বিনোদন
শোক
২৯ মার্চ ২০১৭, বুধবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন
নাসিরউদ্দিন দিলু
মিজু আহমেদের মৃত্যুর সংবাদটা শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি। এমন গুণী ও মেধাবী অভিনেতা আমরা খুব সহজে চলচ্চিত্রে পাব না।
কাজী হায়াৎ
আমারও একই ট্রেনে দিনাজপুরে ‘মানুষ কেনো অমানুষ’ ছবির শুটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমলাপুরে আমি ট্রেনটি মিস করি। আমাকে ট্রেনে ওঠার পর মিজু আহমেদ ফোন দিয়ে জানতে চাইলো, তুমি আসবা না? জবাবে আমি বলেছিলাম, তুমি এগুতে থাকো। আমি গাড়ি নিয়ে হলেও দিনাজপুরে পৌঁছে যাব। দেখা হবে। কিন্তু তারমধ্যে এই দুঃসংবাদ শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল আমার। আমার পরিচালনায় বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন মিজু। তারমধ্যে দুটি ছবিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। অনেক গুণী একজন অভিনেতাকে আমরা হারালাম।
মিশা সওদাগর
আমি উত্তরায় ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘মনে রেখো’ ছবির কাজ করছিলাম। হঠাৎ দুঃসংবাদটি পাওয়ামাত্র শুটিং রেখে ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনে আসলাম। এরপর দ্রুত তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিলাম। কিন্তু তার আগেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আমি নিশ্চুপ হয়ে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলাম। কিছুই করতে পারলাম না তার জন্য। তার মৃত্যুতে শুধু আমি না, পুরো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি আজ শোকাহত।
ইলিয়াস কাঞ্চন
তিনি আমার অনেকদিনের সহকর্মী। কিছুতেই মানতে পারছি না মিজু আহমেদ নেই। কথা বলতে পারছি না। চলচ্চিত্রে একসঙ্গে পথচলার এ মানুষটি নেই, এটা ভাবতেই পারছি না।
চম্পা
মিজু ভাইয়ের মারা যাওয়ার খবরটি পাওয়ার কিছুক্ষণ আগেও আমি তার অভিনীত ‘বাপ বেটা ৪২০’ ছবিটি দেখছিলাম। ছবিটি দেখতে দেখতে ভাবছিলাম এত ভালো অভিনয় কিভাবে করতে পারে একজন মানুষ। আমিও তো সেখানে অভিনয় করেছিলাম। শুটিং স্পটেই দেখেছিলাম কিভাবে নিজের চরিত্রটি নিয়ে ভেবেছেন তিনি। মনে পড়ছিল সেই ছবির এসব কথা। কিন্তু এসময় এমন একটি খবর পেলাম যেটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
আলীরাজ
মিজু ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি। এই তো সেদিন একসঙ্গে অভিনয় করেছি ‘উত্তর-দক্ষিণ’ নামের একটি ছবিতে। এখানে আমার দুজন কেবল মারামারি করতাম। তার সঙ্গে কত স্মৃতি আমার। আমি প্রার্থনা করি যেখানেই থাকুন তিনি ভালো থাকুন।
ওমর সানী
এই তো সেদিনও দিতি আপার মৃত্যুর এক বছর পালন করছিলাম এফডিসিতে। মিজু ভাই এসেছিলেন। দিতি আপাকে নিয়ে কথা বলার কিছুদিনের মধ্যে তিনিও চলে গেলেন। মিজু ভাইয়ের প্রথম প্রযোজনার ছবি ‘চালবাজ’-এ আমি অভিনয় করেছি। তিনি আমার উপর ভরসা করেছিলেন আমার চলচ্চিত্র জীবনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত। চলচ্চিত্রে তিনি আমার অভিভাবকতুল্য ছিলেন। এমন মানুষ আমি আর কোথায় পাবো।
মৌসুমী
মিজু ভাইয়ের সঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে। তিনি নেই এটা ভাবতেই পারছি না। আপনজনরা কাছ থেকে এক এক করে চলে যাচ্ছেন। আমি মিজু ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
মুশফিকুর রহমান গুলজার
ভাবতেই পারছি না মিজু ভাই নেই। এই তো সেদিন জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস পালন নিয়ে আমরা মিটিং করলাম। আজ তিনি নেই, ভাবা যায়? তিনি একজন উঁচু মাপের অভিনেতা। তিনি শুধু অভিনেতাই নন একজন সফল সংগঠকও। তার অকাল মৃত্যুতে চলচ্চিত্র শিল্প একজন গুণী মানুষকে হারালো।
শাকিব খান
গুণী অভিনেতা চলে গেলে তার অভাব অপূরণীয় থাকে। একজন শক্তিশালী অভিনেতা হারালাম আমরা। ভুলতে পারছি না। দু’দিন আগেও ‘অহংকার’ ছবির সেটে একসঙ্গে কাজ করেছি। আজ আমি দেশে নেই। ছবির কাজে ভারতে এসেছি। মিজু ভাইয়ের আত্মার শান্তির জন্য মাগফেরাত কামনা করছি।
শাহাদাৎ হোসেন লিটন
মিজু ভাই আমার পরিচালনায় ‘অহংকার’ ছবির কাজ গতকাল শেষ করেছেন। আমার ছবির কাজ শেষ করেই আহমেদ ইলিয়াসের নতুন ছবি ‘মানুষ কেনো অমানুষ’-এর শুটিংয়ের জন্য তিনি দিনাজপুর রওনা করেন। আমাকে বারবার বলছিলেন, সব কাজ ঠিকভাবে শেষ হয়েছে তো। আমি কিন্তু দিনাজপুর বেশ কয়েক দিন থাকব। আমাকে আর পাবা না। ভাবতেই অবাক লাগছে আমার পরিচালনার ছবিটিই তার শেষ অভিনীত ছবি হয়ে থাকবে।
অপু বিশ্বাস
চলচ্চিত্রের শুরু থেকে তাকে পেয়েছি আমি। অনেক গুণী অভিনেতার পাশাপাশি ভালো একজন মানুষ ছিলেন। অনেক আদর করতেন আমাকে। তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবক হারালাম। আমি গভীরভাবে শোকাহত।
সাইমন
অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন। ওনার সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছুই শিখেছি।
বাপ্পি
আপন মানুষগুলো দ্রুত চলে যাচ্ছে। এটা মেনে নিতে পারছি না।
পরীমনি
‘আপন মানুষ’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছি। কিছুদিন পর ছবিটি মুক্তি পাবে। কিন্তু মিজু আঙ্কেল থাকবেন না। ভাবতেই পারছি না।
মিজু আহমেদের মৃত্যুর সংবাদটা শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি। এমন গুণী ও মেধাবী অভিনেতা আমরা খুব সহজে চলচ্চিত্রে পাব না।
কাজী হায়াৎ
আমারও একই ট্রেনে দিনাজপুরে ‘মানুষ কেনো অমানুষ’ ছবির শুটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমলাপুরে আমি ট্রেনটি মিস করি। আমাকে ট্রেনে ওঠার পর মিজু আহমেদ ফোন দিয়ে জানতে চাইলো, তুমি আসবা না? জবাবে আমি বলেছিলাম, তুমি এগুতে থাকো। আমি গাড়ি নিয়ে হলেও দিনাজপুরে পৌঁছে যাব। দেখা হবে। কিন্তু তারমধ্যে এই দুঃসংবাদ শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল আমার। আমার পরিচালনায় বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন মিজু। তারমধ্যে দুটি ছবিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। অনেক গুণী একজন অভিনেতাকে আমরা হারালাম।
মিশা সওদাগর
আমি উত্তরায় ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘মনে রেখো’ ছবির কাজ করছিলাম। হঠাৎ দুঃসংবাদটি পাওয়ামাত্র শুটিং রেখে ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনে আসলাম। এরপর দ্রুত তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিলাম। কিন্তু তার আগেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আমি নিশ্চুপ হয়ে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলাম। কিছুই করতে পারলাম না তার জন্য। তার মৃত্যুতে শুধু আমি না, পুরো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি আজ শোকাহত।
ইলিয়াস কাঞ্চন
তিনি আমার অনেকদিনের সহকর্মী। কিছুতেই মানতে পারছি না মিজু আহমেদ নেই। কথা বলতে পারছি না। চলচ্চিত্রে একসঙ্গে পথচলার এ মানুষটি নেই, এটা ভাবতেই পারছি না।
চম্পা
মিজু ভাইয়ের মারা যাওয়ার খবরটি পাওয়ার কিছুক্ষণ আগেও আমি তার অভিনীত ‘বাপ বেটা ৪২০’ ছবিটি দেখছিলাম। ছবিটি দেখতে দেখতে ভাবছিলাম এত ভালো অভিনয় কিভাবে করতে পারে একজন মানুষ। আমিও তো সেখানে অভিনয় করেছিলাম। শুটিং স্পটেই দেখেছিলাম কিভাবে নিজের চরিত্রটি নিয়ে ভেবেছেন তিনি। মনে পড়ছিল সেই ছবির এসব কথা। কিন্তু এসময় এমন একটি খবর পেলাম যেটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
আলীরাজ
মিজু ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি। এই তো সেদিন একসঙ্গে অভিনয় করেছি ‘উত্তর-দক্ষিণ’ নামের একটি ছবিতে। এখানে আমার দুজন কেবল মারামারি করতাম। তার সঙ্গে কত স্মৃতি আমার। আমি প্রার্থনা করি যেখানেই থাকুন তিনি ভালো থাকুন।
ওমর সানী
এই তো সেদিনও দিতি আপার মৃত্যুর এক বছর পালন করছিলাম এফডিসিতে। মিজু ভাই এসেছিলেন। দিতি আপাকে নিয়ে কথা বলার কিছুদিনের মধ্যে তিনিও চলে গেলেন। মিজু ভাইয়ের প্রথম প্রযোজনার ছবি ‘চালবাজ’-এ আমি অভিনয় করেছি। তিনি আমার উপর ভরসা করেছিলেন আমার চলচ্চিত্র জীবনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত। চলচ্চিত্রে তিনি আমার অভিভাবকতুল্য ছিলেন। এমন মানুষ আমি আর কোথায় পাবো।
মৌসুমী
মিজু ভাইয়ের সঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে। তিনি নেই এটা ভাবতেই পারছি না। আপনজনরা কাছ থেকে এক এক করে চলে যাচ্ছেন। আমি মিজু ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
মুশফিকুর রহমান গুলজার
ভাবতেই পারছি না মিজু ভাই নেই। এই তো সেদিন জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস পালন নিয়ে আমরা মিটিং করলাম। আজ তিনি নেই, ভাবা যায়? তিনি একজন উঁচু মাপের অভিনেতা। তিনি শুধু অভিনেতাই নন একজন সফল সংগঠকও। তার অকাল মৃত্যুতে চলচ্চিত্র শিল্প একজন গুণী মানুষকে হারালো।
শাকিব খান
গুণী অভিনেতা চলে গেলে তার অভাব অপূরণীয় থাকে। একজন শক্তিশালী অভিনেতা হারালাম আমরা। ভুলতে পারছি না। দু’দিন আগেও ‘অহংকার’ ছবির সেটে একসঙ্গে কাজ করেছি। আজ আমি দেশে নেই। ছবির কাজে ভারতে এসেছি। মিজু ভাইয়ের আত্মার শান্তির জন্য মাগফেরাত কামনা করছি।
শাহাদাৎ হোসেন লিটন
মিজু ভাই আমার পরিচালনায় ‘অহংকার’ ছবির কাজ গতকাল শেষ করেছেন। আমার ছবির কাজ শেষ করেই আহমেদ ইলিয়াসের নতুন ছবি ‘মানুষ কেনো অমানুষ’-এর শুটিংয়ের জন্য তিনি দিনাজপুর রওনা করেন। আমাকে বারবার বলছিলেন, সব কাজ ঠিকভাবে শেষ হয়েছে তো। আমি কিন্তু দিনাজপুর বেশ কয়েক দিন থাকব। আমাকে আর পাবা না। ভাবতেই অবাক লাগছে আমার পরিচালনার ছবিটিই তার শেষ অভিনীত ছবি হয়ে থাকবে।
অপু বিশ্বাস
চলচ্চিত্রের শুরু থেকে তাকে পেয়েছি আমি। অনেক গুণী অভিনেতার পাশাপাশি ভালো একজন মানুষ ছিলেন। অনেক আদর করতেন আমাকে। তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবক হারালাম। আমি গভীরভাবে শোকাহত।
সাইমন
অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন। ওনার সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছুই শিখেছি।
বাপ্পি
আপন মানুষগুলো দ্রুত চলে যাচ্ছে। এটা মেনে নিতে পারছি না।
পরীমনি
‘আপন মানুষ’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছি। কিছুদিন পর ছবিটি মুক্তি পাবে। কিন্তু মিজু আঙ্কেল থাকবেন না। ভাবতেই পারছি না।