অনলাইন

টিআই’র প্রতিবেদন প্রকাশ

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম

স্টাফ রিপোর্টার

২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম। এ বছর বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে ১৩তম অবস্থানে এসেছে। কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায়ও এক ধাপ অবনমন ঘটে ১৪৬ থেকে ১৪৭তম অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির ধারণা সূচকে এ বছর বাংলাদেশ ২৬ স্কোর পেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে রয়েছে মাদাগাস্কার ও মোজাম্বিক। সূচকে ৪০ স্কোর পেয়ে ৮৫ এবং ২৮ স্কোর পেয়ে ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ড. ইফতেখার আরও বলেন, গত বছরও বাংলাদেশ একই স্কোর পেয়েছিল। সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। এর আগে বাংলাদেশ ২০২০, ২০১৯ ও ২০১৮ সালে একই স্কোর পেয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের পর বাংলাদেশের অবস্থান। বৈশ্বিকভাবে সর্বোচ্চ ৮৮ স্কোর পেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যৌথভাবে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। সর্বনি¤œ ১১ স্কোর পেয়ে তালিকার শেষে রয়েছে দক্ষিণ সুদান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সিপিআই তৈরিতে দুর্নীতি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র এই তিনটি বিষয়কে মূলমন্ত্র হিসেবে নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশের স্কোর খারাপ হওয়ার পেছনে বেশ কয়েটি কারণ উদঘাটন করেছে টিআই। সংস্থাটির মতে, বড় মাপের দুর্নীতি অনুসন্ধানে সরকারের ব্যর্থতা এখন বাস্তবতা। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে- রাজনৈতিক অবক্ষয় এবং ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও অপরাধের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা; গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিস্ক্রিয়তা এবং দায় এড়ানোর সংস্কৃতি; দেশ পরিচালনা নীতিতে সাধারণ জনগণের স্বার্থের চেয়ে উচ্চবিত্তদের প্রাধান্য দেয়া এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার; কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও স্বাস্থ্যখাতে নানা কেলেঙ্কারি; বড় ধরণের দুর্নীতিকে বিচারের আওতায় না আনা এবং রাঘব বোয়ালদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুদকের অকার্যকর ভূমিকা; আর্থিক ও ব্যাংকিং সেক্টরে ঋণখেলাপীদের বাঁচাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং চুক্তির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ; গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের কার্যক্রম সংকুচিত করা; মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা এবং তথ্য, সংবাদ প্রকাশ ও বিরোধীমতের প্রতি অসহনশীলতা। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পেছনের কারণ হিসেবে আইনের শাসনের ঘাটতি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যহারকে উল্লেখ করেছে টিআই।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status