বিশ্বজমিন
রুশ আগ্রাসন: ট্যাবু ভেঙ্গে প্রতিরক্ষা নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনছে জার্মানি
মানবজমিন ডেস্ক
৩ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে জার্মানি। এরইমধ্যে দেশটির সামরিক বাজেট বাড়িয়ে ১১০ বিলিয়ন ডলার করার ঘোষণা দিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। জার্মানির জন্য সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি এক ধরণের ট্যাবুর মতো। মূলত প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দেশটির ভূমিকার কারণেই সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাবধান জার্মানি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি সামরিক তৎপরতা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে সামরিক জোট ন্যাটোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মিলিত অভিযানে অংশ নেবার চাপ সামলাতে গিয়ে দেশটির সামরিক দুর্বলতা আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে এবার ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মুখে সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলতে চাচ্ছেন দেশটির নেতারা। বর্তমান সরকার অবশেষে প্রতিরক্ষা খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, রুশ হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। দেশটির সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগের বিশেষ জরুরি অধিবেশনে চ্যান্সেলর শলৎস বলেছেন, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার ঘটনা ‘নতুন যুগের সূচনা' করেছে। এতে করে জার্মানির নিরাপত্তাও নতুন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাই নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সেনাবাহিনীর পেছনে ১১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করলেন।
এখন থেকে জার্মানি দেশের জিডিপির দুই শতাংশের বেশি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন শলৎস। সংসদে তার ভাষণে তিনি বলেন, এই যুদ্ধ রাশিয়ার নয়, সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ। তার মতো যুদ্ধবাজের জন্য সীমারেখা স্থির করার ক্ষমতার উপর জোর দেন তিনি। রাশিয়ার এই আগ্রাসনের পক্ষে কোনো যুক্তিই থাকতে পারে না বলে তিনি মনে করেন।
যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বাজেট বৃদ্ধির ঘোষণার ফল পেতে অনেক সময় লাগবে। তার আগেই কোনো অঘটন ঘটলে জার্মানিকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ন্যাটোর উপর আরও নির্ভর করতে হবে।শুধু সামরিক বাজেট বৃদ্ধিই নয়, অন্য ক্ষেত্রেও অতীতের নানা রক্ষণশীল নীতি ত্যাগ করতে শুরু করেছে জার্মানি। গত শনিবার দেশটি অতীতের নীতি ত্যাগ করে যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জার্মান সংসদের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে ইউনিয়ন শিবির সরকারের এই নীতির পক্ষে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গও জার্মানির এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, রুশ হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। দেশটির সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগের বিশেষ জরুরি অধিবেশনে চ্যান্সেলর শলৎস বলেছেন, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার ঘটনা ‘নতুন যুগের সূচনা' করেছে। এতে করে জার্মানির নিরাপত্তাও নতুন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাই নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সেনাবাহিনীর পেছনে ১১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করলেন।
এখন থেকে জার্মানি দেশের জিডিপির দুই শতাংশের বেশি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন শলৎস। সংসদে তার ভাষণে তিনি বলেন, এই যুদ্ধ রাশিয়ার নয়, সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ। তার মতো যুদ্ধবাজের জন্য সীমারেখা স্থির করার ক্ষমতার উপর জোর দেন তিনি। রাশিয়ার এই আগ্রাসনের পক্ষে কোনো যুক্তিই থাকতে পারে না বলে তিনি মনে করেন।
যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বাজেট বৃদ্ধির ঘোষণার ফল পেতে অনেক সময় লাগবে। তার আগেই কোনো অঘটন ঘটলে জার্মানিকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ন্যাটোর উপর আরও নির্ভর করতে হবে।শুধু সামরিক বাজেট বৃদ্ধিই নয়, অন্য ক্ষেত্রেও অতীতের নানা রক্ষণশীল নীতি ত্যাগ করতে শুরু করেছে জার্মানি। গত শনিবার দেশটি অতীতের নীতি ত্যাগ করে যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জার্মান সংসদের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে ইউনিয়ন শিবির সরকারের এই নীতির পক্ষে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গও জার্মানির এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।