দেশ বিদেশ
শিল্প-সংস্কৃতি আত্মার মতোই অবিনশ্বর
রুকসানা রহমান
২৪ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ৮:৫০ অপরাহ্ন
সামাজিক অবক্ষয়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছে আমরা যখন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছিলাম তখন বাণিজ্যিক ভোগবাদে আসক্ত হতে হতেই সামাজিক মূল্যবোধের অভাব অনুভব করতে করতেই যান্ত্রিকতার চরম পর্যায়ে পৌঁছাতেই কোভিডের ছোবল যেন এক নতুন প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলো। আমাদের অনুভূতির গভীরে যেন উচ্চারিত হলো এক বেঁচে থাকার হাহাকার। জীবনের স্পন্দন। গোটা বিশ্ব যখন আতঙ্কগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, মৃত্যুর মিছিলে বিপর্যস্ত, স্বাভাবিক জনজীবন স্তব্ধ, চরম বিপজ্জনক, বিপন্ন। জীবনের চেনা বেসুরো সুর, বিজ্ঞান যেখানে বিভ্রান্ত, ধর্ম সৃষ্টিকর্তার দিকে অসহায় দৃষ্টিকোণ নিয়ে চিন্তার খোরাক খোঁজ করছে ঠিক সেই সংকট মুহূর্তে এত কিছুর হারানোর মধ্যে, জীবন আকাশে এক রঙিন পালকে সংযোজন হলো নতুন এক অধ্যায়।
শিল্প-সংস্কৃতি অবিনাশী আত্মার মতোই অবিনশ্বর। সংস্কৃতির অন্তর্জলি যাত্রায় বিশ্ব মানচিত্রে এক গভীর সংকট অনুভব করে যখন শিল্প ও সাহিত্য অনুরাগীরা দিশাহারা। তখনই এত প্রতিকূলতার মধ্যেও সংস্কৃতিকে বাঁচানোর মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত হয়েছে। সে যেন নিঃশব্দে চুপিসারে বাড়ির কার্নিশ, ইটের দেয়ালে কংক্রিটের বাধা ভেদ করে মাথা তুলে দাঁড়াতে চেয়েছে। ভালোবাসার আলিঙ্গনে বোঝাতে চেয়েছে, ‘আমিই শেষ সত্য।’
আমার পথই বিশ্ব শান্তির পথ প্রশস্ত। এই পথেই মানুষের আত্মার মুক্তি ঘটবে। বহু বছরের মানব-মনীষার স্বপ্ন। নতুন উদ্যমে অধিকার করেছে শিল্প সাহিত্যের সংস্কৃতির পরিবারের অনুরাগী সম্ভাবনাময় প্রতিশ্রুতিবান মানব হৃদয়ের মনন। ২০১৯ সালের শেষ লগ্নে কোভিডের দাপটে আতঙ্কগ্রস্ত সারা বিশ্ব, গৃহবন্দি আমরা সবাই। সবদিক থেকে সংস্কৃতি অঙ্গনের ওপর অমানিশার কালো ছায়া নেমে আসে। এক শ্বাসরুদ্ধকর স্থবির বাতাস আমাদের গ্রাস করছিল। মানুষের স্বাভাবিক চলমান জীবনযাত্রার ওপর বিপর্যয়ের শোক নেমে এসেছিল।
বিশ্বের মানুষগুলো মানসিকভাবে যে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। কিছু বুদ্ধিজীবী মানুষের ভাবনার মধ্যে এলো, ‘এভাবে চলতে দেয়া যায় না’- তাই গৃহবন্দি অবস্থায় নিজেকে সহ সব অর্থাৎ পুরো বিশ্বের মানুষকে কীভাবে সুস্থ স্বাভাবিক রাখা উচিত। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই জন্ম নিলো সংস্কৃতির ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফরম। এখানেই থেমে থাকেনি বিশ্বে মানচিত্র নতুন এক বাতাবরণ তৈরি করছে। ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে থেকেও কষ্টকে লাঘব করার প্রচেষ্টা। ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফরম আমাদের মধ্যে গোটা বিশ্বের সঙ্গে নিবিড় যোগসূত্র তৈরি করেছে। বেশ কয়েকটি উজ্জ্বল গ্রুপ পেজের মধ্যে ধ্রুবতারা অন্যতম। নাম- ঝড়ঁষ ঈড়হহবপঃরহম গঁষঃরফরসবহংরড়হধষ ঈঁষঃঁৎধষ চষধঃভড়ৎস গ্রুপ পেজ।
যেখানে পৃথিবীর ঐতিহ্যমণ্ডিত দেশগুলোর চিন্তাশীল মানুষের একত্রিত হয়েছে। ক্ষুদে শিল্পী থেকে সিনিয়র শিল্পীরা কবিতা, গান, নাচ পরিবেশনা করে থাকেন। উৎসাহ দেয়ার জন্য প্রতিযোগিতা ইভেন্ট ও পরিচালনা করেন, অ্যাডমিন প্যানেল এবং মডারেটর- সোমা ইমরান, আনুশকা খান, মো. আসিফ, নাজনীন হিমিও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
পেজ ক্রিয়েটর সেনিজ খানের স্বপ্ন ‘সবাই যেন এই প্ল্যাটফরমে তাদের ইচ্ছা শক্তি তুলে ধরেন। বর্তমান ও নতুন প্রজন্মকে নতুন কিছু দেয়ার পরিকল্পনাও আছে যার বাস্তবায়ন শুরু করেছি।’ জিওলজির প্রফেসর দৌলত আহামেদ চৌধুরী বলেন, যারা লাইভের সামনে আসতে চাইছেন না কিন্তু সংস্কৃতির অঙ্গনকে ভালোবেসে গান, নাচ বা কবিতা আবৃত্তি করেন তাদের অগ্রাধিকার সবসময়ই। আমরা তাদের পাশে আছি।
এই প্ল্যাটফরমটি শাখা-প্রশাখায় পরিপূর্ণ হতে চলছে। এই পেজটি শিল্পকলার যোগসূত্রে কলতানে মুখরিত হয়ে আমাদের নিয়ে যাবে আলোর দিকে। যেকোনো দুঃসময়ে মানবিক অস্তিত্বের জানান দেবে।
লেখক: সদস্য, এডমিন প্যানেল সোল কানেকটিং মাল্টিডাইমেনশনাল কালচারাল প্ল্যাটফরম
শিল্প-সংস্কৃতি অবিনাশী আত্মার মতোই অবিনশ্বর। সংস্কৃতির অন্তর্জলি যাত্রায় বিশ্ব মানচিত্রে এক গভীর সংকট অনুভব করে যখন শিল্প ও সাহিত্য অনুরাগীরা দিশাহারা। তখনই এত প্রতিকূলতার মধ্যেও সংস্কৃতিকে বাঁচানোর মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত হয়েছে। সে যেন নিঃশব্দে চুপিসারে বাড়ির কার্নিশ, ইটের দেয়ালে কংক্রিটের বাধা ভেদ করে মাথা তুলে দাঁড়াতে চেয়েছে। ভালোবাসার আলিঙ্গনে বোঝাতে চেয়েছে, ‘আমিই শেষ সত্য।’
আমার পথই বিশ্ব শান্তির পথ প্রশস্ত। এই পথেই মানুষের আত্মার মুক্তি ঘটবে। বহু বছরের মানব-মনীষার স্বপ্ন। নতুন উদ্যমে অধিকার করেছে শিল্প সাহিত্যের সংস্কৃতির পরিবারের অনুরাগী সম্ভাবনাময় প্রতিশ্রুতিবান মানব হৃদয়ের মনন। ২০১৯ সালের শেষ লগ্নে কোভিডের দাপটে আতঙ্কগ্রস্ত সারা বিশ্ব, গৃহবন্দি আমরা সবাই। সবদিক থেকে সংস্কৃতি অঙ্গনের ওপর অমানিশার কালো ছায়া নেমে আসে। এক শ্বাসরুদ্ধকর স্থবির বাতাস আমাদের গ্রাস করছিল। মানুষের স্বাভাবিক চলমান জীবনযাত্রার ওপর বিপর্যয়ের শোক নেমে এসেছিল।
বিশ্বের মানুষগুলো মানসিকভাবে যে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। কিছু বুদ্ধিজীবী মানুষের ভাবনার মধ্যে এলো, ‘এভাবে চলতে দেয়া যায় না’- তাই গৃহবন্দি অবস্থায় নিজেকে সহ সব অর্থাৎ পুরো বিশ্বের মানুষকে কীভাবে সুস্থ স্বাভাবিক রাখা উচিত। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই জন্ম নিলো সংস্কৃতির ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফরম। এখানেই থেমে থাকেনি বিশ্বে মানচিত্র নতুন এক বাতাবরণ তৈরি করছে। ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে থেকেও কষ্টকে লাঘব করার প্রচেষ্টা। ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফরম আমাদের মধ্যে গোটা বিশ্বের সঙ্গে নিবিড় যোগসূত্র তৈরি করেছে। বেশ কয়েকটি উজ্জ্বল গ্রুপ পেজের মধ্যে ধ্রুবতারা অন্যতম। নাম- ঝড়ঁষ ঈড়হহবপঃরহম গঁষঃরফরসবহংরড়হধষ ঈঁষঃঁৎধষ চষধঃভড়ৎস গ্রুপ পেজ।
যেখানে পৃথিবীর ঐতিহ্যমণ্ডিত দেশগুলোর চিন্তাশীল মানুষের একত্রিত হয়েছে। ক্ষুদে শিল্পী থেকে সিনিয়র শিল্পীরা কবিতা, গান, নাচ পরিবেশনা করে থাকেন। উৎসাহ দেয়ার জন্য প্রতিযোগিতা ইভেন্ট ও পরিচালনা করেন, অ্যাডমিন প্যানেল এবং মডারেটর- সোমা ইমরান, আনুশকা খান, মো. আসিফ, নাজনীন হিমিও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
পেজ ক্রিয়েটর সেনিজ খানের স্বপ্ন ‘সবাই যেন এই প্ল্যাটফরমে তাদের ইচ্ছা শক্তি তুলে ধরেন। বর্তমান ও নতুন প্রজন্মকে নতুন কিছু দেয়ার পরিকল্পনাও আছে যার বাস্তবায়ন শুরু করেছি।’ জিওলজির প্রফেসর দৌলত আহামেদ চৌধুরী বলেন, যারা লাইভের সামনে আসতে চাইছেন না কিন্তু সংস্কৃতির অঙ্গনকে ভালোবেসে গান, নাচ বা কবিতা আবৃত্তি করেন তাদের অগ্রাধিকার সবসময়ই। আমরা তাদের পাশে আছি।
এই প্ল্যাটফরমটি শাখা-প্রশাখায় পরিপূর্ণ হতে চলছে। এই পেজটি শিল্পকলার যোগসূত্রে কলতানে মুখরিত হয়ে আমাদের নিয়ে যাবে আলোর দিকে। যেকোনো দুঃসময়ে মানবিক অস্তিত্বের জানান দেবে।
লেখক: সদস্য, এডমিন প্যানেল সোল কানেকটিং মাল্টিডাইমেনশনাল কালচারাল প্ল্যাটফরম