প্রথম পাতা
প্রাণভিক্ষা চাইবেন না মীর কাসেম
স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা ও গাজীপুর
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শনিবার, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী। নিয়মানুযায়ী এখন তাঁর ফাঁসি কার্যকর করতে আর কোনো বাধা নেই। ক্ষমা না চাওয়ায় যে কোনো সময় মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে সরকার। গতকাল দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্টের কাছে মীর কাসেম আলীর প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান কারা কর্তৃপক্ষকে। গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের (পার্ট-২) তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) প্রশান্ত কুমার বণিক বিষয়টি গতকাল গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মীর কাসেম আলী প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করবেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। মীর কাসেমের পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানিয়ে তার মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া সাংবাদিকদের জানান, নিখোঁজ ছেলেকে (মীর আহম্মেদ বিন কাসেম) ছাড়া তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করবেন না বলে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন। আমরা জেনেছি যে, উনি প্রাণ ভিক্ষার আবেদন না করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। গত ৩০শে আগস্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেমের রিভিউ (দণ্ড পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওই দিন বিকালেই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরে রায়ের অনুলিপি কারাগারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। রায়ের পরদিন গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে থাকা মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শোনানো হয়। একই সঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করবেন কি না-তা জানতে চাওয়া হয়। এ বিষয়ে মীর কাসেম সময় চান। ওই দিন মীর কাসেমের স্বজনরা সাক্ষাৎ করার পর তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, সাদা পোশাকধারী লোকজন তাদের ছেলেকে (ব্যারিস্টার আহম্মেদ বিন কাসেম) বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। ছেলে তার বাবার আইনজীবীও। পারিবারিক যে কোনো পরামর্শের জন্য তাকে প্রয়োজন। তাই, ছেলেকে ছাড়া প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে তিনি (মীর কাসেম) কোনো সিদ্ধান্ত দেবেন না। বৃহস্পতিবার আবারও একই বিষয়ে মীর কাসেমের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ জানতে চাইলে আবারও সময় চান তিনি। এদিকে কবে, কোথায় মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে গতকাল রাত পর্যন্ত সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা বা তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুদিন আগে জানিয়েছিলেন, মৃ?ত্যুদণ্ড কার্যকরের সব প্রস্তুতি তারা নিয়ে রেখেছেন। গতকালও তারা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, দণ্ড কার্যকরের আগে মীর কাসেমের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা আরো একদফা সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন বলে জানান কারা কর্মকর্তারা।
ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত, কঠোর নিরাপত্তা
এদিকে প্রাণ ভিক্ষা না চাওয়ার সিদ্ধান্ত জানার পর মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কারণে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। কারাগারের গেটে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। কারারক্ষীসহ কারাগারের সংশ্লিষ্টদের ছুটি ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক দায়িত্বপালনকারী কারারক্ষীও বাড়ানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রধান জল্লাদ শাহজাহানসহ অন্য জল্লাদদের। এরই মধ্যে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করে প্রাথমিক মহড়াও দেয়া হয়েছে। জল্লাদ দলকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার পর জেল রোডের দোকানপাট সন্ধ্যার পর বন্ধ করে দেয়া হয়। গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বিপিএম, পিপিএম (বার) গতকাল সন্ধ্যায় কারাগারের বাইরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের জানান, কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। কারাগারের আশপাশ ঘুরে দেখা গেছে, নিরাপত্তায় জলকামান ও আর্মড পুলিশ কার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কারাগারের আশপাশের সড়ক ও বাসা বাড়িতে নজরদারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দারাও তৎপর রয়েছেন। জেলার নাসির আহমেদ জানান, প্রাণ ভিক্ষা না চাওয়ার লিখিত কপি কারাগার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে ও সেখান থেকে ফাঁসির সময় ও তারিখ জানানো হবে। এতে একটু সময় লাগবে। তিনি আরো জানান, মীর কাসেম আলীকে ৪০নং কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। কারাগারের চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তাকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয়েছে। এদিকে কারা সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চটি ইতিমধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ফাঁসির দড়িতে বালুর বস্তা দিয়ে প্রাথমিক মহড়া সম্পন্ন হয়েছে। এ কারাগারে মীর কাসেমের ফাঁসি বাস্তবায়ন হলে এটাই হবে এখানে কোনো যুদ্ধাপরাধীর প্রথমবারের মতো দণ্ড কার্যকর।
ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত, কঠোর নিরাপত্তা
এদিকে প্রাণ ভিক্ষা না চাওয়ার সিদ্ধান্ত জানার পর মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কারণে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। কারাগারের গেটে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। কারারক্ষীসহ কারাগারের সংশ্লিষ্টদের ছুটি ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক দায়িত্বপালনকারী কারারক্ষীও বাড়ানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রধান জল্লাদ শাহজাহানসহ অন্য জল্লাদদের। এরই মধ্যে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করে প্রাথমিক মহড়াও দেয়া হয়েছে। জল্লাদ দলকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার পর জেল রোডের দোকানপাট সন্ধ্যার পর বন্ধ করে দেয়া হয়। গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বিপিএম, পিপিএম (বার) গতকাল সন্ধ্যায় কারাগারের বাইরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের জানান, কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। কারাগারের আশপাশ ঘুরে দেখা গেছে, নিরাপত্তায় জলকামান ও আর্মড পুলিশ কার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কারাগারের আশপাশের সড়ক ও বাসা বাড়িতে নজরদারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দারাও তৎপর রয়েছেন। জেলার নাসির আহমেদ জানান, প্রাণ ভিক্ষা না চাওয়ার লিখিত কপি কারাগার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে ও সেখান থেকে ফাঁসির সময় ও তারিখ জানানো হবে। এতে একটু সময় লাগবে। তিনি আরো জানান, মীর কাসেম আলীকে ৪০নং কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। কারাগারের চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তাকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয়েছে। এদিকে কারা সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চটি ইতিমধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ফাঁসির দড়িতে বালুর বস্তা দিয়ে প্রাথমিক মহড়া সম্পন্ন হয়েছে। এ কারাগারে মীর কাসেমের ফাঁসি বাস্তবায়ন হলে এটাই হবে এখানে কোনো যুদ্ধাপরাধীর প্রথমবারের মতো দণ্ড কার্যকর।