দেশ বিদেশ
জাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তারার মেলা
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবারনতুন আর পুরনোর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল ১৩ই এপ্রিল ফরিদপুরের জাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। বিদ্যালয়টির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এদিন তারার মেলায় পরিণত হয় এ স্কুল। ১৯৭৪ সালে হাজী এজাহার উদদীন মুন্সীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এ স্কুলটি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বিভিন্ন গ্রামের বিদ্যানুরাগী বেশ কিছু ব্যক্তি। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি এ বছর ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করলো। এই সময়ের আবর্তে এখান থেকে পড়ালেখা শেষ করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে তারা এদিন সমবেত হন স্কুল প্রাঙ্গণে। বহু বছর পর সহপাঠীকে দেখে অনেকে অশ্রুসজল হন। অবাধে কেঁদে ফেলেন। নতুন পুরনো ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকদের স্মৃতিচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো স্কুল দলে দলে বিভক্ত হয়ে মগ্ন হয়ে ওঠেন তারা অতীত স্মৃতি রোমন্থনে। এদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতাকে। প্রতিষ্ঠাতা হাজী এজাহার উদ্দিন মুন্সীকে দেয়া হয় মরণোত্তর সম্মাননা। স্মরণ করা হয় প্রয়াত শিক্ষকদের। উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষকদের। দিনভর চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। ছোট্ট সোনামণিরা গান গেয়ে, কবিতা আবৃত্তি করে এবং নৃত্য পরিবেশন করে মাতিয়ে রাখেন সবাইকে। প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র ঘোষ স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বিদ্যালয়ের অতীত ও বর্তমান স্বর্ণালী মুহূর্তকে তুলে ধরেন বক্তব্যে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাহাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম বাচ্চু, সাবেক চেয়ারম্যান মোল্যা মো. ইসহাক, একে আজাদ রহমান (টিক্কা)। সন্ধ্যায় উপস্থিত হন ফরিদপুর-১ আসনের এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান। তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। প্রতিশ্রুতি দেন স্কুলের উন্নয়নে পাশে থাকবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দ্বিতীয় দিন ১৪ই এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় মেলা ও বিচার গান।