বিশ্বজমিন
ইউক্রেন সঙ্কট: রাশিয়া-আমিরাত শক্তিশালী মিত্র!
মানবজমিন ডেস্ক
৩ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৫:১০ অপরাহ্ন
ইউক্রেনে ভয়াবহ আগ্রাসন চালানোর জন্য রাশিয়াকে কূটনৈতিকভাবে একপেশে করে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। নিন্দার ঝড় বইছে চারদিকে। কিন্তু হাতেগোণা যে কয়েকটি দেশ আছে, তারা রাশিয়াকে সমর্থন না দিলেও নিজেদেরকে নিরপেক্ষ অবস্থানে ধরে রেখেছে। এমন দেশের মধ্যে অন্যতম সংযুুক্ত আরব আমিরাত। অনলাইন আল জাজিরায় আরওয়া ইব্রাহিমের লেখা এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের তিরস্কার করে অবিলম্বে সেখান থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার দাবি করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বুধবার জরুরি অধিবেশনে একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। এই প্রস্তাব সমর্থন করে সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। কিন্তু শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রায় একই রকম প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়। এদিন ভোট দানে বিরত থাকে অনেকে। এতে সিদ্ধান্ত একেবারে বিপরীতধর্মী হয়ে দাঁড়ায়। রোববার টুইটারে একটি পোস্ট দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্সিয়াল উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাস। এতে তিনি বলেন, উপসাগরীয় এই দেশটি মনে করে কোনো পক্ষ নেয়ার ফলে তাতে শুধুই আরো সহিংসতা বাড়বে। এ জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সব পক্ষকে কূটনৈতিক সমাধানের পথে উৎসাহিত করছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের রাজনৈতিক দিক আছে। তবে সেখানে যে প্রস্তাব পাস হয় তা বাধ্যতামূলক নয়। পক্ষান্তরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অধিক ফলপ্রসূ। তবে এতে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা আছে রাশিয়ার। কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের আহ্বান এবং এ জন্য চ্যানেল উন্মুক্ত আছে এমনটা বলার একদিন পরে জাতিসংঘে নিয়োজিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূত লানা নুসেইবেহ বুধবার বলেছেন, ঠিক এই মুহূর্তে আমরা মেনে নিচ্ছি যে, যে প্রস্তাবনা গৃহীত হলো তা প্রয়োজনীয় এক সিগন্যাল। এটা আমাদের মানা উচিত।
কিংস কলেজ লন্ডনের স্কুল অব সিকিউরিটি স্টাডিজের সহযোগী প্রফেসর অ্যান্দ্রেস ক্রিগ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিন্ন ভোট ভারসাম্য প্রদর্শন করেন। তারা এই ভারসাম্যগত অবস্থান বেছে নিয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কটে এবং বিস্তৃত পররাষ্ট্রনীতিতে। যুদ্ধের এই সময়টাতে রাশিয়াকে সমর্থন করতে উদগ্রীব সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা এ সময়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ মাসে প্রেসিডেন্সি হিসেবে দায়িত্ব শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নীতিকে সমর্থন করে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপে সঙ্কটে দেশটির অবস্থান তার অবস্থানের পরিবর্তন বুঝায় এবং তারা একটি নতুন বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য রাখতে চায়। যেখানে মস্কো এবং বেইজিং উভয়েই উপসাগরীয় এই দেশটির জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গালফ স্টেট এনালাইটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা জর্জিও ক্যাফিয়েরো বলেছেন, আবু ধাবি একটি নমনীয় পররাষ্ট্রনীতি চাইছে। যেখানে তাদের পশ্চিমা অংশীদারদের বাইরেও সম্পর্ক বিস্তৃত হবে। সামনের দিকে তাকিয়ে তারা আশা করছে চীন, রাশিয়া এবং ভারত আরো প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করবে। যেখানে মার্কিনিদের রেখে যাওয়া শূন্যতা পূরণ করছে উদীয়মান বৈশ্বিক শক্তিগুলো।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে আন্তর্জাতিক সাড়া বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। কিন্তু শুক্রবার ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে আমিরাত। এর ফলে স্পষ্ট হয়েছে যে, ওয়াশিংটনের আহ্বানে সাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা বৃহস্পতিবার স্বীকার করেছেন যে, আবু ধাবি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক চাপযুক্ত পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে। তবে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন যে, উভয় পক্ষই এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবে।
কাফিয়েরো বলেন, রাশিয়াকে সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখে। তাই তারা ইউক্রেন যুদ্ধে সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলছে, যাতে মস্কোর সঙ্গে সমস্যাকে এড়ানো যায়। তবে এতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত বৃহস্পতিবার বলেছে, ইউক্রেনের জনগণ পৌঁছামাত্র ভিসা পাবেন। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে কিন্তু এমন সুবিধা দেয়নি আমিরাত। তারা ইউক্রেনিয়ানদের জন্য ভিসা সুবিধা স্থগিত করেছিল। এ ছাড়া বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউক্রেনিয়ান বেসামরিক জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫০ লাখ ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের রাজনৈতিক দিক আছে। তবে সেখানে যে প্রস্তাব পাস হয় তা বাধ্যতামূলক নয়। পক্ষান্তরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অধিক ফলপ্রসূ। তবে এতে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা আছে রাশিয়ার। কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের আহ্বান এবং এ জন্য চ্যানেল উন্মুক্ত আছে এমনটা বলার একদিন পরে জাতিসংঘে নিয়োজিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূত লানা নুসেইবেহ বুধবার বলেছেন, ঠিক এই মুহূর্তে আমরা মেনে নিচ্ছি যে, যে প্রস্তাবনা গৃহীত হলো তা প্রয়োজনীয় এক সিগন্যাল। এটা আমাদের মানা উচিত।
কিংস কলেজ লন্ডনের স্কুল অব সিকিউরিটি স্টাডিজের সহযোগী প্রফেসর অ্যান্দ্রেস ক্রিগ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিন্ন ভোট ভারসাম্য প্রদর্শন করেন। তারা এই ভারসাম্যগত অবস্থান বেছে নিয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কটে এবং বিস্তৃত পররাষ্ট্রনীতিতে। যুদ্ধের এই সময়টাতে রাশিয়াকে সমর্থন করতে উদগ্রীব সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা এ সময়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ মাসে প্রেসিডেন্সি হিসেবে দায়িত্ব শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নীতিকে সমর্থন করে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপে সঙ্কটে দেশটির অবস্থান তার অবস্থানের পরিবর্তন বুঝায় এবং তারা একটি নতুন বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য রাখতে চায়। যেখানে মস্কো এবং বেইজিং উভয়েই উপসাগরীয় এই দেশটির জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গালফ স্টেট এনালাইটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা জর্জিও ক্যাফিয়েরো বলেছেন, আবু ধাবি একটি নমনীয় পররাষ্ট্রনীতি চাইছে। যেখানে তাদের পশ্চিমা অংশীদারদের বাইরেও সম্পর্ক বিস্তৃত হবে। সামনের দিকে তাকিয়ে তারা আশা করছে চীন, রাশিয়া এবং ভারত আরো প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করবে। যেখানে মার্কিনিদের রেখে যাওয়া শূন্যতা পূরণ করছে উদীয়মান বৈশ্বিক শক্তিগুলো।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে আন্তর্জাতিক সাড়া বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। কিন্তু শুক্রবার ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে আমিরাত। এর ফলে স্পষ্ট হয়েছে যে, ওয়াশিংটনের আহ্বানে সাড়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা বৃহস্পতিবার স্বীকার করেছেন যে, আবু ধাবি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক চাপযুক্ত পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে। তবে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন যে, উভয় পক্ষই এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবে।
কাফিয়েরো বলেন, রাশিয়াকে সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখে। তাই তারা ইউক্রেন যুদ্ধে সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলছে, যাতে মস্কোর সঙ্গে সমস্যাকে এড়ানো যায়। তবে এতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত বৃহস্পতিবার বলেছে, ইউক্রেনের জনগণ পৌঁছামাত্র ভিসা পাবেন। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে কিন্তু এমন সুবিধা দেয়নি আমিরাত। তারা ইউক্রেনিয়ানদের জন্য ভিসা সুবিধা স্থগিত করেছিল। এ ছাড়া বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউক্রেনিয়ান বেসামরিক জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫০ লাখ ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।