খেলা
ব্রাদার্সের মতো কি মুক্তিযোদ্ধাও হারিয়ে যাবে?
স্পোর্টস রিপোর্টার
২০২২-০১-১৮
আবাহনী ও মোহামেডানের বাইরে তৃতীয় শক্তির দল হিসেবে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বেশ নামডাক ছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় তা এখন অতীত। গত বছর প্রিমিয়ার লীগ থেকে অবনমিত হয়েছে রাজধানীর গোপীবাগের ক্লাবটি । ৪৬ বছররের পুরোনো ক্লাবটি এবার তো ফুটবল থেকে পুরোপুরি দূরেই চলে গেলো। পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লীগেও খেলছে না দলটি! বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে থাকলেও দেশের আরেক শীর্ষ ক্লাব মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের অবস্থাও যাচ্ছেতাই। বর্তমানে আর্থিক সংকটে নিদারুণ সময় কাটছে ক্লাবটির। পেশাদার ফুটবলে একটি ক্লাবের যে সকল সুযোগ বাধ্যতামূলকভাবে থাকার কথা, তার কিছুই নেই সেখানে। ধুঁকতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র যেন সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়ার পথে!
অথচ বাংলাদেশের ফুটবলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের রয়েছে বিশাল ইতিহাস। বাংলাদেশে যে ক’টি পুরাতন ক্লাব রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এটি। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি বর্তমানে দূরাবস্থায় থাকলেও এক সময় সামনের সারির ক্লাবগুলোর সঙ্গে সমানে লড়াই করতো। এই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে খেলেই বাংলাদেশ জাতীয় দলে আলো ছড়িয়েছেন অনেক ফুটবলার। ১৯৯০-২০০৫ পর্যন্ত ঘরোয়া কি আন্তর্জাতিক, সব অঙ্গনেই দারুন সফলতা ছিলো ক্লাবটির। ১৯৯৪, ২০০১ ও ২০০৩ সালের ফেডারেশন কাপের শিরোপা জয়ের পাশাপাশি ২০০৩ সালের আরেক টুর্নামেন্ট জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপেরও শিরোপা জেতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ১৯৯৭-৯৮ ও ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটির নামও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও সাফল্যের সাক্ষর রেখেছে মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৯৮ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ম্যাকডয়েল কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা বাংলাদেশে নিয়ে আসে মুক্তিযোদ্ধা। একই বছরে ভারতে স্বাধীনতা দিবস কাপে রানার্সআপ হয় মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে ১৯৯২ সালে সিকিম গোল্ড কাপেও রানার্সআপ হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। এছাড়াও এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এএফসি কাপে ও এশিয়ান উইনার্স কাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ক্লাবটি। এতো রঙিন ফুটবল ইতিহাস সমৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এখন দল গড়ে কোনরকমভাবে টিকে থাকার জন্য। এই মৌসুমের জন্য গড়া দলেও নেই তেমন কোনো বড় নামের ফুটবলার। গড়পড়তা দল নিয়ে কোনরকম ভাবে টিকে আছে দলটি। এই দল নিয়ে স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ক্লাবটি। আর মাঠ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ফেডারেশন কাপ বর্জন করায় মরার ওপর খারার ঘা হিসেবে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও পরবর্তী মৌসুমের ফেডারেশন কাপে নিষিদ্ধ হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। এমনিতেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ক্লাবটি না আবার দেউলিয়া হয়ে যায় সেই শঙ্কাও উকি দিচ্ছে সমর্থকদের মনে। গত মৌসুমেও কোন রকমে রেলিগেশন এড়ায় দলটি। ১৩ দলের মধ্যে দশম হয়ে মৌসুম শেষ করে মুক্তিযোদ্ধা। লীগে ২৪ ম্যাচে মাত্র ৪টি জয়ের দেখা পেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা। ৭টি ম্যাচে ড্র করতে পেরেছিল আর বাকি ১৩টি ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুক্তিযোদ্ধাকে। গত মৌসুমে অবশ্য ক্লাবটির লীগে অংশ নেয়াই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল আর্থিক সংকটের কারণে। তবে সেবার দলটির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভাব হন দলটির জাপানিজ ফুটবলার ইউসুকে কাতো। নিজে উদ্যোগ নিয়ে সেবার সিঙ্গাপুরের এক কোম্পানিকে স্পন্সর হিসেবে আনেন তিনি। কিন্তু বছর ঘুরে নতুন মৌসুম শুরু হলেও বদলায়নি মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের চিত্র। মেলেনি সরকারি কোনো সহযোগিতা। স্পন্সরের অভাবে এবারও আর্থিক দূরাবস্থায় বাজে সময় পার করছে ক্লাবের ফুটবলাররা। অর্থের অভাবে অনুশীলন পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দেশের ফুটবল থেকে মুক্তিযোদ্ধার মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হারিয়ে যাওয়া শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। এ নিয়ে ক্লাবটির ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বহু কষ্ট করে স্বাধীনতা কাপে অংশ নিয়েছি। এখনো ট্রেনিং চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি স্পন্সরের জন্য চেষ্টা করছি। লীগের জন্য স্পন্সর যোগাড় করতে না পারলে ফুটবলারদের মাঠে নামানোটা কষ্টকর হয়ে যাবে।’
অথচ বাংলাদেশের ফুটবলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের রয়েছে বিশাল ইতিহাস। বাংলাদেশে যে ক’টি পুরাতন ক্লাব রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এটি। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি বর্তমানে দূরাবস্থায় থাকলেও এক সময় সামনের সারির ক্লাবগুলোর সঙ্গে সমানে লড়াই করতো। এই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে খেলেই বাংলাদেশ জাতীয় দলে আলো ছড়িয়েছেন অনেক ফুটবলার। ১৯৯০-২০০৫ পর্যন্ত ঘরোয়া কি আন্তর্জাতিক, সব অঙ্গনেই দারুন সফলতা ছিলো ক্লাবটির। ১৯৯৪, ২০০১ ও ২০০৩ সালের ফেডারেশন কাপের শিরোপা জয়ের পাশাপাশি ২০০৩ সালের আরেক টুর্নামেন্ট জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপেরও শিরোপা জেতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ১৯৯৭-৯৮ ও ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটির নামও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও সাফল্যের সাক্ষর রেখেছে মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৯৮ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ম্যাকডয়েল কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা বাংলাদেশে নিয়ে আসে মুক্তিযোদ্ধা। একই বছরে ভারতে স্বাধীনতা দিবস কাপে রানার্সআপ হয় মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে ১৯৯২ সালে সিকিম গোল্ড কাপেও রানার্সআপ হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। এছাড়াও এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এএফসি কাপে ও এশিয়ান উইনার্স কাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ক্লাবটি। এতো রঙিন ফুটবল ইতিহাস সমৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এখন দল গড়ে কোনরকমভাবে টিকে থাকার জন্য। এই মৌসুমের জন্য গড়া দলেও নেই তেমন কোনো বড় নামের ফুটবলার। গড়পড়তা দল নিয়ে কোনরকম ভাবে টিকে আছে দলটি। এই দল নিয়ে স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ক্লাবটি। আর মাঠ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ফেডারেশন কাপ বর্জন করায় মরার ওপর খারার ঘা হিসেবে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও পরবর্তী মৌসুমের ফেডারেশন কাপে নিষিদ্ধ হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। এমনিতেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ক্লাবটি না আবার দেউলিয়া হয়ে যায় সেই শঙ্কাও উকি দিচ্ছে সমর্থকদের মনে। গত মৌসুমেও কোন রকমে রেলিগেশন এড়ায় দলটি। ১৩ দলের মধ্যে দশম হয়ে মৌসুম শেষ করে মুক্তিযোদ্ধা। লীগে ২৪ ম্যাচে মাত্র ৪টি জয়ের দেখা পেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা। ৭টি ম্যাচে ড্র করতে পেরেছিল আর বাকি ১৩টি ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুক্তিযোদ্ধাকে। গত মৌসুমে অবশ্য ক্লাবটির লীগে অংশ নেয়াই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল আর্থিক সংকটের কারণে। তবে সেবার দলটির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভাব হন দলটির জাপানিজ ফুটবলার ইউসুকে কাতো। নিজে উদ্যোগ নিয়ে সেবার সিঙ্গাপুরের এক কোম্পানিকে স্পন্সর হিসেবে আনেন তিনি। কিন্তু বছর ঘুরে নতুন মৌসুম শুরু হলেও বদলায়নি মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের চিত্র। মেলেনি সরকারি কোনো সহযোগিতা। স্পন্সরের অভাবে এবারও আর্থিক দূরাবস্থায় বাজে সময় পার করছে ক্লাবের ফুটবলাররা। অর্থের অভাবে অনুশীলন পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দেশের ফুটবল থেকে মুক্তিযোদ্ধার মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হারিয়ে যাওয়া শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। এ নিয়ে ক্লাবটির ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বহু কষ্ট করে স্বাধীনতা কাপে অংশ নিয়েছি। এখনো ট্রেনিং চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি স্পন্সরের জন্য চেষ্টা করছি। লীগের জন্য স্পন্সর যোগাড় করতে না পারলে ফুটবলারদের মাঠে নামানোটা কষ্টকর হয়ে যাবে।’