলেন। তখন সেখানে আসেন কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার। তিনি আশরাফুল ও তার প্রেমিকাকে বকাবকি করেন।
এ ঘটনার পর শিক্ষক উৎপল কুমার আশরাফুল ও তার প্রেমিকার অভিভাবকের কাছে অভিযোগ দেন। এর জের ধরে আশরাফুলের প্রেমিকার কলেজে আসা বন্ধ করে দেন। জবানবন্দিতে আশরাফুল বলেন, পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়ি থেকে একটি ক্রিকেট খেলার স্টাম্প নিয়ে সেদিন কলেজে আসেন। শ্রেণিকক্ষের পেছনে সেটি লুকিয়ে রাখেন। কলেজ মাঠে ছাত্রীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালে শিক্ষক উৎপল কুমারকে মাঠের এক কোনে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্টাম্প দিয়ে অতর্কিত তাকে বেধড়ক আঘাত করেন। শিক্ষক উৎপলকে প্রথমে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করা হয়। তখন অপর কলেজ শিক্ষক শরীফ আশরাফুলকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তবে মাটিতে লুটিয়ে পড়া শিক্ষক উৎপলকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলে আশরাফুল পালিয়ে যান। তিনি পালিয়ে প্রথমে মানিকগঞ্জ যান। পরে চলে যান পাবনায়। পরে সেখান থেকে গাজীপুরের শ্রীপুরে আসেন। গত ২৫শে জুন সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল ও কলেজে ছাত্রীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন আশরাফুল আহসান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিক্ষক উৎপল কুমারের মৃত্যু হয়।