বিশ্বজমিন
ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট আসক্তিতে আত্মহত্যা, কোম্পানির বিরুদ্ধে মায়ের মামলা
মানবজমিন ডেস্ক
২২ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
এবার ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মূল কোম্পানি মেটা এবং স্ন্যাপ ইনকরপোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের এক নারী। মামলায় তার অভিযোগ, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যধিক আসক্ত হয়ে পড়েছিল তার মেয়ে। ফলে সে আত্মহত্যা করেছে। তার মেয়ের আত্মহত্যার জন্য দায়ী মেটা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
গত বছর কানেকটিকাটের এনফিল্ড শহরে বসবাসকারী ১১ বছর বয়সী সেলিনা রড্রিগুয়েজ আত্মহত্যা করে। তার এই আত্মহত্যার জন্য তার মা সামাজিক এই যোগাযোগ মাধ্যমের বিপজ্জনক ফিচারকে দায়ী করেছে। এই প্রবণতা ক্রমশ শিশুদের মধ্যে পড়ছে। তারা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেলিনার মা টামি রড্রিগুয়েজের পক্ষে এ বিষয়ে মামলা ফাইল করেছে সোশ্যাল মিডিয়া ভিকটিমস ল’ সেন্টার (এসএমভিএলসি)।
তাতে বলা হয়েছে, ওই বালিকা ইন্সটাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটে চরমমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল। তার কাছ থেকে এ সংক্রান্ত ডিভাইস বহুবার কেড়ে নেন টামি রড্রিগুয়েজ। উদ্দেশ্য ছিল তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে রাখা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বহুবার সেলিনাকে এসব মাধ্যমে আসক্তির কারণে মানসিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার মতো এতটা চরমমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউকে আসক্ত দেখা যায়নি।
সেলিনা ২০২১ সালের ২১ শে জুলাই আত্মহত্যা করে। তার আগে তার মধ্যে মারাত্মক ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। মাসের পর মাস হতাশাগ্রস্ত ছিল সে। বিশেষ করে কোভিড-১৯ শুরুর পর তা আরো বেড়ে যায়। এ সময়ে সে সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়ায় আরো বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছিল।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার বার যৌন বিষয়ে আগ্রহী করার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব বিষয় সে শেয়ার করেছে। এরপর বিভিন্ন ছবি ফাঁস হয়ে যায় এবং তা তার সহপাঠীরা শেয়ার করে। এর ফলে তার মানসিক অবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এ থেকেই মূলত সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল কোর্টে এই মামলা দাখিল করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জেনেশুনে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে উভয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিচার সাজানো হয়েছে এবং তা বাজারজাত করা হয়েছে, যা কম বয়সী বাচ্চাদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে আরো বলা হয়েছে, বিবাদীপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তরুণ তরুণীদের আকৃষ্ট করতে সব বাজে জিনিস সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তাদেরকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখেনি।
এ খবরে স্ন্যাপের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বিবিসিকে বলেছেন, সেলিনার মৃত্যুর খবর শুনে কোম্পানি শোকাহত। তবে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
গত বছর কানেকটিকাটের এনফিল্ড শহরে বসবাসকারী ১১ বছর বয়সী সেলিনা রড্রিগুয়েজ আত্মহত্যা করে। তার এই আত্মহত্যার জন্য তার মা সামাজিক এই যোগাযোগ মাধ্যমের বিপজ্জনক ফিচারকে দায়ী করেছে। এই প্রবণতা ক্রমশ শিশুদের মধ্যে পড়ছে। তারা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেলিনার মা টামি রড্রিগুয়েজের পক্ষে এ বিষয়ে মামলা ফাইল করেছে সোশ্যাল মিডিয়া ভিকটিমস ল’ সেন্টার (এসএমভিএলসি)।
তাতে বলা হয়েছে, ওই বালিকা ইন্সটাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটে চরমমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল। তার কাছ থেকে এ সংক্রান্ত ডিভাইস বহুবার কেড়ে নেন টামি রড্রিগুয়েজ। উদ্দেশ্য ছিল তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে রাখা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বহুবার সেলিনাকে এসব মাধ্যমে আসক্তির কারণে মানসিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার মতো এতটা চরমমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউকে আসক্ত দেখা যায়নি।
সেলিনা ২০২১ সালের ২১ শে জুলাই আত্মহত্যা করে। তার আগে তার মধ্যে মারাত্মক ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। মাসের পর মাস হতাশাগ্রস্ত ছিল সে। বিশেষ করে কোভিড-১৯ শুরুর পর তা আরো বেড়ে যায়। এ সময়ে সে সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়ায় আরো বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছিল।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার বার যৌন বিষয়ে আগ্রহী করার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব বিষয় সে শেয়ার করেছে। এরপর বিভিন্ন ছবি ফাঁস হয়ে যায় এবং তা তার সহপাঠীরা শেয়ার করে। এর ফলে তার মানসিক অবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এ থেকেই মূলত সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল কোর্টে এই মামলা দাখিল করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জেনেশুনে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে উভয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিচার সাজানো হয়েছে এবং তা বাজারজাত করা হয়েছে, যা কম বয়সী বাচ্চাদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে আরো বলা হয়েছে, বিবাদীপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তরুণ তরুণীদের আকৃষ্ট করতে সব বাজে জিনিস সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তাদেরকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখেনি।
এ খবরে স্ন্যাপের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বিবিসিকে বলেছেন, সেলিনার মৃত্যুর খবর শুনে কোম্পানি শোকাহত। তবে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।