এক্সক্লুসিভ

একজন হায়দার আকবর খান রনো

বেলায়েত হোসাইন

১৯ জুলাই ২০১৬, মঙ্গলবার, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন

হায়দার আকবর খান রনো। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা। নড়াইল জেলায় এক রাজনৈতিক পরিবারের দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জন্ম হয়েছিল বলে তার ডাকনাম রাখা হয়েছিল রনো। ১৯৪২ সালের ৩১শে আগস্ট কলকাতায় নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। নানা ছিলেন উপ-মহাদেশের বিখ্যাত রাজনীতিক সৈয়দ নওশের আলী। পিতৃভূমি নড়াইল চিত্রা নদীর পাড়ে বরশালা গ্রামে। পিতা হাতেম আলী খান ছিলেন একজন প্রকৌশলী। ১৯৬৮ সালে হাতেম আলী খান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। রনোর ছোট ভাই হায়দার আনোয়ার খান জুনোও একজন বামপন্থি রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। হায়দার আকবর খান রনোর একমাত্র কন্যা রানা সুলতানা। অরিত্র ও অন্তিক নামে দুই সন্তানের জননী রানা।
হায়দার আকবর খান রনো যশোর জিলা স্কুল, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও ঢাকার  সেন্টগ্রেগরী স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৫৮ সালে ঢাকাস্থ সেন্টগ্রেগরী স্কুল ম্যাট্রিক পাস করেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে তিনি মেধা তালিকায় ১২তম স্থান লাভ করেছিলেন। ১৯৬০ সালে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু কোর্স সম্পন্ন করতে পারেননি কারাবাস ও অন্যান্য কারণে। পরে তিনি কারাগারে অবস্থানকালে আইনশাস্ত্রে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টের সনদও লাভ করেছিলেন। তবে ওকালতি পেশা গ্রহণ করেননি। ছোটবেলাতেই বাংলা ও বিদেশি ক্ল্যাসিক্যাল সাহিত্য পাঠ করেছিলেন। কিশোর বয়সেই বাবার কাছ থেকে রবীন্দ্রনাথ, মাইকেল, নজরুল, সেক্সপিয়ারের বিভিন্ন কাব্য শুনে শুনে তার মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। আবৃত্তির পাশাপাশি তিনি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিতর্ক ও সাহিত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বহু পুরস্কার জিতেছেন। পরবর্তীতে ভালো বক্তা হিসাবে পরিচিতিও লাভ করেছিলেন। ছাত্রজীবনে তাকে বলা হতো অনলবর্ষী বক্তা।
১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার ছাত্র থাকাকালে তিনি গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে  নেতৃত্ব প্রদানের মধ্য দিয়ে তার সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ। ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন তৎকালীন প্রভাবশালী ছাত্রসংগঠন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচত হন। ১৯৬২ সালে ডা. আহমদ জামানকে সভাপতি, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদকে সাধারণ সম্পাদক ও হায়দার আকবর খান রনোকে যুগ্ম সম্পাদক করে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ১৯৬২ সালে রনো দুইবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ৬২-এর মার্চ মাসে তাকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে রাখা হয়েছিল। পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। যেখানে ছাব্বিশ সেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তিনি একত্রে ছিলেন।
পরের বছর ১৯৬৩ সালে হায়দার আকবর খান রনো ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্র আন্দোলনের কারণে ১৯৬৪ সালে তার নামে হুলিয়া বের হয়। তিনি আত্মগোপনে চলে যান। দুই মাস পর ধরা পড়েন। তাকে গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়ে দুই দিন ও দুই রাত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছিল। ঘুমাতেও দেয়া হয়নি। মাথার উপর রাখা হয়েছিল অতিরিক্ত পাওয়ারের বৈদ্যুতিক বাতি। ১৯৬৫ সালের তার জেলে থাকাকালেই ছাত্র ইউনিয়নের একাংশকে (মেনন গ্রুপ) সংগঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি রেল ধর্মঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং আবার কিছুদিনের জন্য কারারুদ্ধ হন। ১৯৬৫ সালের আগে এদেশে মার্কসবাদী সাহিত্য নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৬৬ সালে গোপন কমিউনিস্ট পার্টি আন্তর্জাতিক মতবিতর্কের ফলে বিভক্ত হলে তিনি তথাকথিত চীনপন্থি অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। ওই বছরই তিনি কাজী জাফর আহমদের সঙ্গে টঙ্গী শ্রমিক এলাকায় শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। দুজনে মিলে টঙ্গী অঞ্চলে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, তা শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে আলোচিত অধ্যায়। সে সময় হায়দার আকবর খান রনো ঢাকার বাসা ছেড়ে টঙ্গীর শ্রমিক বস্তিতে বাস করতে শুরু করেন। সপ্তাহে এক-আধবার ঢাকায় আসতেন রাজনৈতিক কারণে। মধ্যবিত্ত ঘর থেকে আসা রাজনৈতিক কর্মীর নিজস্ব বাড়ি-ঘর ছেড়ে শ্রমিক বস্তিতে দিনের পর দিন থেকে তৃণমূল পর্যায়ে শ্রমিক আন্দোলন ও বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তোলেন। রনোর এই জীবন বিপ্লবীদের জন্য এক দৃষ্টান্ত। শ্রমিক আন্দোলন করার ফলে বহুদিন আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে তাকে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানেও তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। শ্রমিক আন্দোলন, পাশাপাশি জাতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনে সংগঠকের ভূমিকা দুটোই চালিয়ে  গেছেন। ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টঙ্গী থেকেই শুরু হলো ঐতিহাসিক ঘেরাও আন্দোলন। এই আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। পরে ঘেরাও আন্দোলন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। সংগঠন গড়ে তুলতে ও নেতৃত্ব দিতে রনোকে তখন টঙ্গীর বাইরে অন্যান্য শ্রমিক অঞ্চলেও যেতে হয়েছে। ১৯৭০ সালে তিনি তৎকালীন প্রভাবশালী শ্রমিক সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন তিনি। ছাত্রজীবন থেকেই মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসার সুযোগ তার হয়েছিল। পরবর্তী জীবনে তিনি মওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭৩ সালে তার অন্যান্য রাজননৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে গঠন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (লেনিনবাদী)। পরে ১৯৭৯ সালে পার্টির নাম পরিবর্তন করা হয় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। প্রথম থেকেই তিনি পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন। ১৯৭৯-৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০৯ সালে রাশেদ খান মেননের সঙ্গে রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত বিরোধ তৈরি হলে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির একাংশ নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হন। বর্তমানে ওই পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।
রনো জানান, একমাত্র রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনো পেশা তার ছিল না। তিনি সার্বক্ষণিক রাজনীতিবিদ। তবে খবরের কাগজে কলম লেখা ও প্রকাশিত বইয়ের থেকে তিনি কিছু অর্থ উপার্জন করছেন। বর্তমানে রাজনীতির পাশাপাশি টক শো ব্যক্তিত্ব হিসেবে খ্যাতি রয়েছে।
যেই বৈপ্লবিক চিন্তা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন, সেটা থেকে বাম রাজনীতি এখন কতটা দূরে- প্রশ্ন ছিল তার কাছে। জবাবে বলেন, পরিস্থিতি সব সময় ওঠানামা করে। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি বামদের অনুকূলে নেই। তবে এটাই যে চিরস্থায়ী, তা মনে করার কোনো কারণ নেই। পৃথিবীও পাল্টাবে। দেশের পরিস্থিতিও পাল্টাবে। বড় বড় দলগুলোর যে দেউলিয়াপনা রাজনীতি, তার বিকল্প আসতেই হবে। বিকল্প ২টি। এর মধ্যে একটা হলো- মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ। কিন্তু এটা তো সমাধান না। এটা খুব সাময়িক ব্যাপার বলেই আমার কাছে মনে হয়। অথবা দীর্ঘস্থায়ীও যদি হয়, এটা সমাজকে কিছুই দিতে পারবে না। সুতরাং আলটিমেটলি, সমাজতন্ত্রমুখী বাম বিকল্পটাই একমাত্র সমাধান।
কিন্তু অনেক বাম রাজনৈতিক তো তাদের উদ্দেশ্য থেকে পিছিয়ে পড়েছেন? তিনি বলেন, চলার পথে বহু লোকই পিছিয়ে পড়ে। আবার নতুন লোকও আসে। পৃথিবীর ইতিহাসও তাই। এটা কমিউনিস্ট আন্দোলনের ক্ষেত্রে যেমন সত্য, ধর্মীয় আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সত্য। কত লোকই বেঈমানী করে। করতেই পারে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে তিনি বলেন, খুব খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে দেশ যাচ্ছে। বিশাল সংকটের মধ্যে দিয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে গুলশান অ্যাটাকসহ সাম্প্রতিক ঘটনাবলি। আর এই ঘটনা হঠাৎ করেই হয়নি। অনেক দিন ধরেই কন্টিনিউ হচ্ছে। অভিজিতের হত্যাকাণ্ড থেকে ধরলেও সরকার অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে। একটা করে ঘটনা ঘটেছে আর আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছে- এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সরকার বলছে, পরিস্থিতি খুবই চমৎকার। অথবা কখনো বলা হচ্ছে- এগুলো বিএনপি করছে। আবার বিএনপিও একটা কাল্পনিক অভিযোগ আনছে সরকারের বিরুদ্ধে। এই দুই দলের কোনো দায়িত্বজ্ঞান নেই। এতবড় ঘটনা যে ঘটে যাচ্ছে, এই ধরনের ঘটতে পারে, তা সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা ছিল না। কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। এখনও ব্লেম গেইম চলছে। পরস্পর পরস্পরে প্রতি দোষারপের রাজনীতি করে যাচ্ছে। বিএনপিও তাদের জায়গা থেকে বিরোধী দলের কাজ করছে না। তারা পাকিস্তান আমলের মুসলিম লীগের মতো হয়ে গেছে। আবার প্রকৃতপক্ষে এসব ঘটনায় বিএনপি জড়িত, তা বলা যাবে না। কিন্তু সরকার অহরহ বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে। এতে আসল অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। আবার এগুলোকে মোকাবিলা করতে গিয়ে, সরকার যে বিচারবহির্ভূত হত্যা করছে, এই যেমন ফাহিমের ঘটনা। ফাহিম ধরা পড়লো। তাকে মাথায় হেলমেট আর বুকে জ্যাকেট পরিয়ে আদালতে নিয়ে আসা হলো। আবার তাকে অন্য দুর্বৃত্তদের ধরার জন্য বিপজ্জনক অভিযানে নিয়ে যাওয়া হলো কেন? আসলে এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মানুষ এগুলো বিশ্বাস করে না। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, এটা কোনো সমাধান না। যদিও এটা শুরু হয়েছে খালেদা জিয়ার আমল থেকে। এই আমলেও হচ্ছে। ক্রমাগত বাড়ছে। আরেকটি বিষয় হলো, নির্বাচন আর নির্বাচন থাকলো না। নির্বাচন একটা প্রহসনে পরিণত হয়েছে। তাহলে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকলো না। বর্তমান সরকার বলছে, আমরা গণতন্ত্রের বদলে উন্নয়ন করছি। এমনই উন্নয়ন যেখানে এক লাখ মানুষ সমুদ্র ভাসে। উন্নয়ন হচ্ছে কিছু লোকের। একটা বিরাট সংখ্যক মানুষের কবর হচ্ছে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে। তারপর আগুনে পুড়ে মরার ঘটনা তো আছেই। আবার আছে দুর্নীতি। দুর্নীতি, নিজেদের মধ্যে মারামারি, খুনোখুনি। নিজেদের খুনোখুনিতে মায়ের পেটের বাচ্চাও গুলিবিদ্ধ হয়। এটা অসম্ভব রাজনীতি। এদিকে বিএনপি হেফাজত নিয়ে খেলে। সেই হেফাজত উল্টে গিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষেও কথা বলে। তনু হত্যার বিচার হয় না। নারায়ণগঞ্জে শিক্ষককে কানে ধরে উঠ-বোস করানো হলো। আওয়ামী লীগের এমপি একটা ১২ বছরের বাচ্ছাকে পায়ে গুলি করে। এই রাজত্ব?? এর পরিবর্তন দরকার। এই দুটোর হাত থেকেই বাঁচতে হবে। এক্ষেত্রে বাম গণতান্ত্রিক রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই।
বর্তমানে দেশের এই পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিশূন্যতাই অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করেন এই বাম নেতা। তিনি বলেন, বড় রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই দিতে পারেনি। তার একটা শূন্যতা তৈরি করে দিয়েছে। এই শূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করছে উগ্র-মৌলবাদী দল। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়। তার কি শূন্যতা পূরণ করতে পারছে? বিকল্প রাজনীতি যদি গড়ে না উঠে, তাহলে এই পরিস্থিতি বদলাবে না। আর জনগণ যদি এই বিকল্প রাজনীতির দিকে না আসে, তাহলে জনগণকে ভুগতে হবে।
পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, আইএসের কথা স্বীকার করলে ওরা হামলে পড়বে। ওরা কারা, তা উনি ক্লিয়ার করেননি। আমি বুঝে নিলাম পশ্চিমা বিশ্বের কথাই বলা হচ্ছে। আসলে পশ্চিমা বিশ্ব নিজেই এই দানব তৈরি করে, আবার নিজেই তার দ্বারা আক্রান্ত হয়। আইএস কার তৈরি? আমেরিকার তৈরি। আল কায়েদা, তালেবানও আমেরিকার তৈরি। রাশিয়াকে ঠেকানোর জন্যই এগুলো তৈরি করেছিল তারা।
জঙ্গিবাদ ও ইসলাম নিয়ে ঘোলাটে অবস্থা সম্পর্কে  তিনি বলেন, আমাদের নবীজী মদিনায় বসে রাজত্ব করেছেন। দেশ চালিয়েছেন। সেই মদিনায় অমুসলমানের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। কই তাদের তো ক্ষতি করেননি তিনি। অমুসলিম হলে খুন করতে হবে, এটা কোন আদর্শ। কোনো নীতিতে পড়ে? যারা ইসলামের নাম করে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে, এরা ইসলামের মূল শিক্ষায় নেই। ইসলামের ব্যানার ব্যবহার করছে। এরা বিকৃত মানসিকতার।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status