খেলা
যে কারণে ৫৮ বছর বয়সে মাঠে ফিরছেন রোমারিও
স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবারবয়স ৫৮, সর্বশেষ পেশাদার ফুটবল খেলেছেন ২০০৯ সালে। তার আগে অবশ্য ২০০৮ সালে অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু বাবার ইচ্ছাতেই এরপর কয়েকটি ম্যাচ খেলেন। ব্রাজিলের সেই রোমারিও এবার অবসর ভাঙছেন ছেলের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। রোমারিও এখন আমেরিকা ফুটবল ক্লাবের সভাপতি। এই ক্লাবের হয়েই রিও ডি জেনিরোর স্টেট ফুটবল লিগের দ্বিতীয় বিভাগের প্রতিযোগিতা ক্যাম্পেনাতো ক্যারিওকা সিরি আ২ প্রতিযোগিতায় কিছু ম্যাচ খেলবেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। তার ছেলে ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড রোমারিনিওকে গত মাসে দলে টেনেছে আমেরিকা। ২৩ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে ১০০০-এর বেশি গোল করা রোমারিওর মতো তার ছেলেও স্ট্রাইকার। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানায়, মাঠে ফিরতে ইতিমধ্যে ক্যাম্পেনাতো ক্যারিওকা সিরি আ২-এ নাম নিবন্ধন করিয়েছেন রোমারিও।
নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে মাঠে ফেরার ঘোষণা দেন তিনি। তবে পুরো মৌসুম খেলবেন না রোমারিও বলেন, ‘আমার মাঠে ফেরায় চোখ রাখুন। পুরো চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমার লক্ষ্য না। পছন্দের দল মেকাওয়ের (আমেরিকা ক্লাবের তকমা) হয়ে কিছু ম্যাচ খেলতে চাই। এর পাশাপাশি নিজের আরেকটি স্বপ্নও পূরণ করতে চাই: ছেলের সঙ্গে খেলতে চাই।’ রোমারিওর বাবা এদভেইর আমেরিকা ক্লাবের পাড়ভক্ত ছিলেন। বাবার কাছ থেকেই এই ক্লাবের প্রতি টান জন্মে তার। তবে বর্তমানে ক্লাবের সভাপতি হলেও রোমারিও কিন্তু মাঠে ফেরার জন্য বেতন নেবেন। তবে সেটা একদম ন্যুনতম বেতন, চুক্তিপত্রে যেটা না থাকলেই নয়। কারণ, পেশাদার পর্যায়ে মাঠে ফিরতে চুক্তিপত্রে বেতনের একটা অঙ্ক থাকাটা বাধ্যতামূলক। এ কারণেই আলাদা করে ন্যূনতম একটা পারিশ্রমিক নেবেন রোমারিও। তবে সেই বেতনের অঙ্কটা আবার ফিরিয়েও দেবেন আমেরিকা ক্লাবকে। ৫৮ বছর বয়স হলেও এখনও খেলার জন্য নিজেকে যোগ্য মনে করেন রোমারিও।
সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’কে তিনি বলেন, ‘খুব কম অ্যাথলেট এবং ফুটবলারই নিজের ছেলের সঙ্গে খেলার স্বপ্নপূরণের সুযোগ পায়। আমার বয়স ৫৮ বছর হলেও এখনো বেশ ভালো বোধ করছি। খেলাধুলা করি, ফুটবল খেলি, বাইরেও বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি...খেলার জন্য নিজেকে যথেষ্ট যোগ্য বলেই মনে করি।’ রোমারিও জানান, ছেলেকে তিনি শুরুতে খবরটি জানাননি। তিনি বলেন, ‘এটা তার জন্য বিস্ময় হয়ে এসেছে। সে বেশ খুশি।’ মজা করে এটাও বলেন, ‘আশা করি, সর্বোচ্চ গোলদাতা বানাতে সে আমাকে বল পাস দেবে। একটা ব্যাপার নিশ্চিত, সে আমার জন্য দৌড়াবে। আমি জায়গামতো (বক্সে) থাকব। শারীরিকভাবে মনে হয় না বেশিক্ষণ টিকতে পারব। তবে কে জানে হয়তো পুরো একটা ম্যাচও টিকে যেতে পারি।’ রোমারিও আরও বলেন, ‘সব ক্রিয়ারই একটি প্রতিক্রিয়া থাকে। আমেরিকাই আমার প্রথম ভাবনার জায়গা। আমি সভাপতি। ক্লাবকে সাহায্য করতে চাই। দ্বিতীয়ত, ছেলের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। তাতে আশা করি স্পনসরও আসবে। সেটা হলে ব্যাপারটা নিখুঁত হয়।’