বিনোদন
শিল্পী সমিতির নির্বাচন-২০২২
নায়ক বনাম খলনায়ক
স্টাফ রিপোর্টার
২২ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ৯:০১ অপরাহ্ন

দর্শক রূপালী পর্দায় নায়ক-নায়িকা বা খল অভিনেতাদের অভিনয় দেখতেই অভ্যস্ত। এবার সিনেমার দর্শকরা বাস্তব জীবনে ভোটের মাঠে নায়ক বনাম নায়িকা, নায়ক বনাম ভিলেনের মুখোমুখি ভোটযুদ্ধ দেখতে পাবেন। আগামী ২৮শে জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে স্বনামধন্য চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন লড়বেন জনপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগরের বিপক্ষে। ইলিয়াস কাঞ্চন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও তার ইমেজ অন্যরকম। অপরদিকে মিশা সওদাগরও খল অভিনেতা হিসেবে সমাদৃত। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন একাধিকবার। সিনেমার শেষ দৃশ্য সচরাচর নায়কের বিজয় হয়, পক্ষান্তরে খল নায়ক পরাজিত হয়। কিন্তু শিল্পী সমিতির আগামী সভাপতির নেতৃত্ব কে দেবেন তার ফয়সালা হবে নায়ক ও খল নায়কের ভোটযুদ্ধের মাধ্যমে। গত নির্বাচনে জায়েদ খান ও মৌসুমীকে ঘিরে দুটি দলে বিভক্ত হয়েছিল শিল্পী সমাজ। অনেক জল ঘোলা হয়েছিল। মৌসুমীর মতো জনপ্রিয় নায়িকা ভোটযুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন। যদিও সেবারের নির্বাচনে অনেক অভিযোগ উঠেছিল ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে। অভিমানের দেয়াল তৈরি হয়েছিল মৌসুমী ও মিশা-জায়েদ পরিষদের মাঝে। তবে মৌসুমীর অভিমানের দেয়াল ভেঙেছেন জাহিদ হোসেনের ‘সোনারচর’ সিনেমায় মৌসুমী ও জায়েদকে একই মালায় গেঁথে দিয়ে। এদিকে শেষ দুই বছর দায়িত্বে থাকা মিশা ও জায়েদ পরিষদ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আবার তার বিপরীতে করোনাকালীন সময়ে অনেক শিল্পীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, সহযোগিতাও করেছে এই পরিষদ। অন্যদিকে ইলিয়াস কাঞ্চনের মতো সম্মানিত একজনকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় চলচ্চিত্র সমাজ, এমনটাই মনে করছেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল সংশ্লিষ্টরা। ইলিয়াস কাঞ্চন নিজেও নির্বাচনে জয়ী হয়ে চলচ্চিত্র তথা এ অঙ্গনের মানুষদের জন্য কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের শিল্পীরা অনুদান নিতে চায় না। তারা নিয়মিত কাজ করতে চায়। ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই দূরত্ব দূর করতে চাই। তিনি জানান, ফাইট ডিরেক্টর, নৃত্যপরিচালক, চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ইন্ডাস্ট্রির প্রকৃত কাজের মানুষরাও আমাদের প্যানেলের সমর্থন দিচ্ছেন। তারা মন থেকে চাইছেন আমি নির্বাচন করি। এটাই আমাকে শক্তি যোগাচ্ছে। শিল্পীদের জন্য কিছু করতে চাই। ক্ষমতায় এলে নিয়মিত সিনেমার ব্যবস্থা করে শিল্পীদের কর্মসংস্থান বাড়াবেন বলে পরিকল্পনা নিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। অন্যদিকে মিশা সওদাগর বলেন, আমরা শিল্পীদের জন্য গত দুই বছরে কতকিছু করেছি সেটা তারা জানেন। আমার বলার কিছু নেই। তারা যাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন মাথা পেতে নেবো। হারি আর জিতি একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই আমরা।