বিশ্বজমিন
হংকং-এ কোভিডে মৃত্যুর মিছিল
মানবজমিন ডেস্ক
৬ এপ্রিল ২০২২, বুধবার, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
কোভিডের কারণে মৃত্যুর মিছিল নেমেছে হংকং-এ। অবস্থা এত ভয়াবহ হয়েছে যে কফিন সংকটে পড়েছে চীনের এই অঞ্চলটি। বৈশ্বিক এই অর্থনৈতিক হাবটি এখন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেখানকার এক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রতিষ্ঠানের পরিচালক লক চুং বলেন, আমি কখনো একসঙ্গে এতগুলো মরদেহ দেখিনি। সাধারণ অবস্থায় যেখানে এক মাসে গড়ে ১৫টি মরদেহ আসে তাদের কাছে, সেখানে গত মার্চ মাসে এসেছে ৪০টি। ৩৭ বছর বয়স্ক চুং রয়টার্সকে বলেন, আমি কখনো মৃতের পরিবারকে এত হতাশ, বিপর্জস্ত এবং অসহায় অবস্থায় দেখিনি।
সাবেক এই বৃটিশ কলোনিতে আঘাত হেনেছে কোভিডের পঞ্চম ঢেউ। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার জনেরও বেশি।
এত এত মরদেহ আসছে যে তা সংরক্ষণের সুযোগও আর নেই। স্বজনদের ডেথ সার্টিফিকেট পেতেও ব্যাপক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। ১লা মার্চ মারা যাওয়া এক নারীর পরিবার এখনো তার মরদেহ হাতে পায়নি শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট পেতে দেরি হওয়ার কারণে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই সংকটের পেছনে রয়েছে প্রতিবেশি শহর শেনজেনের লকডাউন। সেখানেও ভয়াবহ কোভিড সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। হংকং-এর সঙ্গে শেনজেনের সীমান্ত এখন বন্ধ রয়েছে। ফলে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় সরবরাহ আসা বন্ধ হয়ে গেছে হংকংয়ে। তবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কেন্দ্রগুলোতে সংকটের আরেক কারণ সেখানকার কর্মকর্তাদের কোভিড আক্রান্ত হওয়া। সেখানকার এক চতুর্থাংশ কর্মীই কোভিড আক্রান্ত হয়ে কাজে আসতে পারছে না।
হংকং-এর প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ কফিন দরকার হয়। চীনই এর ৯৫ শতাংশ সরবরাহ করে। তবে গত ১৪ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ ৩ হাজার ৫৭০টি কফিন আসে হংকং-এ। শহরটির ৬টি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কেন্দ্র একটানা কাজ করে চলেছে। প্রতিদিন প্রায় তিনশ মরদেহ সৎকার করতে হচ্ছে তাদের। এ সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই গুণ।
সাবেক এই বৃটিশ কলোনিতে আঘাত হেনেছে কোভিডের পঞ্চম ঢেউ। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার জনেরও বেশি।
এত এত মরদেহ আসছে যে তা সংরক্ষণের সুযোগও আর নেই। স্বজনদের ডেথ সার্টিফিকেট পেতেও ব্যাপক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। ১লা মার্চ মারা যাওয়া এক নারীর পরিবার এখনো তার মরদেহ হাতে পায়নি শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট পেতে দেরি হওয়ার কারণে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই সংকটের পেছনে রয়েছে প্রতিবেশি শহর শেনজেনের লকডাউন। সেখানেও ভয়াবহ কোভিড সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। হংকং-এর সঙ্গে শেনজেনের সীমান্ত এখন বন্ধ রয়েছে। ফলে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় সরবরাহ আসা বন্ধ হয়ে গেছে হংকংয়ে। তবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কেন্দ্রগুলোতে সংকটের আরেক কারণ সেখানকার কর্মকর্তাদের কোভিড আক্রান্ত হওয়া। সেখানকার এক চতুর্থাংশ কর্মীই কোভিড আক্রান্ত হয়ে কাজে আসতে পারছে না।
হংকং-এর প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ কফিন দরকার হয়। চীনই এর ৯৫ শতাংশ সরবরাহ করে। তবে গত ১৪ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ ৩ হাজার ৫৭০টি কফিন আসে হংকং-এ। শহরটির ৬টি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কেন্দ্র একটানা কাজ করে চলেছে। প্রতিদিন প্রায় তিনশ মরদেহ সৎকার করতে হচ্ছে তাদের। এ সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই গুণ।