বাংলারজমিন
মৌলভীবাজারে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৯:২৬ অপরাহ্ন
প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার জেলায় এখন ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশি। গেল কয়দিন থেকে সূর্যের আলোর দেখা না মেলায় তাপমাত্রা ৯-১৪ এর মধ্যে উঠানামা করছে। আর বাড়ছে ঠাণ্ডা। এখন শীতে কাবু শিশু ও বয়স্করা। বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হারও। এখন প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের পরিসংখ্যান। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দৈন্দিন প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায় গেল এক সপ্তাহে ১ হাজার ১শ’ ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৭৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তবে চলমান এমন পরিস্থিতিতেও জেলাজুড়ে দৃশ্যমান হচ্ছে না করোনাকালীন সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি। স্থানীয় পর্যায়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আগের মতো নেওয়া হচ্ছে না কঠোর কোনো প্রদক্ষেপ। গেল এক সপ্তাহের পরিসংখ্যনে দেখা যায় প্রতিদিনই শনাক্তের হাড় বাড়ছে। ঘরে ঘরে মানুষের জ্বর, সর্দি ও কাশির সঙ্গে রয়েছে প্রচণ্ড গলাব্যথা, মাথাব্যথা। এ ধরনের রোগীদের করোনা টেস্ট করালেই পজিটিভ আসছে। কিন্তু অনীহার কারণে অধিকাংশ মানুষ টেস্ট করাতে যাচ্ছেন না। উপসর্গ থাকলেও শনাক্ত না হওয়ায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায় ২৪শে জানুয়ারি ২৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিনের আক্রান্তের হার ছিল ৪৯.৮ শতাংশ। ২৩ জানুয়ারি ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭০ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিনের আক্রান্তের হার ৪৪.৯ শতাংশ। ২২ জানুয়ারি ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওইদিনের নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশ। ২১শে জানুয়ারি ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৩৯.২ শতাংশ। ২০শে জানুয়ারি ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩৮.৪ শতাংশ। ১৯ জানুয়ারি ১৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩৬.৪ শতাংশ। ১৮ই জানুয়ারি ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৯.৯ শতাংশ। ওই এক সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত কেউ মৃত্যুবরণ করেননি। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৪২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৫১৪ জন। সরকারি হিসাবে মারা গেছেন ৭২ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা শতাধিক। জেলাজুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মানার নেই কোনো লক্ষণ। জেলা ও উপজেলার জনসমাগম স্থানগুলো থেকে স্বাস্থ্যবিধি উধাও। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে অনেকটাই উদাসীন এমনটিই মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তাদের জোর দাবি আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।