শেষের পাতা

জনগণের টাকায় যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট পুষছে সরকার

সংসদ রিপোর্টার

২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ৯:২৫ অপরাহ্ন

বিএনপি দলীয় এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেছেন, জনগণের টাকা খরচ করে সরকার দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম পুষছে। জবাবে সরকারি দলের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ দাবি করেছেন, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন করতে বিএনপি লবিং চালাচ্ছে। গতকাল সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সময় এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এই আলোচনায় আরও অংশ নেন সরকারি দলের সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, হাবিবুর রহমান, নেসার আহমেদ, সৈয়দা রুবিনা আখতার, সুবর্ণা মোস্তাফা, মমতা হেনা লাভলী, নার্গিস জামান ও বেগম জাকিয়া পারভীন খানম, ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য লুৎফুন্নেসা খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।

জনগণের টাকায় সরকার যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট পুষছে:
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি’র সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম পুষছে সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আর সব মন্ত্রী প্রথমে খুব কড়া ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করলেও এখন গলার স্বর নিচু। এখন নিজেদের সমস্যা খতিয়ে দেখার আলাপ হচ্ছে। প্রয়োজনে লবিস্ট, ল ফার্ম নিয়োগের কথা হচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ কোনো নতুন বিষয় নয়। জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম পুষছে সরকার। তিনি দাবি করেন, একটি ফার্ম বিজিআরকে গত বছর সরকার ত্রৈমাসিক ৮০ হাজার ডলার করে দিয়েছে, বছরে যার পরিমাণ ৩ লাখ ২০ হাজার ডলার (আনুমানিক ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)। বিজিআর ছাড়াও গত বছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডল্যান্ডার গ্রুপের সঙ্গে ৪০ হাজার ডলারে একটি চুক্তি করে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম। এ ছাড়া কোনওয়াগো কনসালটিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এক মাসের জন্য আরেকটি চুক্তি করে। ৩৫ হাজার ডলার অগ্রিম দেয়ার শর্তে চুক্তিটি হয়। তিনি আরও দাবি করেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ অ্যালক্যাড অ্যান্ড ফে নামের লবিং প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ১২ লাখ ডলারের (১০ কোটি টাকার বেশি) বেশি দিয়েছে। র‌্যাবের প্রতি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে ধরে রুমিন বলেন, পরিস্থিতি দেখে এটা স্পষ্ট, নিষেধাজ্ঞা এখানেই শেষ হচ্ছে না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিশ্বের স্বনামধন্য ১২টি মানবাধিকার সংস্থা র?্যাবের সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে পদায়নের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘে জোর দাবি জানিয়েছে। জনগণের করের টাকায় চলা একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করে তাতে কর্মরত অনেক নিরপরাধ মানুষ এবং তাদের পরিবারের জীবনে সংকট তৈরি করেছে সরকার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর এক মজার ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এখন আর র?্যাব গভীর রাতে সন্ত্রাসীদের নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাচ্ছে না কিংবা গোপন সংবাদ পেয়ে কোনো সন্ত্রাসীকে ধরতে গিয়ে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশ বা র?্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে না। আর তারপর পালানোর সময় মারা যাচ্ছে না কোনো নির্দিষ্ট মানুষ। ঠিক যেমন সন্ত্রাসীরা সাধু হয়ে গিয়ে র?্যাবকে গুলি করা বন্ধ করেছিল সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদকে হত্যার পরপর।’ রুমিন ফারহানা বলেন, এখন মার্কিন চাপে নানাদিকে তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার। মজার ব্যাপার এখানেও আবার সঠিক পথে না গিয়ে উল্টো পথে হাঁটছে। গুম হওয়া বেশকিছু মানুষের ব্যাপারে যেহেতু জাতিসংঘ তথ্য চেয়েছে, তাই সরকার ব্যাপারটির সমাধান করতে চাইছে গুম হওয়া মানুষদের পরিবারের ওপর নতুন করে নিপীড়ন চালিয়ে। তাদের স্বজনকে কেউ তুলে নিয়ে যায়নি এমন কথা লিখিত বিবৃতি দিতে আর সাদা কাগজে সই দিতে বাধ্য করছে পুলিশ। নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক বাস্তবতা, তাতে বাধা, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো- নির্বাচনকালীন সরকারটি কেমন? বাংলাদেশে মোটাদাগে যে চারটি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ধরা হয়, তার প্রতিটিই হয়েছে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীন। ২০১৪ এবং ২০১৮-এর পর নির্বাচনী বাস্তবতা আরও অনেক বেশি কঠিন। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশনে যদি পাঁচজন ফেরেশতাও বসানো হয়, তারপরও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া অসম্ভব। সুতরাং এখনই সময়, এই বিষয়ে একটি স্থির সিদ্ধান্তে আসা। রুমিন ফারহানা বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, বিরোধী দল-মত দমন, বিরাজনৈতিকীকরণ, সেপারেশন অব পাওয়ার মুছে ফেলে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের অধীন করা, বীভৎস দুর্নীতি, সব কিছুর ফল হয়েছে এই যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশনের রিপোর্টে। এছাড়া, গণতন্ত্রের সূচক প্রকাশকারী ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ফ্রিডম হাউজ, বেরটেলসম্যান স্টিফ টুং, ভি-ডেম, ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, সিভিল লিবার্টি নিয়ে কাজ করা সিভিকাস, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, আইনের শাসনের সূচক প্রকাশকারী ওয়ার্ল্ড জাস্টিস রিপোর্ট, দুর্নীতির সূচক প্রকাশকারী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, নির্বাচনের মান নিয়ে সূচক প্রকাশ করা ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্টের গত কয়েক বছরের রিপোর্টে বাংলাদেশের দুরবস্থার চিত্র পরিষ্কার। এসবই সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত করার জন্য তারা সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াচ্ছে:
জবাবে যশোর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সরকারদলীয় সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বিএনপিকে আন্তর্জাতিক লবিংবাজ আখ্যায়িত করে বলেন, বিএনপির লবিংয়ের কারণে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে কল্পকাহিনী আমরা দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত করার জন্য তারা সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে বিএনপির লবিংয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্ব সাড়া দেয়নি। তাদের অপতৎপরতার পরেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের ওপর আস্থা রাখছে সব দেশ। বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রুমিন ফারহানার বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, একজন সদস্য কল্পনাপ্রসূত সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে বিভিন্ন রূপকল্প তুলে ধরেছেন। আমরা সবাই জানি কোন দলের জন্ম হয়েছে সেনা ছাউনিতে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর ১৯৭৮ সালে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। তাদের নেতা জিয়াউর রহমান তখন যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশের মাটিতে পুনর্বাসন করেছেন। শাহ আজিজুর রহমানের মতো কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসিয়েছিলেন। কাজী নাবিল বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত একাধিক সেনা অভ্যুত্থানের নামে একের পর এক মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। শুনেছি জিয়াউর রহমান ব্রেকফাস্টের টেবিলে বসে একসঙ্গে ২০ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ আবারও সুসংগঠিত হয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সুসংহত করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০০১ সালে বিভিন্ন লবিংয়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে সরিয়ে চারদলীয় সরকারকে আনার পর আমরা নিজামী-মুজাহিদের মতো যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখেছি। দেখেছি একের পর এক বাংলাভাই, ইংরেজি ভাইয়ের উত্থান। একই দিনে ৬০টি জেলার ৫০০ স্থানে বোমা হামলা দেখেছি। দেখেছি জঙ্গি হামলা। তখন বাংলাদেশ হতে যাচ্ছিল জঙ্গিভূমি। তখন স্লোগান উঠেছিল- ‘বাংলা হবে আফগান’। কাজী নাবিল বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব করোনা মহামারি মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে আমরা জীবন ও জীবিকা উভয়ের ভারসাম্য রাখতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল বলেই জনগণ আওয়ামী লীগকে বারবার নির্বাচিত করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সামনের দিনেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

লবিস্ট বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি:
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আসলেই যুক্তরাষ্ট্রে ‘লবিস্ট’ নিয়োগ করেছে কিনা, করে থাকলে কোন দল কত টাকা খরচ করেছে, ওই টাকা কোথা থেকে খরচ করা হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। জবাবে আগামীতে তথ্য-প্রমাণসহ সংসদে বক্তব্য তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সংসদে অনির্ধারিত আলোচনার সুযোগ নিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্টের পেছনে ৩২ কোটি টাকা খরচ করেছে। কী কারণে তারা এই লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল? এটা কী দেশের জনগণের স্বার্থে? রাষ্ট্রের স্বার্থে? নাকি জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে? এই বিষয়টি ক্লিয়ার হয়নি। তিনি আরও বলেন, প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিএনপির একজন নেতা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল ২০১৪ সাল থেকে লবিস্ট নিয়োগ করে আসছে। ক্ষমতাসীন দল লবিস্টের পেছনে তিন লাখ ২০ হাজার ডলার বা ৩০ কোটি টাকা প্রতি বছর খরচ করে আসছে। ক্ষমতাসীন দল কি আসলে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল? কী কারণে করেছিল? এই টাকা কী সরকারের কোষাগার থেকে গেছে? নাকি দলের নিজস্ব সোর্স থেকে গেছে? একইভাবে দেশের মানুষ, আমরাও জানতে চাই- বিএনপি লবিস্ট নিয়োগের টাকা কোত্থেকে পেলো? ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও লবিস্ট নিয়োগ করেছিল কিনা, করলে তার ফান্ড কোত্থেকে পেলো? সার্বিক বিষয়ে নিরপেক্ষ সংস্থার তদন্ত বা সরকারের একটি বিবৃতি জানতে চাই। দেশের মানুষকে এটা জানানো হোক। এরপর অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি’র মো. হারুনুর রশীদ বলেন, অনুমান নির্ভর বক্তব্য উপস্থাপন করা ঠিক নয়। ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘকে নোটিস করেছে র‌্যাবকে শান্তিরক্ষা মিশনে না নিতে। সেটার কী অবস্থা, যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটার কী অবস্থা। বিএনপি আসলে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছে কিনা, আওয়ামী লীগ করেছে কিনা- এসব বিষয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করবেন’ বলে তিনি আশা করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status