প্রথম পাতা
সানোফি বাংলাদেশ এখন সিনোভিয়া ফার্মা পিএলসি
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২০২২-০৪-০২
দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ৬ মাস আগে কিনে নেয়া বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি সানোফি বাংলাদেশ ইউনিটের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন নাম দিয়েছে সিনোভিয়া ফার্মা পিএলসি। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মা এক ঘোষণায় জানিয়েছে, গতকাল থেকেই ওই নতুন নাম কার্যকর হয়েছে। সানোফি বাংলাদেশ ছিল বহুজাতিক বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সানোফি এসএ-এর বাংলাদেশ ইউনিট। এর অধিকাংশ শেয়ার (৫৪.৬ শতাংশ) কিনে নিয়ে গত বছর ১লা অক্টোবর এ কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে দেয়া ঘোষণায় তারা জানিয়েছে, সানোফির কাছ থেকে শেয়ার কেনার চুক্তির অংশ হিসেবেই এই নতুন নামকরণ হয়েছে।
সিনোভিয়া নামটি এসেছে ফরাসি শব্দ সিনার্জি এবং লাতিন শব্দ ভিয়া থেকে। সিনার্জির বাংলা অর্থ এক সঙ্গে বা সমন্বয়, আর ভিয়া মানে পথ।
বেক্সিমকো ফার্মা জানিয়েছে, মালিকানা ও নামবদল হলেও সিনোভিয়া ফার্মা সানোফির বিভিন্ন ওষুধ ও পণ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাত করা অব্যাহত রাখবে।
সানোফির তৈরি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগের যেসব ওষুধ এতদিন বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করে আসছে, তা সরবরাহ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেক্সিমকো।
পাশাপাশি ভবিষ্যতে সানোফি আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন কোনো ওষুধ আনলে, সেগুলোও বাংলাদেশে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে বেক্সিমকোর বিবৃতিতে।
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, সানোফি বাংলাদেশের অধিকাংশ শেয়ার কিনে নেয়ার পর আমরা এখন এর কর্মী এবং পণ্যের সমন্বয়ে মনোযোগী হয়েছি। কোম্পানির নতুন নাম সিনোভিয়া ফার্মা রাখার মধ্য দিয়ে আমরা এই রূপান্তর প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে পা রাখলাম।
সিনোভিয়া ফার্মার বাকি ৪৫.৪ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২৫.৩৬ শতাংশ আছে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ১৯.৯৬ শতাংশ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের হাতে।
জানা গেছে, ফরাসি কোম্পানি সানোফি বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছিল ছয় দশকের বেশি সময় ধরে। ২০১৯ সালে হঠাৎ করেই তারা ব্যবসা গুটিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায়।
ওই বছর অক্টোবরে সানোফির এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা পুরোপুরিভাবে কাজে লাগানোর মতো অবস্থানে সানোফি নেই। এ অবস্থার পরিবর্তনে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডে থাকা আমাদের শেয়ার হস্তান্তরের জন্য অংশীদার খুঁজছি।
এরপর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সানোফির হাতে থাকা ৫৪.৬ শতাংশ শেয়ার বেক্সিমকোর কাছে বিক্রির জন্য চুক্তি করার খবর আসে। শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয় অক্টোবরে।
১৯৫৮ সালে ‘মে অ্যান্ড বেকার’ নামে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি। পরে ২০০৪ সালে সানোফি-অ্যাভেন্টিস গ্রুপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হয়। ২০১৩ সালে কোম্পানিটির নাম বদলে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড রাখা হয়। এখন তা হলো সিনোভিয়া ফার্মা। টঙ্গীতে এ কোম্পানির একটি ওষুধ তৈরির কারখানা রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ভ্যাকসিন, ইনসুলিন ও কেমোথেরাপির নানা ওষুধ তারা বাংলাদেশে আমদানি করে।
সিনোভিয়া নামটি এসেছে ফরাসি শব্দ সিনার্জি এবং লাতিন শব্দ ভিয়া থেকে। সিনার্জির বাংলা অর্থ এক সঙ্গে বা সমন্বয়, আর ভিয়া মানে পথ।
বেক্সিমকো ফার্মা জানিয়েছে, মালিকানা ও নামবদল হলেও সিনোভিয়া ফার্মা সানোফির বিভিন্ন ওষুধ ও পণ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাত করা অব্যাহত রাখবে।
সানোফির তৈরি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগের যেসব ওষুধ এতদিন বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করে আসছে, তা সরবরাহ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেক্সিমকো।
পাশাপাশি ভবিষ্যতে সানোফি আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন কোনো ওষুধ আনলে, সেগুলোও বাংলাদেশে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে বেক্সিমকোর বিবৃতিতে।
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, সানোফি বাংলাদেশের অধিকাংশ শেয়ার কিনে নেয়ার পর আমরা এখন এর কর্মী এবং পণ্যের সমন্বয়ে মনোযোগী হয়েছি। কোম্পানির নতুন নাম সিনোভিয়া ফার্মা রাখার মধ্য দিয়ে আমরা এই রূপান্তর প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে পা রাখলাম।
সিনোভিয়া ফার্মার বাকি ৪৫.৪ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২৫.৩৬ শতাংশ আছে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ১৯.৯৬ শতাংশ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের হাতে।
জানা গেছে, ফরাসি কোম্পানি সানোফি বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছিল ছয় দশকের বেশি সময় ধরে। ২০১৯ সালে হঠাৎ করেই তারা ব্যবসা গুটিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায়।
ওই বছর অক্টোবরে সানোফির এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা পুরোপুরিভাবে কাজে লাগানোর মতো অবস্থানে সানোফি নেই। এ অবস্থার পরিবর্তনে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডে থাকা আমাদের শেয়ার হস্তান্তরের জন্য অংশীদার খুঁজছি।
এরপর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সানোফির হাতে থাকা ৫৪.৬ শতাংশ শেয়ার বেক্সিমকোর কাছে বিক্রির জন্য চুক্তি করার খবর আসে। শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয় অক্টোবরে।
১৯৫৮ সালে ‘মে অ্যান্ড বেকার’ নামে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি। পরে ২০০৪ সালে সানোফি-অ্যাভেন্টিস গ্রুপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হয়। ২০১৩ সালে কোম্পানিটির নাম বদলে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড রাখা হয়। এখন তা হলো সিনোভিয়া ফার্মা। টঙ্গীতে এ কোম্পানির একটি ওষুধ তৈরির কারখানা রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ভ্যাকসিন, ইনসুলিন ও কেমোথেরাপির নানা ওষুধ তারা বাংলাদেশে আমদানি করে।