শেষের পাতা
নারায়ণগঞ্জে খেলা শেষের আলোচনা
বিল্লাল হোসেন রবিন, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৯:২৮ অপরাহ্ন
খেলা শেষ। শামীম ওসমান, সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমূর আলম সবাই বলেছে খেলা হবে। আপাতত ভোটের খেলায় আইভী জিতেছেন। হেরেছেন তৈমূর। কিন্তু রাজনীতিতে বিজয়ী তিনি। তবে শামীম ওসমান কী তার খেলায় জিতেছেন না হেরেছেন, এই আলোচনা স্থানীয় রাজনীতিতে ডালপালা ছড়াচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই শিবিরের নেতাকর্মীরাই পক্ষে বিপক্ষে ছিলেন। যার প্রভাব স্থানীয় রাজনীতিতে পড়বে। ফলে কোন পথে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ধীরে ধীরে তা প্রকাশ পাবে।
যদিও বড় ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়াই শেষ হলো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বহুল আলোচিত নির্বাচন। নির্বাচন এবং ভোটের ফলাফলে কোনো পথে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। কারণ এই নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতির বিভাজন প্রকাশ্যে উঁকি দিয়েছে। যা নিরসন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতারাও। তাদের ক্ষোভ ফলাফল অনুকূলে আসার পরও দেখা গেছে। নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে গেলেও জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে আপাতত বোঝা যাচ্ছে নির্বাচনে অসহযোগিতা অথবা মাঠে না থাকায় এই তালিকায় আরও কোনো কোনো কমিটি বা নেতা যুক্ত হতে পারেন। কারণ ভোটের আগে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত এবং বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েও বিভেদ ভুলে সকল নেতাকর্মীকে মাঠে নামাতে পারেননি কেন্দ্রীয় নেতারা।
তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভাজন আলোচনায় থাকলেও এই নির্বাচনে স্থানীয় দুই আওয়ামী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন আরেক শক্তি। যদিও এখানকার আওয়ামী রাজনীতিতে প্রভাবশালী দুটি পরিবার সব সময় আলোচনায় রয়েছেন। সেই আলোচনায় ওসমান পরিবার অপ্রতিরোধ্য থাকলেও এবার চুনকা পরিবারের রাজনৈতিক শক্তি নতুন করে জানান দিয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তৃতীয়ভারের মতো বিপুল ভোটে তার বিজয় চুনকা পরিবারের রাজনৈতিক প্রভাব আরেক ধাপ এগিয়েছে। ভোটের আগ মুহূর্তে আইভীর অভিযোগ ছিল তাকে পরাজিত করতে সব শক্তি একজোট হয়েছিল। তার বক্তব্যে ইঙ্গিত ছিল ওই শক্তির সঙ্গে তার দলেরই এক শীর্ষ নেতার যোগসূত্র রয়েছে। আইভীর ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন ওই নেতার আশির্বাদপুষ্ট স্থানীয় নেতাদের স্বর্তস্ফূত অংশগ্রহণ দেখা যায়নি আইভীর প্রচারণায়। বরং আইভীকে পরাজিত করতে তারা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজনরা বলেছেন, আইভীর বিজয়ে শেষ মুহূর্তে ভূমিকা রেখেছেন শামীম ওসমান ভোটের ৫ দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করার মধ্যদিয়ে। তিনি বলেছিলেন, নৌকার জন্য মাঠে নামলাম। নৌকাকে জেতাবো এবং নৌকা জিতবেই। শুধু তাই নয়, ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন আমি নৌকায় ভোট দিয়েছি। আমি চাই নৌকা জিতুক এবং সেটাই জিতবে। আমার মনে রক্তক্ষরণ, কষ্ট থাকতেই পারে। কিন্তু আমি তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। আই অ্যাম সোলজার অব শেখ হাসিনা।
এদিকে তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনে নেমে বিএনপির সমর্থন তো দূরের কথা গুরুত্বপুর্ণ দুটি পদ হারিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ। ফলে তার পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামেনি বিএনপির নেতাকর্মীরা। যে কয়জন নেমেছেন তারা ব্যক্তি তৈমূরকে ভালোবেসে সঙ্গ দিয়েছেন। সেখানেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় আইনশৃংখলা বাহিনী। ভোটের দিন পর্যন্ত তৈমূরের প্রচারণায় অংশ নেয়া নেতা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু তারপরও পিছু হটেননি তৈমূর আলম খন্দকার। বিএনপির সমর্থন ছাড়াই ৯২ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন। ফলে পরাজিত হলেও ভোটের অংকে তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে নতুন এক শক্তির উত্থান বলে মনে করছেন নগরবাসী। তিনি এখন দাবি করতেই পারেন এইসব ভোট তার ব্যক্তিগত। বিএনপির বাইরে ব্যক্তি তৈমূরকে মানুষ বেছে নিয়েছে। যেটা সেলিনা হায়াৎ আইভীও দাবি করেন তার ব্যক্তি ইমেজ নির্বাচনী ফলাফলে বেশি কাজ করেছে।
যদিও বড় ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়াই শেষ হলো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বহুল আলোচিত নির্বাচন। নির্বাচন এবং ভোটের ফলাফলে কোনো পথে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। কারণ এই নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতির বিভাজন প্রকাশ্যে উঁকি দিয়েছে। যা নিরসন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতারাও। তাদের ক্ষোভ ফলাফল অনুকূলে আসার পরও দেখা গেছে। নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে গেলেও জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে আপাতত বোঝা যাচ্ছে নির্বাচনে অসহযোগিতা অথবা মাঠে না থাকায় এই তালিকায় আরও কোনো কোনো কমিটি বা নেতা যুক্ত হতে পারেন। কারণ ভোটের আগে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত এবং বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েও বিভেদ ভুলে সকল নেতাকর্মীকে মাঠে নামাতে পারেননি কেন্দ্রীয় নেতারা।
তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিভাজন আলোচনায় থাকলেও এই নির্বাচনে স্থানীয় দুই আওয়ামী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন আরেক শক্তি। যদিও এখানকার আওয়ামী রাজনীতিতে প্রভাবশালী দুটি পরিবার সব সময় আলোচনায় রয়েছেন। সেই আলোচনায় ওসমান পরিবার অপ্রতিরোধ্য থাকলেও এবার চুনকা পরিবারের রাজনৈতিক শক্তি নতুন করে জানান দিয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তৃতীয়ভারের মতো বিপুল ভোটে তার বিজয় চুনকা পরিবারের রাজনৈতিক প্রভাব আরেক ধাপ এগিয়েছে। ভোটের আগ মুহূর্তে আইভীর অভিযোগ ছিল তাকে পরাজিত করতে সব শক্তি একজোট হয়েছিল। তার বক্তব্যে ইঙ্গিত ছিল ওই শক্তির সঙ্গে তার দলেরই এক শীর্ষ নেতার যোগসূত্র রয়েছে। আইভীর ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন ওই নেতার আশির্বাদপুষ্ট স্থানীয় নেতাদের স্বর্তস্ফূত অংশগ্রহণ দেখা যায়নি আইভীর প্রচারণায়। বরং আইভীকে পরাজিত করতে তারা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজনরা বলেছেন, আইভীর বিজয়ে শেষ মুহূর্তে ভূমিকা রেখেছেন শামীম ওসমান ভোটের ৫ দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করার মধ্যদিয়ে। তিনি বলেছিলেন, নৌকার জন্য মাঠে নামলাম। নৌকাকে জেতাবো এবং নৌকা জিতবেই। শুধু তাই নয়, ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন আমি নৌকায় ভোট দিয়েছি। আমি চাই নৌকা জিতুক এবং সেটাই জিতবে। আমার মনে রক্তক্ষরণ, কষ্ট থাকতেই পারে। কিন্তু আমি তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। আই অ্যাম সোলজার অব শেখ হাসিনা।
এদিকে তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনে নেমে বিএনপির সমর্থন তো দূরের কথা গুরুত্বপুর্ণ দুটি পদ হারিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ। ফলে তার পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামেনি বিএনপির নেতাকর্মীরা। যে কয়জন নেমেছেন তারা ব্যক্তি তৈমূরকে ভালোবেসে সঙ্গ দিয়েছেন। সেখানেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় আইনশৃংখলা বাহিনী। ভোটের দিন পর্যন্ত তৈমূরের প্রচারণায় অংশ নেয়া নেতা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু তারপরও পিছু হটেননি তৈমূর আলম খন্দকার। বিএনপির সমর্থন ছাড়াই ৯২ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন। ফলে পরাজিত হলেও ভোটের অংকে তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে নতুন এক শক্তির উত্থান বলে মনে করছেন নগরবাসী। তিনি এখন দাবি করতেই পারেন এইসব ভোট তার ব্যক্তিগত। বিএনপির বাইরে ব্যক্তি তৈমূরকে মানুষ বেছে নিয়েছে। যেটা সেলিনা হায়াৎ আইভীও দাবি করেন তার ব্যক্তি ইমেজ নির্বাচনী ফলাফলে বেশি কাজ করেছে।