বাংলারজমিন
একই শিক্ষার্থীকে একাধিক টিকা দেয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৮:০৮ অপরাহ্ন
প্রতিদিন আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে খুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা। এরই মাঝে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সরকারিভাবে দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের টিকা। অথচ কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই ঝুঁকির মধ্যে দেয়া হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ সকল টিকা। খুলনার প্রতিটি টিকাকেন্দ্রে একই অবস্থা। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে করোনাভাইরাস এমন আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
কোনো প্রকার নিয়ম-শৃঙ্খলা ছাড়াই এ সকল টিকা দেয়ার কারণে একই শিক্ষার্থীকে একই সময়ে একাধিক টিকা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সরজমিন খুলনার বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়। অনেক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হতে দেখা গেছে।
খুলনা জেলায় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী হাবিব বলেন, যেভাবে টিকা দেয়া হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীদের আরও করোনা হবে। সামাজিক দূরত্ব বলে কিছুই নাই এখানে।
অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, টিকা দেয়ার আগেই আমরা করোনা নিয়ে বাসায় ফিরছি। সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই এখানে। খুলনা পাবলিক কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকা নেয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং মাথা ঘুরে পড়ে যাই।
খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক বলেন, যেভাবে টিকা দেয়া হচ্ছে এর মাঝে যদি একজনও করোনা রোগী থাকে তাহলে সকল বাচ্চাদের করোনা হবে। আমরা বাধ্য হয়ে এখানে টিকা নিতে আসছি। মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষক বলেন, ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে টিকা দিতে এসেছি। কিন্তু ৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি সামাজিক দূরত্ব বলে কিছু নেই। বরং ঠেলাঠেলি হুড়োহুড়িতে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এসব সন্তানদের টিকা দেয়া হোক
খুলনা পাবলিক কলেজের এক অভিভাবক বলেন, আমাদের স্কুলের একজন শিক্ষার্থীকে একাধিকবার টিকা দিয়েছে। পরে তার অভিভাবক ভিতরে অভিযোগ করলে কিছু হবে না বলে ফিরিয়ে দেন। তবে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে হলে তার টিকা কার্ড দেখে তারপর টিকা দেয়া হয় তাহলে কীভাবে শিক্ষার্থী একাধিকবার টিকা দিতে পারলো।
সরকারি মেডিকেল অফিসার ভ্যাকসিন কার্যক্রম ভলেন্টিয়ার শান্তা বিশ্বাস বলেন, প্রথমে শিক্ষার্থী একটি ডেকে নিয়ে যায় পরবর্তীতে তাকে বোঝানো হয় এটা অবশ করার টিকা, এজন্য শেষে আবার দ্বিতীয় টিকাটি নেয়।
খানজাহান আলী থানার মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, খুলনা পাবলিক কলেজের এ অভিভাবক আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করলে বিষয়টির সত্যতা মেলে। তবে আমরা ঊর্ধ্বতন ডাক্তার এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এতে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না বললে অভিভাবক বাসায় ফিরে যান। নিয়ম শৃঙ্খলায় উদাসীন ও সচেতনতার অভাবের কথা স্বীকার করে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডক্টর মো. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয় সর্বক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষৃত হচ্ছে। তবে যদি প্রশাসনের মাধ্যমে টিকাগুলো দেয়া হয় তাহলে বাচ্চারা এমন ঝুঁকিতে থাকবে না বলে তিনি জানান। সাধারণ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিটি টিকাকেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হোক এমনটাই আশা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের।
কোনো প্রকার নিয়ম-শৃঙ্খলা ছাড়াই এ সকল টিকা দেয়ার কারণে একই শিক্ষার্থীকে একই সময়ে একাধিক টিকা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সরজমিন খুলনার বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়। অনেক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হতে দেখা গেছে।
খুলনা জেলায় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী হাবিব বলেন, যেভাবে টিকা দেয়া হচ্ছে তাতে শিক্ষার্থীদের আরও করোনা হবে। সামাজিক দূরত্ব বলে কিছুই নাই এখানে।
অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, টিকা দেয়ার আগেই আমরা করোনা নিয়ে বাসায় ফিরছি। সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই এখানে। খুলনা পাবলিক কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকা নেয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং মাথা ঘুরে পড়ে যাই।
খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক বলেন, যেভাবে টিকা দেয়া হচ্ছে এর মাঝে যদি একজনও করোনা রোগী থাকে তাহলে সকল বাচ্চাদের করোনা হবে। আমরা বাধ্য হয়ে এখানে টিকা নিতে আসছি। মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষক বলেন, ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে টিকা দিতে এসেছি। কিন্তু ৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি সামাজিক দূরত্ব বলে কিছু নেই। বরং ঠেলাঠেলি হুড়োহুড়িতে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এসব সন্তানদের টিকা দেয়া হোক
খুলনা পাবলিক কলেজের এক অভিভাবক বলেন, আমাদের স্কুলের একজন শিক্ষার্থীকে একাধিকবার টিকা দিয়েছে। পরে তার অভিভাবক ভিতরে অভিযোগ করলে কিছু হবে না বলে ফিরিয়ে দেন। তবে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে হলে তার টিকা কার্ড দেখে তারপর টিকা দেয়া হয় তাহলে কীভাবে শিক্ষার্থী একাধিকবার টিকা দিতে পারলো।
সরকারি মেডিকেল অফিসার ভ্যাকসিন কার্যক্রম ভলেন্টিয়ার শান্তা বিশ্বাস বলেন, প্রথমে শিক্ষার্থী একটি ডেকে নিয়ে যায় পরবর্তীতে তাকে বোঝানো হয় এটা অবশ করার টিকা, এজন্য শেষে আবার দ্বিতীয় টিকাটি নেয়।
খানজাহান আলী থানার মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, খুলনা পাবলিক কলেজের এ অভিভাবক আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করলে বিষয়টির সত্যতা মেলে। তবে আমরা ঊর্ধ্বতন ডাক্তার এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি এতে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না বললে অভিভাবক বাসায় ফিরে যান। নিয়ম শৃঙ্খলায় উদাসীন ও সচেতনতার অভাবের কথা স্বীকার করে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডক্টর মো. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয় সর্বক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষৃত হচ্ছে। তবে যদি প্রশাসনের মাধ্যমে টিকাগুলো দেয়া হয় তাহলে বাচ্চারা এমন ঝুঁকিতে থাকবে না বলে তিনি জানান। সাধারণ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিটি টিকাকেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হোক এমনটাই আশা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের।