খেলা
বড় দলগুলোর হুমকি হতে পারে পুলিশ
স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৯:০২ অপরাহ্ন
কাগজে-কলমে এবারের মৌসুমে সেরা দল বসুন্ধরা কিংস। স্বাধীনতা কাপে তাদের হটিয়ে শিরোপার মুকুট পরে নিজেদের জানান দেয় ঢাকা আবাহনী। ফেডারেশন কাপে বসুন্ধরা কিংসের অনুপস্থিতিতে শিরোপা ঘরে তোলে তারা। স্বাভাবিক ভাবেই আসন্ন লীগে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরার সঙ্গে আবাহনীই ফেভারিট। তবে লীগে তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত আছে শেখ রাসেল, সাইফ স্পোর্টিং, বাংলাদেশ পুলিশসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব। তবে এদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ একটি ব্যতিক্রম। স্বাধীনতা কাপে সেমিফাইনাল খেলা দলটির পারফরমেন্স দেখে অন্তত তাই মনে হয়েছে। দলটির ধারাবাহিক পারফরমেন্স লীগে যেকোনো বড় দলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে বহুদিনের পথচলা বাংলাদেশ পুলিশ এফসি’র। স্বাধীনতার পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পুলিশের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। তবে দীর্ঘসময় তৃণমূল ফুটবলে কাটানোর পর অবশেষে ১৯৯৮ সালে সিনিয়র ডিভিশন লীগে খেলার মাধ্যমে পেশাদার ফুটবলে প্রবেশ করে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। এরপর ২০১৩-১৪ মৌসুমের সিনিয়র ডিভিশন ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মাধ্যমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে উত্তীর্ণ হয় ক্লাবটি। এরপর ২০১৮-১৯ মৌসুমের বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের শিরোপা জিতে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে জায়গা পায় দলটি। তবে বাংলাদেশ ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করার পর নিজেদের তেমন একটা মেলে ধরতে পারেনি পুলিশ। গত মৌসুমে ৯ম স্থানে থেকে লীগ শেষ করা পুলিশ তাই এই মৌসুমে দলবদলে বেশকিছু পরিবর্তন আনে। শ্রীলঙ্কার হেড কোচ পাকির আলীর জায়গায় এই মৌসুমে পুলিশের দায়িত্ব নেন রোমানিয়ান কোচ অ্যারিস্টিকা সিওবা। এ ছাড়াও গত মৌসুমে পুলিশের জার্সিতে খেলা ৪ বিদেশি ফুটবলারকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তাদের জায়গায় দুই ব্রাজিলিয়ান দানিলো কুইপাপা ও ডেনিলসন রদ্রিগেজের সঙ্গে মরক্কোর ফুটবলার আদিল কৌসকৌস এবং এশিয়ান কোটায় আফগান ফরোয়ার্ড আমিরুদ্দিন শারিফিকে দলে নেয় তারা। এ ছাড়াও দেশীয় ফুটবলারদের মধ্যে দুই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজু, শাহেদুল ইসলামকেও দলে নিয়েছে ক্লাবটি। এ ছাড়াও এই মৌসুমে পুলিশ এফসিতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে আলো ছড়ানো ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত হোসেন সাকা, ডিফেন্ডার রাসেল হোসেন, মোহাম্মদ রকি, রাশেদুল আলম মনিদের মতো সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলাররা। তাদের নিয়েই মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে খেলে আগমনী বার্তা দেয় পুলিশ। এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ-পর্ব ও সেমিফাইনালে বসুন্ধরা কিংসকে নাজেহাল করে ছাড়ে ক্লাবটি। ফেডারেশন কাপে নানা সমীকরণে গ্রুপ-পর্ব থেকে ছিটকে গেলে পুলিশ এফসি’র ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো দুর্দান্তভাবে সামলান রক্ষণভাগের দায়িত্ব। মাঝমাঠে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ডেনিলসনের সঙ্গে আস্থা যোগাচ্ছেন মোনায়েম খান রাজু। আক্রমণভাগে মরোক্কান ফরোয়ার্ড আদিল কৌসকৌসের সঙ্গে আফগান ফরোয়ার্ড আমিরুদ্দিন শারিফির রসায়নও হচ্ছে বেশ। আর ডাগআউটে তো একজন অ্যারিস্টিকা সিওবা আছেনই। উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী ৫০ বছর বয়সী এই কোচের রয়েছে ঘানা, ওমান, কুয়েত, জর্ডান সহ বিভিন্ন দেশে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একজন কোচের অধীনে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের নতুন আসরে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। দেখা যাক নতুন মৌসুমে বাকি দলগুলোর জন্য কতোটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে ক্লাবটি।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে বহুদিনের পথচলা বাংলাদেশ পুলিশ এফসি’র। স্বাধীনতার পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পুলিশের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। তবে দীর্ঘসময় তৃণমূল ফুটবলে কাটানোর পর অবশেষে ১৯৯৮ সালে সিনিয়র ডিভিশন লীগে খেলার মাধ্যমে পেশাদার ফুটবলে প্রবেশ করে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। এরপর ২০১৩-১৪ মৌসুমের সিনিয়র ডিভিশন ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মাধ্যমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে উত্তীর্ণ হয় ক্লাবটি। এরপর ২০১৮-১৯ মৌসুমের বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের শিরোপা জিতে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে জায়গা পায় দলটি। তবে বাংলাদেশ ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করার পর নিজেদের তেমন একটা মেলে ধরতে পারেনি পুলিশ। গত মৌসুমে ৯ম স্থানে থেকে লীগ শেষ করা পুলিশ তাই এই মৌসুমে দলবদলে বেশকিছু পরিবর্তন আনে। শ্রীলঙ্কার হেড কোচ পাকির আলীর জায়গায় এই মৌসুমে পুলিশের দায়িত্ব নেন রোমানিয়ান কোচ অ্যারিস্টিকা সিওবা। এ ছাড়াও গত মৌসুমে পুলিশের জার্সিতে খেলা ৪ বিদেশি ফুটবলারকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তাদের জায়গায় দুই ব্রাজিলিয়ান দানিলো কুইপাপা ও ডেনিলসন রদ্রিগেজের সঙ্গে মরক্কোর ফুটবলার আদিল কৌসকৌস এবং এশিয়ান কোটায় আফগান ফরোয়ার্ড আমিরুদ্দিন শারিফিকে দলে নেয় তারা। এ ছাড়াও দেশীয় ফুটবলারদের মধ্যে দুই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজু, শাহেদুল ইসলামকেও দলে নিয়েছে ক্লাবটি। এ ছাড়াও এই মৌসুমে পুলিশ এফসিতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে আলো ছড়ানো ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত হোসেন সাকা, ডিফেন্ডার রাসেল হোসেন, মোহাম্মদ রকি, রাশেদুল আলম মনিদের মতো সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলাররা। তাদের নিয়েই মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে খেলে আগমনী বার্তা দেয় পুলিশ। এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ-পর্ব ও সেমিফাইনালে বসুন্ধরা কিংসকে নাজেহাল করে ছাড়ে ক্লাবটি। ফেডারেশন কাপে নানা সমীকরণে গ্রুপ-পর্ব থেকে ছিটকে গেলে পুলিশ এফসি’র ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো দুর্দান্তভাবে সামলান রক্ষণভাগের দায়িত্ব। মাঝমাঠে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ডেনিলসনের সঙ্গে আস্থা যোগাচ্ছেন মোনায়েম খান রাজু। আক্রমণভাগে মরোক্কান ফরোয়ার্ড আদিল কৌসকৌসের সঙ্গে আফগান ফরোয়ার্ড আমিরুদ্দিন শারিফির রসায়নও হচ্ছে বেশ। আর ডাগআউটে তো একজন অ্যারিস্টিকা সিওবা আছেনই। উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী ৫০ বছর বয়সী এই কোচের রয়েছে ঘানা, ওমান, কুয়েত, জর্ডান সহ বিভিন্ন দেশে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একজন কোচের অধীনে অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের নতুন আসরে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। দেখা যাক নতুন মৌসুমে বাকি দলগুলোর জন্য কতোটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে ক্লাবটি।