দেশ বিদেশ
মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে: দেবপ্রিয়
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২০২২-০৩-১১
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এত বেড়ে গেছে যে, পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার পণ্যের দাম যে পর্যায়ে গেছে, তাতে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরমের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া গরিব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তাদের ক্রয়ক্ষমতা যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি আয়ও বাড়াতে হবে। বৃহস্পতিবার ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অতিমারি দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের ওপর এবং এসডিজি সূচকগুলোর ওপর কী প্রভাব ফেলেছে, তার মূল্যায়ন তুলে ধরতে এই সভার আয়োজন করে প্ল্যাটফরমটি। দেশের ৪০ জন গবেষকের সঙ্গে আলোচনা করে এই মূল্যায়ন তৈরি করেছে নাগরিক প্ল্যাটফরম।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে সুরক্ষা দিতে হবে। আয় বাড়াতে হবে, জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া মানুষের সুরক্ষার জন্য এই মুহূর্তে টাকার দরপতন আটকাতে হবে। টাকার দরপতন আটকানো না গেলে আমদানি কমবে। এতে মূল্যস্ফীতি হবে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। পাশাপাশি ঋণের হার কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের শুল্ক ও কর কমাতে হবে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া মানুষ বেশি ব্যবহার করে যেসব পণ্য, সেগুলোর আমদানি খরচ কমানোর উদ্যোগ দরকার। একইসঙ্গে যারা পিছিয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, তাদের কর রেয়াত দেয়ারও প্রস্তাব করেন তিনি।
তিনি টিসিবি’র সরবরাহ বাড়ানো, খাদ্য, গ্যাস, সারে ভর্তুকি বাড়ানো এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিসহ অন্যান্য কর্মসূচি বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারকে সাশ্রয়ী হতে হবে। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাখাতে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় জানান, টিকাদানে কিছুটা হলেও বৈষম্য হয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ ঢাকা বিভাগের মানুষ সবচেয়ে বেশি পেয়েছে। সবচেয়ে কম পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এ থেকে বোঝা যায়, যেখানে আয়-ব্যয় সম্পদ কেন্দ্রীভূত, সেখানে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগ সবচেয়ে এগিয়ে, অন্য বিভাগগুলো পিছিয়ে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এসডিজি’র এমন কোনো অভীষ্ট নেই, যেখানে এই অতিমারির নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তবে প্রথাগতভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের ওপরে এই প্রভাব অনেক বেশি। নতুনভাবে যারা পিছিয়ে পড়েছে, তাদের ওপর অনেক প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, অতিমারির প্রভাব অন্তত তিন বছর থাকবে। তিন বছরের বেশিও হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক শিশু, চর, হাওর অঞ্চলের মানুষ, আদিবাসী, দলিত ও প্রতিবন্ধীদের ওপর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাগরিক প্ল্যাটফরমের প্রতিনিধি ফাতেমা ইউসুফ। সভাপতিত্ব করেন হেলথ ওয়ার্কের প্রধান ড. মোস্তাক রেজা চৌধুরী।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে সুরক্ষা দিতে হবে। আয় বাড়াতে হবে, জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া মানুষের সুরক্ষার জন্য এই মুহূর্তে টাকার দরপতন আটকাতে হবে। টাকার দরপতন আটকানো না গেলে আমদানি কমবে। এতে মূল্যস্ফীতি হবে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। পাশাপাশি ঋণের হার কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের শুল্ক ও কর কমাতে হবে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া মানুষ বেশি ব্যবহার করে যেসব পণ্য, সেগুলোর আমদানি খরচ কমানোর উদ্যোগ দরকার। একইসঙ্গে যারা পিছিয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, তাদের কর রেয়াত দেয়ারও প্রস্তাব করেন তিনি।
তিনি টিসিবি’র সরবরাহ বাড়ানো, খাদ্য, গ্যাস, সারে ভর্তুকি বাড়ানো এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিসহ অন্যান্য কর্মসূচি বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারকে সাশ্রয়ী হতে হবে। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাখাতে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় জানান, টিকাদানে কিছুটা হলেও বৈষম্য হয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ ঢাকা বিভাগের মানুষ সবচেয়ে বেশি পেয়েছে। সবচেয়ে কম পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এ থেকে বোঝা যায়, যেখানে আয়-ব্যয় সম্পদ কেন্দ্রীভূত, সেখানে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগ সবচেয়ে এগিয়ে, অন্য বিভাগগুলো পিছিয়ে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এসডিজি’র এমন কোনো অভীষ্ট নেই, যেখানে এই অতিমারির নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তবে প্রথাগতভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের ওপরে এই প্রভাব অনেক বেশি। নতুনভাবে যারা পিছিয়ে পড়েছে, তাদের ওপর অনেক প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, অতিমারির প্রভাব অন্তত তিন বছর থাকবে। তিন বছরের বেশিও হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক শিশু, চর, হাওর অঞ্চলের মানুষ, আদিবাসী, দলিত ও প্রতিবন্ধীদের ওপর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাগরিক প্ল্যাটফরমের প্রতিনিধি ফাতেমা ইউসুফ। সভাপতিত্ব করেন হেলথ ওয়ার্কের প্রধান ড. মোস্তাক রেজা চৌধুরী।