কলকাতা কথকতা
কলকাতা কথকতা
করোনা-ওমিক্রন মাথায় হাত ফেলেছে ডেস্টিনেশন ম্যারেজ সংস্থাগুলোর
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
১৯ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
প্রতীক রায় চৌধুরী। নামি একটি কোম্পানির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। পারমিতা মুখোপাধ্যায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের পিও অর্থাৎ প্রবেশনারী অফিসার। তিন বছর প্রেম পর্বের পর ২৮শে জানুয়ারি চার হাত এক করার ব্যবস্থা করেছিলেন। ডেস্টিনেশন ম্যারেজ। বাওয়ালির রাজবাড়ী বুক করা হয়ে গিয়েছিল। ক্যাটারিং সংস্থাকে অর্ডার দেয়া হয়েছিল মাটন বিরিয়ানি, চিকেন রেশমি কাবাব, গলদা চিংড়ির মালাই কারি, নবরতন পোলাও, কালি ডাল আর ফিশ ফ্রাই, রসমালাই ও লেডিকেনির। কোভিড আর ওমিক্রনের দাপটে সব বন্ধ।
যদিও মমতা বন্দোপাধ্যায় বিয়েতে আমন্ত্রিত অভ্যাগতের সংখ্যা পঞ্চাশ থেকে বাড়িয়ে দুশো করেছেন। কিন্তু এক প্রতীকের আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব মিলিয়েই প্রায় সাড়ে তিনশো। কাকে বাদ দিয়ে কাকে ডাকা হবে? বিয়েটা হচ্ছে নমো নমো করে কলকাতার কসবার একটি ছোট ব্যাঙ্কয়েট-এ, বাওয়ালির রাজবাড়ীর জায়গায় ৭৫ জনের বসার ব্যবস্থা। চব্ব্য চস্য লেহ্য পেয়র বদলে কড়াই শুঁটির কচুরি, আলুরদম, ফিশ ফ্রাই আর হট গুলাবজামুন। প্রতীক - পারমিতা তবু বিয়েটা করছে। কিন্তু প্রায় ৬৭ শতাংশ ডেস্টিনেশন ম্যারেজ বাতিল হয়েছে করোনার এই সাম্প্রতিক সার্জে, জানালেন ডেস্টিনেশন ম্যারেজ সংস্থা স্বপ্ন’র অন্যতম কর্ণধার সায়ন্তন মিত্র। তার কথায়- ঘরে ঘরে ওমিক্রন। এখন ধুমধাম করে কে বিয়ে করবে বলুন। অথচ জানুয়ারি - ফেব্রুয়ারি - মার্চ বিয়ের ভরা মরসুম। করোনা আর ওমিক্রন ফের এসে সব শেষ করে দিলো।
কলকাতার দুই প্রথম সারির ক্যাটারার ভোজ এবং কোয়ালিটির অবস্থা সঙ্গীন। হয় আমন্ত্রিতের সংখ্যা কমছে, মেনু সংক্ষেপিত হচ্ছে অথবা অর্ডারই বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ভোজের আড়াই - তিনহাজার টাকা প্লেটের বদলে লোকে এখন সাড়ে নয় শো টাকার স্ন্যাকস এর থালি পছন্দ করছে বলে জানালেন সংস্থার অন্যতম কর্তা অভিজিৎ বোস।
কোয়ালিটির সুমন ঘোষ বললেন, দু’শোর বিধি মেনে অনেকেই আমন্ত্রণে যেতে চাইছেন না। কাকে ছেড়ে কাকে বাদ দেবেন? তাই হয় বিয়ে বাতিল হচ্ছে কিংবা নমো নমো করে সাড়া হচ্ছে।
সারা ভারতের ছবিটি আরও বিবর্ণ। মমতা তবু দুশো জনে ছাড় দিয়েছেন, দিল্লিতে সংখ্যাটি ২০, মহারাষ্ট্রে ৫০। ফলে একের পর এক বিয়ে বাতিল কিংবা স্থগিত হচ্ছে। ভারতে তিন মাসে তিনহাজার কোটি টাকার বিয়ের বাজার তাই বিপন্ন।
যদিও মমতা বন্দোপাধ্যায় বিয়েতে আমন্ত্রিত অভ্যাগতের সংখ্যা পঞ্চাশ থেকে বাড়িয়ে দুশো করেছেন। কিন্তু এক প্রতীকের আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব মিলিয়েই প্রায় সাড়ে তিনশো। কাকে বাদ দিয়ে কাকে ডাকা হবে? বিয়েটা হচ্ছে নমো নমো করে কলকাতার কসবার একটি ছোট ব্যাঙ্কয়েট-এ, বাওয়ালির রাজবাড়ীর জায়গায় ৭৫ জনের বসার ব্যবস্থা। চব্ব্য চস্য লেহ্য পেয়র বদলে কড়াই শুঁটির কচুরি, আলুরদম, ফিশ ফ্রাই আর হট গুলাবজামুন। প্রতীক - পারমিতা তবু বিয়েটা করছে। কিন্তু প্রায় ৬৭ শতাংশ ডেস্টিনেশন ম্যারেজ বাতিল হয়েছে করোনার এই সাম্প্রতিক সার্জে, জানালেন ডেস্টিনেশন ম্যারেজ সংস্থা স্বপ্ন’র অন্যতম কর্ণধার সায়ন্তন মিত্র। তার কথায়- ঘরে ঘরে ওমিক্রন। এখন ধুমধাম করে কে বিয়ে করবে বলুন। অথচ জানুয়ারি - ফেব্রুয়ারি - মার্চ বিয়ের ভরা মরসুম। করোনা আর ওমিক্রন ফের এসে সব শেষ করে দিলো।
কলকাতার দুই প্রথম সারির ক্যাটারার ভোজ এবং কোয়ালিটির অবস্থা সঙ্গীন। হয় আমন্ত্রিতের সংখ্যা কমছে, মেনু সংক্ষেপিত হচ্ছে অথবা অর্ডারই বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ভোজের আড়াই - তিনহাজার টাকা প্লেটের বদলে লোকে এখন সাড়ে নয় শো টাকার স্ন্যাকস এর থালি পছন্দ করছে বলে জানালেন সংস্থার অন্যতম কর্তা অভিজিৎ বোস।
কোয়ালিটির সুমন ঘোষ বললেন, দু’শোর বিধি মেনে অনেকেই আমন্ত্রণে যেতে চাইছেন না। কাকে ছেড়ে কাকে বাদ দেবেন? তাই হয় বিয়ে বাতিল হচ্ছে কিংবা নমো নমো করে সাড়া হচ্ছে।
সারা ভারতের ছবিটি আরও বিবর্ণ। মমতা তবু দুশো জনে ছাড় দিয়েছেন, দিল্লিতে সংখ্যাটি ২০, মহারাষ্ট্রে ৫০। ফলে একের পর এক বিয়ে বাতিল কিংবা স্থগিত হচ্ছে। ভারতে তিন মাসে তিনহাজার কোটি টাকার বিয়ের বাজার তাই বিপন্ন।