বাংলারজমিন
১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেললেন পাউবোর প্রকৌশলী
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১২:৪১ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক কৃষকের ১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার ধুলাস্বার ইউনিয়নের পশ্চিম ধুলাস্বার গ্রামের ভূমিহীন কৃষক দেলোয়ার খলিফার আবাদ করা প্রায় ১৫ হাজার তরমুজ গাছের মধ্যে ১০ হাজার গাছ উপড়ে ফেলে ওই প্রকৌশলী এমন অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ।
কৃষক দেলোয়ার জানান, আমি বিগত কয়েক বছর যাবৎ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ডালে বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছি। এখানে বনবিভাগের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্যারদের অনুমতি নিয়ে গত ২ মাস আগে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে তরমুজের চাষ শুরু করি।
কাঁদতে কাঁদতে দেলোয়ার আরো জানায়, এখানে দায়িত্বে থাকা বনবিভাগের মোশাররফ নামের অফিসারকে ১০ হাজার টাকাও দেই। তারা প্রতিদিন এখানে আসতো গাছ দেখতো কিন্তু আজকে হঠাৎ এসে আমার প্রায় ১০ হাজার গাছ নিজে উপড়ে ফেললো, আমি অনেক কান্নাকাটি করেছি, হাত, পা ধরেছি কিন্তু তারা শোনেনি। আমাকে ১টি মাস সময় দিলে আমার এই সর্বনাশটা হতো না। এখন আমার গাছ উপড়ে ফেলছে, আর আমাকে বার বার মামলার হুমকি দিয়ে গেছে।
দেলোয়ারের স্ত্রী সালমা বেগম জানান, আমার স্বামীর সাথে আমি এই জায়গায় কাজ করছি, আটি রোপণ করেছি। টাকা নেই তাই আমি তিনটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি, এখন এই টাকা কি দিয়ে দিবো। আমি এই ক্ষতিপূরণ চাই, না হয় আমার মরন ছাড়া উপায় নেই।
প্রতিবেশী নাসির জানান, আমরা গ্রামবাসী সবাই নিষেধ করেছি যে অন্তত ১টি মাস সময় দেয়া হোক তারপর আপনাদের যদি কোনো ক্ষতি ওই ছেলেটা করে থাকে তার ক্ষতিপূরণ ওরা দিবে কিন্তু তাঁরা কারো কথা শোনেননি। সব গাছগুলোতে ফল আসছে, সব উঠাইয়া ফালাইছে।
টাকা নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বনবিভাগের দায়িত্বে থাকা গঙ্গামতি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশাররফ জানান, আমি কোনো টাকা পয়সা নেই নি, এগুলো সব মিথ্যা। নিষেধ করার পরও সে গাছ লাগাইছে। ওখানে ঘাষ নষ্ট হওয়ার কারনে পানি উন্নয়ন বোর্ড গাছ উঠাইছে, আমি উঠাইনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, ওখানে তরমুজ গাছ লাগিয়েছে আমি আগে দেখিনি আজকে দেখলাম, আর আমাদের বেড়িবাঁধ রক্ষায় লাগানো ঘাষ কেটে উঠিয়ে ফেলার কারণে কিছু জায়গা রেখে বাকি তরমুজ গাছ আমি উঠিয়ে ফেলেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, ওই স্থানে এখন প্রকল্প আওতাধীন কাছ হচ্ছে। আমরা নিজেরা আর কিছু দিন পর কাজ শুরু করবো। তবে এই ব্যাপারে আমি এখনো শুনিনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, বিষয়টি আমি মাত্র'ই শুনলাম।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার ধুলাস্বার ইউনিয়নের পশ্চিম ধুলাস্বার গ্রামের ভূমিহীন কৃষক দেলোয়ার খলিফার আবাদ করা প্রায় ১৫ হাজার তরমুজ গাছের মধ্যে ১০ হাজার গাছ উপড়ে ফেলে ওই প্রকৌশলী এমন অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ।
কৃষক দেলোয়ার জানান, আমি বিগত কয়েক বছর যাবৎ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ডালে বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছি। এখানে বনবিভাগের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্যারদের অনুমতি নিয়ে গত ২ মাস আগে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে তরমুজের চাষ শুরু করি।
কাঁদতে কাঁদতে দেলোয়ার আরো জানায়, এখানে দায়িত্বে থাকা বনবিভাগের মোশাররফ নামের অফিসারকে ১০ হাজার টাকাও দেই। তারা প্রতিদিন এখানে আসতো গাছ দেখতো কিন্তু আজকে হঠাৎ এসে আমার প্রায় ১০ হাজার গাছ নিজে উপড়ে ফেললো, আমি অনেক কান্নাকাটি করেছি, হাত, পা ধরেছি কিন্তু তারা শোনেনি। আমাকে ১টি মাস সময় দিলে আমার এই সর্বনাশটা হতো না। এখন আমার গাছ উপড়ে ফেলছে, আর আমাকে বার বার মামলার হুমকি দিয়ে গেছে।
দেলোয়ারের স্ত্রী সালমা বেগম জানান, আমার স্বামীর সাথে আমি এই জায়গায় কাজ করছি, আটি রোপণ করেছি। টাকা নেই তাই আমি তিনটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি, এখন এই টাকা কি দিয়ে দিবো। আমি এই ক্ষতিপূরণ চাই, না হয় আমার মরন ছাড়া উপায় নেই।
প্রতিবেশী নাসির জানান, আমরা গ্রামবাসী সবাই নিষেধ করেছি যে অন্তত ১টি মাস সময় দেয়া হোক তারপর আপনাদের যদি কোনো ক্ষতি ওই ছেলেটা করে থাকে তার ক্ষতিপূরণ ওরা দিবে কিন্তু তাঁরা কারো কথা শোনেননি। সব গাছগুলোতে ফল আসছে, সব উঠাইয়া ফালাইছে।
টাকা নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বনবিভাগের দায়িত্বে থাকা গঙ্গামতি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশাররফ জানান, আমি কোনো টাকা পয়সা নেই নি, এগুলো সব মিথ্যা। নিষেধ করার পরও সে গাছ লাগাইছে। ওখানে ঘাষ নষ্ট হওয়ার কারনে পানি উন্নয়ন বোর্ড গাছ উঠাইছে, আমি উঠাইনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, ওখানে তরমুজ গাছ লাগিয়েছে আমি আগে দেখিনি আজকে দেখলাম, আর আমাদের বেড়িবাঁধ রক্ষায় লাগানো ঘাষ কেটে উঠিয়ে ফেলার কারণে কিছু জায়গা রেখে বাকি তরমুজ গাছ আমি উঠিয়ে ফেলেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, ওই স্থানে এখন প্রকল্প আওতাধীন কাছ হচ্ছে। আমরা নিজেরা আর কিছু দিন পর কাজ শুরু করবো। তবে এই ব্যাপারে আমি এখনো শুনিনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, বিষয়টি আমি মাত্র'ই শুনলাম।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]