ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ শাবান ১৪৪৬ হিঃ

দেশ বিদেশ

ক্ষমতাসীনরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চাঁদাবাজির কারখানায় পরিণত করেছে: চরমোনাই পীর

স্টাফ রিপোর্টার
৩ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

ক্ষমতাসীন দল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চাঁদাবাজি ও মাস্তানির কারখানায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে জড়িত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি ও মাস্তানির কারখানায় পরিণত করে শিক্ষার মাজা ভেঙে দেয়া হয়েছে। এর জন্য দায়ী ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলো।
মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রেজাউল করীম বলেন, দেশ ক্রমেই ভয়াবহতার দিকে এগুচ্ছে। আধিপত্যবাদী শক্তি দেশকে গিলে খাওয়ার চক্রান্ত করছে। সীমান্ত উত্তপ্ত করা হচ্ছে। ভারতের প্রেসক্রিপশনে দেশ চলছে। এজন্য দেশ থেকে ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুনকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হচ্ছে। ইসলামের বিধি-বিধান পালন করলে তাদেরকে বিভিন্ন ট্যাগ দেয়া হয়। বিরানব্বই ভাগ মানুষের চিন্তা-চেতনাকে পাশ কাটিয়ে ভিনদেশি ধ্যান-ধারণা, সংস্কৃতি চাপানোর চেষ্টা সুখকর হবে না। শিক্ষা সিলেবাসকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে শরিফ থেকে শরিফার গল্পের নামে সমকামিতাকে প্রমোট করার চেষ্টা থেকে ফিরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনীতি নিষিদ্ধ। হঠাৎ করে তা আদালতের মাধ্যমে চালু করে উত্তপ্ত করে তুলছে কার ইঙ্গিতে? মেধাবী ছাত্ররা দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে চায়। তারা জ্ঞানের চর্চায় বিশ্বাসী, তারা ভবিষ্যতের জন্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে চায়। ছাত্ররা রাজনীতি না চাইলে তাদেরকে জোর করে রাজনীতিতে নিয়ে এসে শিক্ষাঙ্গনকে উত্তপ্ত করার মানে হয় না। আমাদের পেছনে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে, যারা দেশ পরিচালনা করে, তাদের দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম ও জ্ঞানের অভাব। তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। আর যেন আবরারদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। চরমোনাই পীর বলেন, শিক্ষার সঙ্গে ধর্মীয় দীক্ষা না থাকলে মানুষ দুর্নীতিমুক্ত হতে পারে না। সরকারে শিক্ষিত মানুষের অভাব নাই, কিন্তু ইসলামে দীক্ষিত মানুষের বড়ই অভাব। তাই দেশ আজ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এজন্য শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক থাকলে দেশের এমন পরিস্থিতি হতো না। 
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।

 

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status