শেষের পাতা
বিচারপতির সমান বেতন ভাতা’র সুবিধা পাবেন সিইসি-ইসিরা
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবারপ্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান এবং নির্বাচন কমিশনাররা উচ্চ আদালতের বিচারপতির সমপরিমাণ বেতন ভাতা’র সুবিধা পাবেন। সম্প্রতি এই সুবিধা নির্ধারণের বিধান রেখে খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব নির্বাচন কমিশনারদের পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার আইন-২০২৪ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের তথ্য জানান। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার আইন-২০২৪ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান এবং নির্বাচন কমিশনারদের জন্য উচ্চ আদালতের বিচারপতির সমপরিমাণ বেতন ভাতা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। সামরিক শাসনের আমলে যেসব আইন তৈরি করা হয়েছিল, সেগুলো বাতিলের একটি তালিকা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছিল আদালত। সেখানে ‘দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড ইলেকশন কমিশনারস (রিমিউনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলিজেস) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩ এর বাংলায় রূপান্তর করারও একটি নির্দেশনা ছিল। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই বাংলা আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এটি উপস্থাপন করা হয়েছিল। এটি মূল ইংরেজি আইনের বাংলা সংস্করণ। মাহবুব হোসেন বলেন, এ আইনের মূল কথা ছিল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পান এ আইনে বলা আছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির সমমর্যাদা সম্পন্ন বেতন-ভাতা পাবেন। আর অন্য নির্বাচন কমিশনাররা হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির সমান বেতন-ভাতা পাবেন। অন্যান্য ভাতাও বিচারপতিরা যেটা পান, তারাও সেটা পাবেন। অর্থাৎ আগের যে আইনটি আছে, আজ সেটির বাংলা সংস্করণের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে কোনো পরিবর্তন নেই। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত জানুয়ারি-মার্চ মাসে মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে মন্ত্রিসভায় বাস্তবায়নাধীন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ারও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না সেগুলো যাতে আবার মন্ত্রিসভাকে জানানো হয় এবং তখন প্রয়োজনে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনাররা ৭ জানুয়ারী ২০২৪ এ জাতীয় নির্বাচনের নামে প্রহসন উপহার দিয়ে ক্ষমতা স্থায়ী করে দেওয়ার যে গোলামীর নজীর স্থাপন করেছে তাতে তাদের উচ্চাবিলাস চরিতার্থ করতে সরকার কার্পন্য করবে কোন আক্কেলে। এমন ছাপোষা নির্বাচন কমিশন নিকট অতীত তো দূরের কথা দূর অতীতেও কি কেউ দেখেছে? পুষ্পাঞ্জলী ত সেই প্রাপ্য যে দেবতা মনের আশা চাওয়ার আগেই পূর্ণ করতে বিন্দুমাত্র পশ্চাদপসারণ করেনা।