বিশ্বজমিন
চীনে দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ কোভিড শনাক্ত, শেনজেনে লকডাউন
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ মার্চ ২০২২, সোমবার, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
গত দুই বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ কেস শনাক্ত হয়েছে চীনে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, রোববার প্রায় ৩ হাজার ৪০০ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ একদিনে সেখানে কোভিড শনাক্ত হয়েছে প্রায় দুইগুন। এরইমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১ কোটি ৭৫ লাখ মানুষের শহর শেনজেনে লকডাউন ঘোষণা করেছে চীন। আগামি এক সপ্তাহ এটি কার্যকর থাকবে। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে টাইম ও ভয়েজ অব আমেরিকা।
খবরে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে শেনজেন চীনের গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং বন্দর। এটিকে বলা হয় চীনের প্রধান প্রযুক্তি কেন্দ্র। এখানেই রয়েছে হুয়াওয়ে এবং টেনসেন্টের হেডকোয়ার্টার। এই লকডাউনের কারণে সেখানে উৎপাদন ব্যহত হবে। আগামি এক সপ্তাহে সেখানে শহরজুড়ে তিন দফা গণ পরীক্ষা চালানো হবে। গত রোববার এই লকডাউনের ঘোষণা আসে চীন সরকারের তরফ থেকে। আগামি ২০ মার্চ পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। শেনজেনের সকল বাস ও সাবওয়ে বন্ধ থাকবে। জরুরী প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া বাকি সব দোকান বন্ধ থাকবে। সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজ করবেন কর্মীরা। এই সময়ের মধ্যে কেউ শেনজেন ত্যাগ করতে পারবেন না।
চীন এখন পর্যন্ত কোভিড নিয়ন্ত্রণে বড় ধরণের সফলতা দেখালেও এখন তা হুমকির মুখে পড়েছে। এক দিনের মধ্যে চীনে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সারা দেশের অন্তত ১৯টি প্রদেশে ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ‘ক্লাস্টার’ ধরা পড়েছে। শাংহাইয়ে স্কুল বন্ধ। শেনজেনের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বে সংক্রমণের কেন্দ্র জিলিন শহরে আগে থেকেই জারি আছে আংশিক লকডাউন। এ ছাড়া আশেপাশের শত শত এলাকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ইয়ানজিতেও প্রায় সাত লক্ষ বাসিন্দাকে সারা দিন ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে। আরও অন্তত তিনটি ছোট শহরে মার্চের প্রথম থেকেই কড়াকড়ি চলছে।
চীনে প্রথম ২০১৯ সালের শেষের দিকে কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। ভাইরাসটি যখন গণহারে ছড়িয়ে পড়ে, চীন তখন দ্রুত লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং গণপরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসটির বিস্তার রোধ করে। কিন্তু দ্রুত সংক্রমিত ওমিক্রন ধরণের বিস্তার এবং উপসর্গবিহীন রোগী বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি সার্বিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে যেটি 'শূন্য কোভিড নীতি' ব্যাহত করেছে। জিলিন প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তা ঝাং ইয়ান রবিবার স্বীকার করেছেন যে, ভাইরাস মোকাবিলায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেষ্টার অভাব ছিল। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, জিলিনের মেয়র এবং চ্যাংচুন স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধানকে শনিবার বরখাস্ত করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে শেনজেন চীনের গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং বন্দর। এটিকে বলা হয় চীনের প্রধান প্রযুক্তি কেন্দ্র। এখানেই রয়েছে হুয়াওয়ে এবং টেনসেন্টের হেডকোয়ার্টার। এই লকডাউনের কারণে সেখানে উৎপাদন ব্যহত হবে। আগামি এক সপ্তাহে সেখানে শহরজুড়ে তিন দফা গণ পরীক্ষা চালানো হবে। গত রোববার এই লকডাউনের ঘোষণা আসে চীন সরকারের তরফ থেকে। আগামি ২০ মার্চ পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। শেনজেনের সকল বাস ও সাবওয়ে বন্ধ থাকবে। জরুরী প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া বাকি সব দোকান বন্ধ থাকবে। সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজ করবেন কর্মীরা। এই সময়ের মধ্যে কেউ শেনজেন ত্যাগ করতে পারবেন না।
চীন এখন পর্যন্ত কোভিড নিয়ন্ত্রণে বড় ধরণের সফলতা দেখালেও এখন তা হুমকির মুখে পড়েছে। এক দিনের মধ্যে চীনে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সারা দেশের অন্তত ১৯টি প্রদেশে ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ‘ক্লাস্টার’ ধরা পড়েছে। শাংহাইয়ে স্কুল বন্ধ। শেনজেনের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বে সংক্রমণের কেন্দ্র জিলিন শহরে আগে থেকেই জারি আছে আংশিক লকডাউন। এ ছাড়া আশেপাশের শত শত এলাকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ইয়ানজিতেও প্রায় সাত লক্ষ বাসিন্দাকে সারা দিন ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে। আরও অন্তত তিনটি ছোট শহরে মার্চের প্রথম থেকেই কড়াকড়ি চলছে।
চীনে প্রথম ২০১৯ সালের শেষের দিকে কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। ভাইরাসটি যখন গণহারে ছড়িয়ে পড়ে, চীন তখন দ্রুত লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং গণপরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসটির বিস্তার রোধ করে। কিন্তু দ্রুত সংক্রমিত ওমিক্রন ধরণের বিস্তার এবং উপসর্গবিহীন রোগী বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি সার্বিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে যেটি 'শূন্য কোভিড নীতি' ব্যাহত করেছে। জিলিন প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তা ঝাং ইয়ান রবিবার স্বীকার করেছেন যে, ভাইরাস মোকাবিলায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেষ্টার অভাব ছিল। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, জিলিনের মেয়র এবং চ্যাংচুন স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধানকে শনিবার বরখাস্ত করা হয়েছে।