বাংলারজমিন
দুই যুগের বেশি সড়কে সংস্কার নেই, পেকুয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ
জয়নাল আবেদীন, পেকুয়া (কক্সবাজার) থেকে
২১ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ৯:১৭ অপরাহ্ন
কক্সবাজারের পেকুয়ায় দীর্ঘ দুই যুগ ধরে সংস্কার বা কোনো ধরনের উন্নয়ন হয়নি গুরামিয়া চৌধুরী সড়কটি। সড়কটি বর্তমানে গোঁয়াখালী-টেকপাড়া-বিলহাসুরা সড়ক নামে পরিচিত। আড়াই কিলোমিটারের গ্রামীণ জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির অর্ধেক অংশ প্রায় বিলীনের পথে। জানা গেছে, তৎকালীন সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট কামাল হোসেন সড়কটি সর্বপ্রথম মাটি দ্বারা উন্নয়ন করে। পরবর্তীতে কচ্ছপ গতীতে ফ্ল্যাট সলিং দ্বারা সড়কের কিছু অংশ উন্নয়ন হয়। এক কিলোমিটার এখনো কাঁচা সড়ক পড়ে আছে। স্থানীয় আশরাফ মিয়া, নুরুল ইসলাম, ফজল করিম, ফকির মুহাম্মদ, জাফর আহমদ বলেন, বাপ দাদার বসতি এখানে। সড়কটি এক সময় আইল ছিল। সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বিগত ৩০ বছর আগে মাটি দ্বারা উন্নয়ন করে। সড়কটি তিন গ্রামের ৫ হাজার মানুষের একমাত্র চলাচল মাধ্যম। কিছু অংশ ইট বিছানো হয়েছে। অর্ধেক অংশ কাঁচা রয়েছে। বর্ষায় সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এটি দ্রুত ইটদ্বারা সংস্কার ও উন্নয়ন চাই। শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, জিসান, রূপসী বলেন, বর্ষায় সড়কে কোমর সমান পানি থাকে। নৌকা যোগে স্কুলে যেতে হয় আমাদের। বর্ষায় পিচ্চিল রাস্তায় অনেকের বই, খাতা পানিতে পড়ে নষ্ট হয়। গাড়ি চলাচল নেই বললেই চলে। সড়কটির জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কপালের শনির দশা যাচ্ছে না। অসুস্থ রোগীদের দোলনা কিংবা কাঁধে করে হাসপাতালে পৌঁছাতে হয়। সড়কের যে অংশে ইট বসানো ছিল সেগুলো ওঠে গেছে। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, সরকারি হাসপাতাল, উপজেলা প্রশাসন, বাজারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যেতে হলে এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু আশ্বাসের মধ্যেই বন্দি সড়কটির উন্নয়ন। ইউপি সদস্য মো. মানিক বলেন, আসলে সড়কটির প্রতি কারো নজর নেই। সড়কটি তিন গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ব্যবস্থা। কয়েকদিনের মধ্যে কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে সড়কটি উঁচু করা হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে ইট বসানো হবে। ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, সড়কটির প্রায় দুই কিলোমিটার ইট বসানো হয়েছে। বাকি অংশ পর্যায়ক্রমে ইট বসানো হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কিছুদিন আগে সড়কটি দিয়ে একটি মাহফিলে গিয়েছিলাম। অত্যন্ত নাজুক অবস্থা সড়কটির। সংস্কারের জন্য অনেক বাজেট দরকার। এতো বাজেট উপজেলা পরিষদে হয় না। আমি এলজিইডি কর্মকর্তাকে অবশ্যই বলবো সড়কটি দ্রুত সংস্কার বাস্তবায়ন করতে। ৫ লাখ টাকার একটা বাজেট প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পেকুয়ার প্রকৌশলী মুহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, আমি নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে দেখবো।