বিশ্বজমিন
রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে এলসি খুলতে অস্বীকৃতি পাকিস্তানি সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২ জুলাই ২০২২, শনিবার, ৪:৪৫ অপরাহ্ন
ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে মস্কোর বিরুদ্ধে দেয়া যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে রাশিয়ায় উত্তোলিত অশোধিত তেল কেনার জন্য লেটারস অব ক্রেডিট বা এলসি খুলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পাকিস্তানি সব বাণিজ্যিক ব্যাংক। দ্য নিউজ’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বলেছে, রাশিয়ান অশোধিত তেল আমদানি করতে গিয়ে এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারে পেমেন্ট দেয়া সম্ভব নয়। তবে পাকিস্তান সরকার যদি রাশিয়ার সঙ্গে ‘জি-টু-জি’ বা সরকার-টু-সরকারের মধ্যে তেল আমদানিতে রাশিয়ান মুদ্রা রুবেলে দাম পরিশোধের ব্যবস্থা করতে পারে এবং তাতে যদি পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করে, তাহলে রিফাইনারি বা শোধনাগারগুলো শতকরা ১৫ থেকে ৩০ ভাগ অশোধিত তেল নিতে পারে।
অন্যদিকে তেল শোধনাগারগুলো আবু ধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি, আরামককো, কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সঙ্গে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে আছে। এই চুক্তি অশোধিত তেল আমদানির। উপরন্তু রাশিয়ার বন্দর থেকে ফ্রেইট পরিবহনে বর্তমানে খরচ পড়ে ৩০ লাখ থেকে ৩৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের বন্দর থেকে এ খরচ ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ ডলার। রাশিয়া থেকে কৃষ্ণ সাগর হয়ে সরবরাহ আসতে সময় লাগে ১৬ থেকে ২৬ দিন। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে এই সময় লাগে ৪ থেকে ৫ দিন।
এর অর্থ হলো রাশিয়ার বন্দর থেকে করাচি পর্যন্ত প্রতি ব্যারেল তেলের ফ্রেইট চার্জ পড়ে ৮ ডলার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে একই পরিমাণ তেলের ফ্রেইট চার্জের ৮ থেকে ১২ গুন বেশি এই চার্জ।