দেশ বিদেশ
চট্টগ্রামে নকল ডিমের ছড়াছড়ি, আতঙ্ক
চট্টগ্রাম থেকে সংবাদদাতা
৩ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
নকল ডিম ছেয়ে গেছে চট্টগ্রামে। প্লাস্টিক পদার্থ ও কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি এসব নকল ডিম নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রথম দেখায় বুঝার উপায় নেই কোন ডিমটি আসল আর কোনটি নকল। ফলে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। ইতিমধ্যে নগরীর ও জেলার কয়েক এলাকায় হাজার হাজার নকল ডিম উদ্ধার করেছে প্রশাসন। সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ডিমের পাইকারি বাজারে আসল ডিমের সঙ্গে ছড়িয়ে দিয়েছে নকল ডিম। অধিক মুনাফার লোভে প্রতারক চক্রটি প্রোটিনযুক্ত এ খাদ্যটি নকল করতে শুরু করেছে। সাধারণ দোকান থেকে অভিজাত শপিং মলেও মিলছে নকল ডিম।
নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার আফমি প্লাজার আগোরা সুপার সপেও নকল ডিম বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সুবর্ণা তুলি নামের এক স্কুল শিক্ষিকা ডিম কিনে নিয়ে আট মাসের বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় বিষয়টি আঁচ করতে পারেন।
তিনি জানান, আমি আগোরার কার্ডধারী গ্রাহক। মানসম্পন্ন পণ্যের জন্য বেশি দামে আফমি প্লাজার আগোরা সুপার শপ থেকে কেনাকাটা করি। বিশেষ করে সন্তানের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে সবসময় ভালো সপ থেকে মান সম্পন্ন পণ্য কেনার চেষ্টা করি। বাজারের যেখানে প্রতিটি ডিম ৮ টাকা সেখানে রেনেটা কোম্পানির প্রতিটি ২৫ টাকায় কিনেছিলাম। কিন্তু সন্তানের খাবার তৈরির সময় ডিম ভাঙার পরে দেখি ডিমের কুসুমটি শক্ত। পরে ডিমের কুসুমের রঙও বদলাতে থাকে। অস্বাভাবিক মনে হলো। তিনি বলেন, সঙ্গে সঙ্গে আমি আগোরায় ফোন করে বিষয়টি জানাই। তারা আমাকে ডিমগুলো সুপারসপে ফেরত নিয়ে যেতে বলেন। পরে আগোরায় গিয়ে বিক্রয়কর্মীদের নকল ডিমগুলো দেখালাম। তারা আমাকে একটি অভিযোগ ফরম দেন, তা পূরণ করে বাসায় চলে আসি।
গত সোমবার তিনি আগোরা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ডিমের পরিবেশক ওই গ্রাহকের কাছে টেলিফোনে দুঃখ প্রকাশ করেন। এদিকে সম্প্রতি জেলার পটিয়া উপজেলা কামাল বাজারের শাহ আমির পোল্ট্রি ফার্ম নামের একটি দোকান থেকে পুলিশ নকল ডিম সন্দেহে ৩ হাজার জব্দ করেছে। পরে আদালতে পাঠালে আদালত ডিমগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৮শে জুলাই পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক (বোয়ালখালী) মো. মনির হোসেন দোকান থেকে ৬টি ডিম কিনে বাসায় গিয়ে নুডলস বানাতে গিয়ে ডিম ভেঙে দেখেন এসব ডিম কেমিক্যাল ও প্লাস্টিকের তৈরি নকল ডিম। বিচারক তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় ডিম উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং মো. আরমান (২৩) নামের এক যুবককে আটক করে। পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামতুল্লাহ জানান, নকল সন্দেহে জব্দ ডিমগুলো পরীক্ষার জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগে পাঠিয়েছে পটিয়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ডিমগুলো পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ অফিসে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রিয়াজুল হক বলেন, ডিমগুলো ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করা হবে।
নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার আফমি প্লাজার আগোরা সুপার সপেও নকল ডিম বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সুবর্ণা তুলি নামের এক স্কুল শিক্ষিকা ডিম কিনে নিয়ে আট মাসের বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় বিষয়টি আঁচ করতে পারেন।
তিনি জানান, আমি আগোরার কার্ডধারী গ্রাহক। মানসম্পন্ন পণ্যের জন্য বেশি দামে আফমি প্লাজার আগোরা সুপার শপ থেকে কেনাকাটা করি। বিশেষ করে সন্তানের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে সবসময় ভালো সপ থেকে মান সম্পন্ন পণ্য কেনার চেষ্টা করি। বাজারের যেখানে প্রতিটি ডিম ৮ টাকা সেখানে রেনেটা কোম্পানির প্রতিটি ২৫ টাকায় কিনেছিলাম। কিন্তু সন্তানের খাবার তৈরির সময় ডিম ভাঙার পরে দেখি ডিমের কুসুমটি শক্ত। পরে ডিমের কুসুমের রঙও বদলাতে থাকে। অস্বাভাবিক মনে হলো। তিনি বলেন, সঙ্গে সঙ্গে আমি আগোরায় ফোন করে বিষয়টি জানাই। তারা আমাকে ডিমগুলো সুপারসপে ফেরত নিয়ে যেতে বলেন। পরে আগোরায় গিয়ে বিক্রয়কর্মীদের নকল ডিমগুলো দেখালাম। তারা আমাকে একটি অভিযোগ ফরম দেন, তা পূরণ করে বাসায় চলে আসি।
গত সোমবার তিনি আগোরা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ডিমের পরিবেশক ওই গ্রাহকের কাছে টেলিফোনে দুঃখ প্রকাশ করেন। এদিকে সম্প্রতি জেলার পটিয়া উপজেলা কামাল বাজারের শাহ আমির পোল্ট্রি ফার্ম নামের একটি দোকান থেকে পুলিশ নকল ডিম সন্দেহে ৩ হাজার জব্দ করেছে। পরে আদালতে পাঠালে আদালত ডিমগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৮শে জুলাই পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক (বোয়ালখালী) মো. মনির হোসেন দোকান থেকে ৬টি ডিম কিনে বাসায় গিয়ে নুডলস বানাতে গিয়ে ডিম ভেঙে দেখেন এসব ডিম কেমিক্যাল ও প্লাস্টিকের তৈরি নকল ডিম। বিচারক তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় ডিম উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং মো. আরমান (২৩) নামের এক যুবককে আটক করে। পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামতুল্লাহ জানান, নকল সন্দেহে জব্দ ডিমগুলো পরীক্ষার জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগে পাঠিয়েছে পটিয়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ডিমগুলো পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ অফিসে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রিয়াজুল হক বলেন, ডিমগুলো ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করা হবে।