প্রথম পাতা

ভিসিবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত

শাবি উত্তাল

ওয়েছ খছরু ও আরাফ আহমদ, সিলেট থেকে

২১ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ৯:৫১ অপরাহ্ন

একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শাহ্‌জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা রাতভর খোলা আকাশের নিচে থাকার কারণে সকাল থেকেই তারা কাহিল হয়ে পড়েন। অনেকেই কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। ক্ষণে ক্ষণে অজ্ঞান হন কেউ কেউ। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চারজন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও অনশন ভাঙছেন না। বলছেন- ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা হাসপাতালে থেকেও আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন। এই অবস্থায় গতকালও সিলেটের শাহ্‌জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার কোনো সুরাহা হয়নি। বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও ক্ষোভ দানা বাঁধছে। ভিসি ভবনের সামনের অনশনস্থলকে ঘিরে বিক্ষোভ করেছেন। সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে প্রেসব্রিফিং করা হয়। ওই প্রেসব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন; এই আন্দোলন কেবল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাইরে কেউ আন্দোলন নিয়ে রাজনীতি করলে এর দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা নেবে না। এখানে রাজনৈতিকভাবে কাউকে তারা গ্রহণ করবেন না। তিনি বলেন- আমাদের আন্দোলন একদফা। ভিসি’র পদত্যাগ। সুতরাং ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন ও অনশন চলবে। এদিকে- আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে নতুন করে শিক্ষার্থীরা অনশনে বসবে বলে জানা গেছে। আগামীকাল থেকে ২৪ জনের বাইরে নতুন করে আরও একটি দল আন্দোলনে বসতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত রোববার শাহ্‌জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের আইসিটি ভবনের সামনে ভিসিকে অবরুদ্ধ করেছিলেন বেগম সিরাজুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীরা। ওই কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ভিসি’র পদত্যাগ দাবিতে একদফা আন্দোলনে গেছেন। টানা ৫ দিন ধরে চলছে আন্দোলন। বুধবার থেকে দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক শিক্ষক অনশনস্থলে যান। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাব দিলেও শিক্ষার্থীরা সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তারা শিক্ষকদের কথা শুনতেও রাজি হননি। রাতে অনশন কর্মসূচি পালনের পর সকালের দিকে দু’জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর তীব্র শ্বাসকষ্ট ও অপরজনের জ্বর হয়। পরে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে ডাক্তার ডেকে তাদের চিকিৎসা করান। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল অনশনস্থলে যান। তারা গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চান। শিক্ষার্থীরা এ সময় শিক্ষকদের তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার অনুরোধ জানান। কিন্তু শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করেননি। তারা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা জানান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। শিক্ষার্থীরা এ সময় জানিয়েছেন- আমরা অনশন করে করে মরে যাবো। এরপরও ভিসি’র পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারা জানান- আমাদের কী অপরাধ ছিল; পুলিশ দিয়ে পেটাতে হলো। পরে শিক্ষক প্রতিনিধিদলের প্রধান অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- ওইদিনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত ছাড়া তো কাউকে দোষী বলা যায় না। তদন্ত রিপোর্টে যারা দোষী হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওইদিন হামলার জন্য কে দায়ী সেটি তদন্তের মাধ্যমেই বের করা হবে। তিনি জানান- শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। তারা অনশন করছে, সেটি আমাদের জন্য ভালো খবর নয়। আমাদের মনের অবস্থাও ভালো নেই। ওদের ওখানে রেখে শিক্ষকরাও স্বস্তি পাচ্ছেন না। সুতরাং শিক্ষার্থীদের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর শিক্ষকরা অনশনস্থল ত্যাগ করেন। শিক্ষকরা আসার আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে নাফিজা আনজুম ও আসিফ হোসেন সোহাগ প্রেস ব্রিফিং করেন। তারা দাবি করেন- আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কখনোই শিক্ষকদের গালিগালাজ করা হয়নি। ভার্চ্যুায়ালি কেউ গালিগালাজ করলে এর দায়ভার আমরা নেবো না। আমরা কখনো আমাদের অভিভাবকদের গালি দেইনি। অথচ এই মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভিসি শিক্ষকদের আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা সেটি বুঝেছেন। তারা অভিযোগ করেন- আন্দোলনের শুরু থেকে ভিসি নানাভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। তিনি চাইছেন- ক্যাম্পাসকে আরও অস্থিতিশীল করতে। সুতরাং এই ভিসি’র কাছে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নন। ভিসিকে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। দুপুরের পর শিক্ষকদের ওই প্রতিনিধিদল আবার আসেন অনশনস্থলে। তারা এসে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি। শিক্ষার্থীরা তাদের একদফা দাবিতে অনড় থাকেন। রাতে শিক্ষকরা ফের আসেন। এদিকে- দুপুরের দিকে কাজল নামে অনশনে থাকা এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকালে অনশনে থাকা দুই ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের একটি দল অনশনস্থলে পৌঁছেন। ডাক্তাররা ওই দুই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে সন্ধ্যার একটু আগে তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর আরও এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একে একে চোখের সামনে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় অনশনস্থলের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সহপাঠীর এমন অবস্থা দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলেন- আমরা মরে গেলেও ভিসি’র কিছুই যায় আসে না। তার মসনদ থাকলেই হলো। বিকালে অনশনস্থলে যান সিলেট মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ূম জালালী ও সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল। তারা বেশকিছু সময় অনশনস্থলে অবস্থান করেন। এ সময় আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে এই আন্দোলন নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ জানান। তারা বলেন- ভিসি আন্দোলনকে নানাভাবে বিতর্কিত করতে চাইছেন। সুতরাং আমরা চাই আন্দোলন যেন কেবল ছাত্রদেরই হয়।

সিলেটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিন্দা: শাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলার নিন্দা ও বর্তমান পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার এক বার্তায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন- বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও নির্বিচারে লাঠিপেটাসহ ছাত্রদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে পুলিশ। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিবৃতি দাতারা হলেন- আব্দুর রহিম (এমসি), শামীম আহমদ (এমসি), মোস্তাক আহমেদ (শাবিপ্রবি), আতকিয়া মাদেহা নাহার (মদন মোহন), রিয়াজ উদ্দিন বাবুল (দক্ষিণ সুরমা কলেজ), সাজ্জাদ হোসেন ইমন (ল’ কলেজ), মাসুদ রানা (মদন মোহন), মুরাদ হোসেন (লিডিং), মিজানুর রহমান (এমসি), জামিল আহমেদ (এমসি), ফাবি হাসান (লিডিং), মাহাদি হাসান হিমেল (মেট্রো ইউনিভার্সিটি), কাজী নাজিমুদ্দিন পলাশ (সরকারি কলেজ), এহসানুল হক তালহা (সরকারি কলেজ), ঝুটন চন্দ্র দাশ (এমসি), মনিরা ইয়াসমিন (এমসি), সালমান হোসাইন (এমসি), ফকরুল ইসলাম (এমসি), মামুনুর রশিদ (এমসি), মুরাদ হোসেন (লিডিং), তানজিল আহমেদ (গোয়াইনঘাট কলেজ), মিনহাজ খোকন (মদন  মোহন), আনহার মিয়া (মদন  মোহন) প্রমুখ।

শাবি’র সাবেক শিক্ষার্থী আইনজীবী নেতৃবৃন্দের মানববন্ধন: শাহ্‌জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর নগ্ন হামলার প্রতিবাদ, আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের জীবন ও শিক্ষার নিরাপত্তা বিধান এবং অবিলম্বে ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠুু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শাবি’র সাবেক ছাত্র নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সিলেট জেলা বারের আইনজীবীবৃন্দ। শাবি’র ১ম ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র ও জেলা বারের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট সেলিম মু. আলী আসগরের সভাপতিত্বে এবং প্রাক্তন ছাত্র এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন ছাত্র ব্যারিস্টার ফজল চৌধুরী, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি সিলেট জেলার সভাপতি এডভোকেট আল-আসলাম মুমিন, এডভোকেট মো. তাজ উদ্দিন মাখন, এডভোকেট বদিউল আলম লিটন, এডভোকেট শফিকুর রহমান শফিক, এডভোকেট ইকবাল আহমদ, এডভোকেট তাজ রীহান জামান, এডভোকেট নাজমুল ইসলাম, এডভোকেট সাদেক আহমদ সাজন, এডভোকেট মুমিনুজ্জামান, প্রাক্তন ছাত্র প্রফেসর আব্দুল জলিল, আব্দুল কাদির এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

২৫ নাগরিকের সংহতি প্রকাশ: শাহ্‌জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে দেশে ও প্রবাসে থাকা সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল ২৫ নাগরিকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, শাহ্‌জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এখন শুধু উদ্বেগ জানিয়ে বসে থাকলেই আর চলবে না। ঐতিহ্য আর ভালোবাসার ধারক এ বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বেশ আগে  থেকেই শুরু হয়েছে। প্রতিবারই নাগরিক সমাজ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। আজকের দিনেও বসে থাকার অবকাশ নেই। এখন রাজনীতি আর কৌশল চালাচালির সময় নেই। আমাদেরকে সন্তানদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা দাঁড়ালাম শিক্ষার্থীদের পাশে। আলোচনা হোক আর অনুশোচনার সিদ্ধান্ত হোক- অবিলম্বে শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার অবসান এখন শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, এটি একটি নাগরিক দাবি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করতে শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন- সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট তবারক হোসেন, পুলিশের সাবেক এআইজি মুক্তিযোদ্ধা  সৈয়দ বজলুল করিম, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী  খোকন, স্থপতি ইনস্টিটিউট সিলেট-এর সভাপতি স্থপতি  জেরিনা হোসেন, প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রাহক ডা. শাহজামান  চৌধুরী বাহার, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) সিলেটের সমন্বয়ক এডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, প্রবীণ নাগরিক সংগঠক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, প্রবাসী সংগঠক ও ঐতিহ্য গবেষক সাকী চৌধুরী, বাংলাদেশ  সোসাইটি, আমেরিকার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রানা ফেরদৌস, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট ইইউ শহীদুল ইসলাম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকা-এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট  মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ,  মৌলভীবাজার জেলা সমিতি ঢাকা-এর সভাপতি ডা. সৈয়দ  মোশতাক আহমদ, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক তাজুল মোহাম্মদ, উন্নয়নকর্মী শেখর ভট্টাচার্য, শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনোজ কুমার সেন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট-এর সভাপতি মিশফাক আহমেদ মিশু, উদীচী সিলেট জেলা শাখার সভাপতি এনায়েত হোসেন মানিক, প্রবাসী লেখক ও গীতিকার ইশতিয়াক রুপু, নাগরিক মৈত্রী সিলেটের আহ্বায়ক সমর বিজয় সী শেখর, প্রবাসী সমাজকর্মী ও লেখিকা জেসমিন  চৌধুরী, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন সিলেট-এর সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক  তোফাজ্জল সোহেল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন, মানবাধিকার কর্মী লক্ষ্মীকান্ত সিংহ ও দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরার সংগঠক দেবাশিষ  দেবু।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status