শরীর ও মন

পুরুষের বড় স্তনের সর্বাধুনিক চিকিৎসা বা গাইনেকোমাস্টিয়া

২০২২-০১-২৪

পুরুষদের স্তন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেলে তাকে গাইনেকোমাস্টিয়া বলা হয়ে থাকে। জীবনের কিছু কিছু সময়ে যেমন- জন্মের পর পর,বয়ঃসন্ধিকালে অথবা বৃদ্ধ বয়সে, এই স্তন বৃদ্ধি পাওয়াকে স্বাভাবিক ধরা হয়।
কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালের পরও যদি পুরুষের স্তন বৃদ্ধির সমস্যাটি থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে সামাজিকভাবে বা বন্ধুমহলে এই সমস্যাটির জন্য অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
অনেকেই এই রোগটির সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে, তারা রোগীর সঙ্গে হাসি তামাশা এবং ঠাট্টা করে থাকেন, যা কিনা রোগীর উপর অনেক সময় মারাত্মকভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে থাকে। এ থেকে আক্রান্ত পুরুষ হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন এবং নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে মারাত্মকভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
গাইনেকোমাস্টিয়া বা স্তন বড় থাকার কারণে অনেক পুরুষ ঠিকমতো নিজের পছন্দের পোশাক পরতে পারেন না। আবার অনেক ক্ষেত্রে বড় স্তনকে ঢাকার জন্য একাধিক পোশাক পরিধান করা লাগে, যা কিনা গরমের সময় তাদের কষ্টকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
বর্তমান সময়ে এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক সহজ হয়েছে। যা কিনা সামান্য একটা সার্জারির মাধ্যমে অনেক সহজে গাইনেকোমাস্টিয়া চিকিৎসা করা সম্ভব। যার মধ্যে অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে কিন্তু এর মধ্যে লাইপোসাকশন হলো গাইনেকোম্যাস্টিয়ার সর্বাধুনিক চিকিৎসা, এছাড়াও রয়েছে সাব কিউটেনিয়াস মাস্টেক্টমি।
কিন্তু চিকিৎসক কোন পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসা নেবেন তার জন্য প্রয়োজন সঠিক অ্যাসেসমেন্ট। যার মাধ্যমে চিকিৎসক পরামর্শ দিতে পারবে রোগীকে তাকে কোন পদ্ধতির মাধ্যমে গেলে সঠিক চিকিৎসাটি হবে।
কেন গাইনেকোমাস্টিয়া হয় কি কারণে?
এর কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে আমাদের শরীরের এন্ড্রোজেন ও এস্ট্রোজেন নামক হরমনের ভারসাম্য নষ্ট হলে গাইনেকোমাস্টিয়া দেখা দেয়।
এছাড়াও নিম্নের কিছু কারণেও গাইনেকোমাস্টিয়া দেখা যেতে পারে:
অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, লিভার বা কিডনির সমস্যা, টিউমার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, অণ্ডকোষের টিউমার, লিভার ক্যান্সার, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নিলে, যেমনঃ স্টেরয়েড, প্রেসারের ওষুধ, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, অ্যালকোহল বা বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য।
এই পদ্ধতিতে নিপলের চারিদিক দিয়ে অপারেশন করা হয় বলে দাগগুলো সাধারণ ভাবে দেখা যায় না। কিন্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপারেশনের পর আবার হতে পারে। এই অপারেশনের ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী কিন্ত পুনরায় ওজন, হরমোনজনিত সমস্যা স্টেরয়েড ও অন্যান্য কিছু ওষুধ ক্রমাগত সেবনে গাইনেকোমাস্টিয়ার আকার হতে পারে।
অপারেশনের সুবিধা সমূহ:
পুরুষদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। রোগী তার আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়।
অপারেশনের পর করণীয়:
অপারেশনের পরের দিন বা দ্বিতীয় দিন থেকে বাইরে বা অফিসে যেতে পারবেন। দ্বিতীয় দিন হতে প্রেসার গার্মেন্টস ব্যবহার করতে হবে ৪/৬ সপ্তাহ (দিনে ১৬-১৮ ঘন্টা)।
এক সপ্তাহ সকল প্রকার ড্রাইভিং বন্ধ।
৪ সপ্তাহ পর থেকে হালকা ব্যয়াম করা যাবে। ৬ সপ্তাহ পর স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড করতে পারবেন।
ডা. চৌধুরী রাশেদুল মুগনী
সহকারী অধ্যাপক
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগ,
বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতাল
চেম্বার: বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যান্ড ফুট কেয়ার লিমিটেড
কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, গ্রাউন্ড ফ্লোর, মোহাম্মদপুর (শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের বিপরীতে) ঢাকা। মোবাইল নং: ০১৭১৪-০২৮ ৩০০।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status