এক্সক্লুসিভ
খালি মাথায় চুল বুননের প্রক্রিয়া
২৩ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ৮:২২ অপরাহ্ন
ক্ষেতে ধান গাছ বোনার মতো বা চারা রোপণের মতোই আজকাল হেয়ার স্পেশালিস্ট বা বিশেষজ্ঞরা টাক মাথায় চুল বুনে দেন। যাকে বলা হয় ইংরেজিতে Hair Transplantation ‘হেয়ার প্লানন্টেশন’ বা বাংলায় আমরা চুলের বুনন বলি। পদ্ধতিটি যে সহজ তা কিন্ত নয়। আমরা যখন বাংলাদেশে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টেশন শুরু করি তখন সাধারণের বিষয়টি নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ছিল। কিন্ত এখন ইনশাল্লাহ্ চুলের বুনন নিয়ে আমাদের দেশের সাধারণ জনগণের আস্থা বেড়েছে এবং বিদেশ থেকে আনেক তরুণ আমাদের দেশে এসে হেয়ার ট্রান্সপ্লানস্টেশন করে যাচ্ছেন। যা চুলের চিকিৎসায় বাংলাদেশের নবজাগরণ। মাথায় চুল পড়লেই যে হেয়ার ট্রান্সপ্লানস্টেশন করতে হবে তা কিন্ত নয়। এর বেশকিছু থেরাপি ও ওষুধ প্রক্রিয়া রয়েছে। তবে কোন অবস্থায় হেয়ার ট্রান্সপ্লানস্টেশন করতে হবে তা নিয়ে আমরা টাক মাথা রোগীদের সঙ্গে কাউন্সেলিং করে থাকি।
চুল প্রতিস্থাপন বা গজানোর দু’টি পদ্ধতি ‘ইনভেসিভ অ্যান্ড সেমি-ইনভেসিভ। ইনভেসিভ পদ্ধতিতে মাথায় পুরোমাত্রায় অস্ত্রোপচার করা হয়। আর সেমি ইনভেসিভ প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হয় না।’
সেমি-ইনভেসিভ: এ পদ্ধতিতে দুই ধরনের মেজো থেরাপি এবং প্লেটিলেট রিচ প্লাজমা (পিআরপি)। অল্পবয়সেই যাদের চুল পড়ে গেছে, কিন্তু টুলের গোড়ার ‘হেয়ার ফলিকল’গুলো এখনো সুস্থ’ আছে তাদেরকে এই চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্বাভাবিকভাবে চুল বেড়ে ওঠার জন্য কিছু ‘গ্রোথ ফ্যাক্টর’ প্রয়োজন হয়। এই গ্রোথ ফ্যাক্টরগুলো পরীক্ষাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করে রোগীর মাথায় দিয়ে দেই। পিআরপি থেরাপিতে গ্রোথ ফ্যাক্টর তৈরি করা হয় রোগীর রক্ত থেকে সংগৃহীত অনুচক্রিকা থেকে। আর মেজো থেরাপিতে গ্রোথ ফ্যাক্টরগুলো কিনে নিতে হয়। আর মাথার ত্বকের প্রয়োগ করা হয় সুঁই কিংবা ‘মেজো গান’ নামক একটি যন্ত্রের মাধ্যমে, যা মাথার ত্বক ফুটো করে ফ্যাক্টরগুলো চুলের গোড়ায় পৌছে দেয়।
প্রাথমিকভাবে মেজো থেরাপি এবং পিআরপি চিকিৎসা নিতে হবে সাত থেকে আটটি সেশনে। পরের বছরে এক-দুটি সেশন প্রয়োজন হতে পারে। চিকিৎসা এবং ওষুধসহ প্রতি সেশনে খরচ হবে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।
ইনভেসিভ: এ বিষয়ে চিকিৎসক বলেন, ‘যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি, বংশগত অ্যলোপেসিয়া’, ‘মেল প্যাটার্ন বল্ডনেস’ ইত্যাদিতে আক্রান্ত, তাদের চুলের ‘ফলিকলগুলো সাধারণত সস্থ’ থাকে না। তাই এক্ষেত্রে ইনভেসিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে এজন্য রোগীর শারীরিক অবস্থা, রোগবালাই, বয়স ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় খেয়াল রাখতে হয়।
অস্ত্রোপচার প্রক্রিয়ার:
এ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাথার পেছন এবং দুই কানের উপরের অংশ থেকে চুল নিয়ে টাক পড়ে যাওয়া অংশে বসিয়ে দেয়া হয়। দুইভাবে কাজটি করা হয়। একটি হলো ‘ফলিকুলার ইউনিট ট্রান্সপ্লান্ট’, এ পদ্ধতিতে একটি করে চুল নিয়ে টাক পড়ে যাওয়া অংশে বসানো হয়।
আরেকটি হল ‘স্ট্রিপ’ পদ্ধতি। এক্ষেত্রে চুল আছে এমন অংশ থেকে চামড়া কেটে নেয়া হয়। এই কাটা চামড়াকে বলা হয় ‘স্ট্রিপ’। স্ট্রিপটিকে আবার ছোট করে কেটে এক থেকে তিনটি চুলের স্ট্রিপে পরিণত করা হয়।
সবশেষে টাক পড়ে যাওয়া অংশে ছুরি কিংবা সুঁই দিয়ে ছোট গর্ত তৈরি করে সেখানে স্ট্রিপগুলো বসিয়ে দেয়া হয়।
এই পদ্ধতিতে খরচের হিসাব করা হয় চুলপ্রতি ১শ’ টাকা হিসেবে। চুল প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে এই চিকিৎসার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ঘনকালো চুল হয়না। তবে মাথার ফাঁকা অংশ ঢাকা যায়। আর ঘন চুল পেতে চাইলে অস্ত্রোপচার করাতে হবে একাধিকবার। যা শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি খরচও অনেক।
ডা. জাহেদ পারভেজ বড়ভূঁইয়া
লেখক, সহকারী অধ্যাপক (চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং এয়েস্থেটিকস সার্জন )
চেম্বার: ডা. জাহেদ হেয়ার অ্যান্ড স্কিনিক
গ্রীন রোড, পান্থপথ, ঢাকা।
প্রয়োজনে-০১৭০৭-০১১২০০
চুল প্রতিস্থাপন বা গজানোর দু’টি পদ্ধতি ‘ইনভেসিভ অ্যান্ড সেমি-ইনভেসিভ। ইনভেসিভ পদ্ধতিতে মাথায় পুরোমাত্রায় অস্ত্রোপচার করা হয়। আর সেমি ইনভেসিভ প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হয় না।’
সেমি-ইনভেসিভ: এ পদ্ধতিতে দুই ধরনের মেজো থেরাপি এবং প্লেটিলেট রিচ প্লাজমা (পিআরপি)। অল্পবয়সেই যাদের চুল পড়ে গেছে, কিন্তু টুলের গোড়ার ‘হেয়ার ফলিকল’গুলো এখনো সুস্থ’ আছে তাদেরকে এই চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্বাভাবিকভাবে চুল বেড়ে ওঠার জন্য কিছু ‘গ্রোথ ফ্যাক্টর’ প্রয়োজন হয়। এই গ্রোথ ফ্যাক্টরগুলো পরীক্ষাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করে রোগীর মাথায় দিয়ে দেই। পিআরপি থেরাপিতে গ্রোথ ফ্যাক্টর তৈরি করা হয় রোগীর রক্ত থেকে সংগৃহীত অনুচক্রিকা থেকে। আর মেজো থেরাপিতে গ্রোথ ফ্যাক্টরগুলো কিনে নিতে হয়। আর মাথার ত্বকের প্রয়োগ করা হয় সুঁই কিংবা ‘মেজো গান’ নামক একটি যন্ত্রের মাধ্যমে, যা মাথার ত্বক ফুটো করে ফ্যাক্টরগুলো চুলের গোড়ায় পৌছে দেয়।
প্রাথমিকভাবে মেজো থেরাপি এবং পিআরপি চিকিৎসা নিতে হবে সাত থেকে আটটি সেশনে। পরের বছরে এক-দুটি সেশন প্রয়োজন হতে পারে। চিকিৎসা এবং ওষুধসহ প্রতি সেশনে খরচ হবে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।
ইনভেসিভ: এ বিষয়ে চিকিৎসক বলেন, ‘যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি, বংশগত অ্যলোপেসিয়া’, ‘মেল প্যাটার্ন বল্ডনেস’ ইত্যাদিতে আক্রান্ত, তাদের চুলের ‘ফলিকলগুলো সাধারণত সস্থ’ থাকে না। তাই এক্ষেত্রে ইনভেসিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে এজন্য রোগীর শারীরিক অবস্থা, রোগবালাই, বয়স ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় খেয়াল রাখতে হয়।
অস্ত্রোপচার প্রক্রিয়ার:
এ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাথার পেছন এবং দুই কানের উপরের অংশ থেকে চুল নিয়ে টাক পড়ে যাওয়া অংশে বসিয়ে দেয়া হয়। দুইভাবে কাজটি করা হয়। একটি হলো ‘ফলিকুলার ইউনিট ট্রান্সপ্লান্ট’, এ পদ্ধতিতে একটি করে চুল নিয়ে টাক পড়ে যাওয়া অংশে বসানো হয়।
আরেকটি হল ‘স্ট্রিপ’ পদ্ধতি। এক্ষেত্রে চুল আছে এমন অংশ থেকে চামড়া কেটে নেয়া হয়। এই কাটা চামড়াকে বলা হয় ‘স্ট্রিপ’। স্ট্রিপটিকে আবার ছোট করে কেটে এক থেকে তিনটি চুলের স্ট্রিপে পরিণত করা হয়।
সবশেষে টাক পড়ে যাওয়া অংশে ছুরি কিংবা সুঁই দিয়ে ছোট গর্ত তৈরি করে সেখানে স্ট্রিপগুলো বসিয়ে দেয়া হয়।
এই পদ্ধতিতে খরচের হিসাব করা হয় চুলপ্রতি ১শ’ টাকা হিসেবে। চুল প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে এই চিকিৎসার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ঘনকালো চুল হয়না। তবে মাথার ফাঁকা অংশ ঢাকা যায়। আর ঘন চুল পেতে চাইলে অস্ত্রোপচার করাতে হবে একাধিকবার। যা শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি খরচও অনেক।
ডা. জাহেদ পারভেজ বড়ভূঁইয়া
লেখক, সহকারী অধ্যাপক (চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং এয়েস্থেটিকস সার্জন )
চেম্বার: ডা. জাহেদ হেয়ার অ্যান্ড স্কিনিক
গ্রীন রোড, পান্থপথ, ঢাকা।
প্রয়োজনে-০১৭০৭-০১১২০০