অনলাইন
'তালেবানরা জনজীবন থেকে নারী, মেয়েদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে', দাবি জাতিসংঘের
মানবজমিন ডিজিটাল
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১:৩৬ অপরাহ্ন
জাতিসংঘের ৩৬ জন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের একটি দল সামনে এনেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আফগানিস্তানে তালেবান নেতারা নাকি লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্য এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চলেছে। সোমবার এক বিবৃতিতে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, 'আমরা আফগানিস্তানে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের বাদ দেওয়ার ক্রমাগত এবং পদ্ধতিগত প্রচেষ্টা নিয়ে উদ্বিগ্ন। জাতিগত, ধর্মীয় বা ভাষাগত সংখ্যালঘু যেমন হাজারা, তাজিক, হিন্দু এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের নারীদের ক্ষেত্রে এই উদ্বেগগুলি আরও বেড়ে যায়।
কারণ তাদের জীবন আফগানিস্তানে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। "তালেবানরা আগস্টে দেশটি দখল করার পর থেকে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থা চালু করেছে। অনেক নারীকে তাদের কাজে ফিরতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ট্যাক্সি চালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, মহিলা যাত্রীরা হিজাব না পরলে গাড়িতে না তুলতে। নারীরা কোনো পুরুষ আত্মীয় ছাড়া ঘর থেকে বেরোতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, "এই নীতিগুলি মহিলাদের কাজ করার এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করেছে, তাদেরকে আরও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে," । পরিবারের মহিলাদের এই পরিণতি দেশে মানবিক সংকটকে আরো বিধ্বংসী পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্কুলে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল মাধ্যমিক এবং উচ্চস্তরের শিক্ষার জন্য দেশের নারী এবং মেয়েদের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। মেয়েদের জন্য বেশিরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্য এতো তীব্র যে, যে সমস্ত মেয়েদের ৭-১২ গ্রেডে পড়া উচিত তাদের স্কুলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দলটি এখন শিশু পাচার, জোরপূর্বক বিবাহ থেকে শুরু করে মেয়েদের শোষণের ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন। তালেবানদের অত্যাচারের জেরে নারীদের জীবন রক্ষাকারী পরিষেবা বা আশ্রয়কেন্দ্রগুলিও আস্তে আস্তে তাদের শিবিরগুলি বন্ধ করে দিচ্ছে।
২০০৯ সালের দেশের বিশেষ আদালত দ্বারা মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূল করার আইন কার্যকর করা হয়েছিল, সেই সিস্টেমকেই কার্যত ভেঙে দেয়া হয়েছে। নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন বা নারী আশ্রয়কেন্দ্রের মতো মেয়েদের সহায়তা ও সুরক্ষার জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা হয়েছিল সেগুলো হয় বন্ধ নয়তো শারীরিকভাবে দখল করে নিয়েছে তালেবানরা। আফগানিস্তানের নারীরা তাদের শিক্ষা, কাজ এবং স্বাধীনতার অধিকারের দাবিতে গত পাঁচ মাস ধরে ক্রমাগত প্রতিবাদ করে আসছেন । অভিযোগ তালেবান যোদ্ধারা বারবার বিক্ষোভকারী নারীদের মারধর করেছে, হুমকি দিয়েছে বা আটক করেছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের দলটি আফগান জনগণের জন্য জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা এবং তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সূত্র: আলজাজিরা
কারণ তাদের জীবন আফগানিস্তানে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। "তালেবানরা আগস্টে দেশটি দখল করার পর থেকে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থা চালু করেছে। অনেক নারীকে তাদের কাজে ফিরতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ট্যাক্সি চালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, মহিলা যাত্রীরা হিজাব না পরলে গাড়িতে না তুলতে। নারীরা কোনো পুরুষ আত্মীয় ছাড়া ঘর থেকে বেরোতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, "এই নীতিগুলি মহিলাদের কাজ করার এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করেছে, তাদেরকে আরও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে," । পরিবারের মহিলাদের এই পরিণতি দেশে মানবিক সংকটকে আরো বিধ্বংসী পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্কুলে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল মাধ্যমিক এবং উচ্চস্তরের শিক্ষার জন্য দেশের নারী এবং মেয়েদের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। মেয়েদের জন্য বেশিরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্য এতো তীব্র যে, যে সমস্ত মেয়েদের ৭-১২ গ্রেডে পড়া উচিত তাদের স্কুলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দলটি এখন শিশু পাচার, জোরপূর্বক বিবাহ থেকে শুরু করে মেয়েদের শোষণের ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন। তালেবানদের অত্যাচারের জেরে নারীদের জীবন রক্ষাকারী পরিষেবা বা আশ্রয়কেন্দ্রগুলিও আস্তে আস্তে তাদের শিবিরগুলি বন্ধ করে দিচ্ছে।
২০০৯ সালের দেশের বিশেষ আদালত দ্বারা মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূল করার আইন কার্যকর করা হয়েছিল, সেই সিস্টেমকেই কার্যত ভেঙে দেয়া হয়েছে। নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন বা নারী আশ্রয়কেন্দ্রের মতো মেয়েদের সহায়তা ও সুরক্ষার জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা হয়েছিল সেগুলো হয় বন্ধ নয়তো শারীরিকভাবে দখল করে নিয়েছে তালেবানরা। আফগানিস্তানের নারীরা তাদের শিক্ষা, কাজ এবং স্বাধীনতার অধিকারের দাবিতে গত পাঁচ মাস ধরে ক্রমাগত প্রতিবাদ করে আসছেন । অভিযোগ তালেবান যোদ্ধারা বারবার বিক্ষোভকারী নারীদের মারধর করেছে, হুমকি দিয়েছে বা আটক করেছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের দলটি আফগান জনগণের জন্য জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা এবং তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সূত্র: আলজাজিরা