অনলাইন

মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ২২ জেলে ফিরলেও মাঝিকে সাগরে নিক্ষেপ

বরগুনা প্রতিনিধি

১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

বঙ্গোপসাগরে অপহরণের দুদিন পর মুক্তিপণ দিয়ে ২৩ জেলের মধ্যে ২২ জেলেকে ফেরত দিলেও ওই ট্রলারের মাঝি আনোয়ার হোসেনের জীবন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা জেলেরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে গভীর বঙ্গোপসাগরে সাইফুল ইসলাম-৩ নামে একটি মাছধরা ট্রলারসহ ২৩ জেলেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে জলদস্যুরা। ট্রলার মালিক ও জেলেদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। ওই ট্রলারের মধ্যে আবুল কালাম, মো. সবুজ, জাকির, মো. জাহের, বশিরসহ ২২ জন ফিরে এলেও মাঝি আনোয়ার হোসেনের জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বলে জানান জেলে ও ট্রলার মালিক।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, লক্ষ্মীপুর এলাকার ট্রলার মালিক মাহফুজ মিয়ার মালিকানা এফবি সাইফুল-৩ ট্রলারসহ ২৩ জেলে বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ শিকার করছিল। রাত ৩টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র জলদস্যু বাহিনী মুক্তিপণের দাবিতে জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে শনিবার দুপুর ১টার দিকে ট্রলার মালিকের কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

এ বিষয়ে ট্রলার মালিক মাহফুজ মিয়া বলেন, দস্যুরা মোবাইল করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের পর থেকেই বারবার আমার কাছে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে আসছিল দস্যুরা। পরে মুক্তিপণের টাকা দেয়ার পর ট্রলারসহ ২২ জেলেকে ফেরত পাঠালেও মাঝি আনোয়াকে সাগরে ফেলে দেয় দস্যুরা। দস্যুরা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ওই এলাকায় তল্লাশি করেও আনোয়ারকে না পেয়ে চলে আসে জেলেরা। এখন পর্যন্ত আনোয়ারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কোস্টগার্ড পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট হারুনর রশীদ বলেন, অপহৃত জেলেরা ফিরে আসার পর আমাদের জানায় মাঝিকে তারা সাগরে ফেলে দিয়েছে। ওই জেলেকে উদ্ধারের জন্য সাগরে টহল চলছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status