আদালতের রায় আবরারের হত্যাকারীদের উৎসাহিত করেছে: রিজভী

 হাইকোর্ট কর্তৃক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিতের প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আদালতের রায়ে আবরারের হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। এখন বাড়ি থেকে বের হবো কিনা তা আদালত নির্ধারণ করে দেবে। সোমবার নয়াপল্টনে রিকশা শ্রমিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে শ্রমিক দল।

রিজভী বলেন, দেশে এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাই আইন। তিনি যদি কাউকে ১৫ বছরের সাজা দিতে বলেন আদালত তাকে সেই সাজা দিয়ে দেবে। দেশে ন্যায়বিচার থাকলে আজকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কারাগারে থাকতেন আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকতেন।

তিনি বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার দেশের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছিল বলে তাকে ছাত্রলীগ নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিল। তার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছিল গোটা জাতি। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করেছিল। তাদের সন্ত্রাসের রাজনীতি বন্ধ করার জন্য শিক্ষার্থীরা বার বার আন্দোলন করছে। অথচ আজ আমরা দেখলাম আবরারের হত্যাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন আদালত।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ডামি সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি পৃষ্ঠ, নির্যাতিত নিম্ন আয়ের মানুষ। এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে শ্রমিক ও ছাত্র দুই শক্তি দাঁড়াতে পারছি না। তাই লুটপাটের কাহিনি দেখতে হচ্ছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তার কতো অবৈধ সম্পদ তা গণমাধ্যমে দেখতে হচ্ছে। তিনি বলেন, তার নির্দেশে বিএনপি নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল, গুম করা হয়েছিল। আর তাকে অবাধে টাকা উপার্জন করার সুযোগ দিয়েছে সরকার। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বাজার এখন নিয়ন্ত্রণহীন।

ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ তালুকদার, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, ওলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কায়সার, জাকির হোসেন, ছাত্রদলের রাজু আহমেদ প্রমুখ।