বাংলারজমিন
বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হচ্ছে ‘দক্ষিণ বেদকাশী’
রিয়াছাদ আলী, কয়রা (খুলনা) থেকে
২০২২-০১-১৬
সুন্দর বন সংলগ্ন দুই নদ-নদীর ক্রমশ ভাঙনে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হতে চলেছে খুলনার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন। ৩০ হাজার লোকের বসতি সমৃদ্ধ এই ইউনিয়নে কাস্টমস অফিস, কোস্টগার্ডের অফিস, ফরেস্ট অফিস, নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া নেই। কয়রা উপজেলা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের মধ্যে অবস্থিত এই দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য বেড়ীবাঁধ ছাড়া আর কোনো মাধ্যম নেই। তবে এই দুই বেড়ীবাঁধ দিয়ে পায়ে হেঁটে ছাড়া চলাই অসম্ভব। স্বাধীন বাংলা যুব সংঘের সভাপতি মো. আবু সাইদ খান বলেন, ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের রাস্তাঘাটগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। প্রতিনিয়ত দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখানকার মানুষের বেঁচে থাকটা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসাসেবা একেবারে নেই বললেই চলে। নিয়তির উপর ভরসা করে বেঁচে থাকতে হয় এলাকার মানুষদের। এলাকাবাসী জানায়, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের দুই পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে শাকবাড়িয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদ। দশ বছর আগেও দুই নদ-নদীর দূরত্ব ১০ কিলোমিটারের বেশি থাকলেও বর্তমানে ৫শ’ মিটারে এসে ঠেকেছে। ২০০৯ সালে আইলার আঘাতে ৪ বছরের বেশি সময় পানিতে তলিয়ে থাকে ইউনিয়নের ৭০ ভাগ জমি। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে হওয়ায় এই ইউনিয়নে অপরাধের মাত্রাও বেশি। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কোনো অভিযান সচারচর করতে পারে না। বর্ষা মৌসুমে কয়রা থেকে যাতায়াতের জন্য নৌযান ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আংটিহারা এলাকায় একটি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হলেও তাদের যানবাহন মোটরসাইকেলেই সীমাবদ্ধ।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আছের আলী মোড়ল বলেন, এই ইউনিয়নে ৪টি সরকারি অফিস, ৯টি বিদ্যালয়, ২৮টি মসজিদ ও মন্দির, ৪টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় এখন ইউনিয়নটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হতে চলেছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আধুনিক এই যুগেও তার ইউনিয়নে কোনো পিচের (পাকা) রাস্তা নেই। ইউনিয়নের ২৭ কিলোমিটার সড়কের ১৫ কিলোমিটার একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। সম্প্রতি সরকার থেকে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। তা বাস্তবায়ন করতে একটু সময় লাগবে। আগামী বর্ষা মৌসুমের মধ্যে বাঁধগুলো মেরামত না করা হলে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হবে এই ইউনিয়ন। তাই আধুনিক সভ্যতার এ যুগে এলাকাবাসী কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের মানুষের জান-মাল রক্ষায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের পাশাপশি ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আছের আলী মোড়ল বলেন, এই ইউনিয়নে ৪টি সরকারি অফিস, ৯টি বিদ্যালয়, ২৮টি মসজিদ ও মন্দির, ৪টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় এখন ইউনিয়নটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হতে চলেছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আধুনিক এই যুগেও তার ইউনিয়নে কোনো পিচের (পাকা) রাস্তা নেই। ইউনিয়নের ২৭ কিলোমিটার সড়কের ১৫ কিলোমিটার একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। সম্প্রতি সরকার থেকে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। তা বাস্তবায়ন করতে একটু সময় লাগবে। আগামী বর্ষা মৌসুমের মধ্যে বাঁধগুলো মেরামত না করা হলে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হবে এই ইউনিয়ন। তাই আধুনিক সভ্যতার এ যুগে এলাকাবাসী কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের মানুষের জান-মাল রক্ষায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের পাশাপশি ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।