শেষের পাতা

মসুর ডাল ও পিয়াজের দাম বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

১৫ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ৮:৫৭ অপরাহ্ন

টিসিবি’র তথ্য বলছে সপ্তাহের ব্যবধানে বড় দানার মসুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ শতাংশের মতো। এ ছাড়া নতুন করে বেড়েছে ডিম, পিয়াজ ও জিরা মসলার দাম। এদিকে মুরগির দাম কমলেও ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশ কয়েকটি সবজি। সব থেকে বেশি বেড়েছে শসার দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে শসার দাম বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ফুলকপি ও শিম।
বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মসুর ডালের দাম। গত সপ্তাহে বড় দানার মসুর ডালের দাম ছিল কেজিতে ৯০ টাকার মতো। এ সপ্তাহে একই ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। এ ছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা।
এদিকে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে আমদানি করা পিয়াজের দাম। কিছুদিন আগে ৩০ টাকায় নেমে আসা পিয়াজ আবার ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি পিয়াজের দাম বাড়তি। এখন দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে।
এ ছাড়া ডিমের হালিতে দুই টাকা করে বেড়েছে। তবে বেশ খানিকটা কমেছে মুরগি ও আদার দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে দুই সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২৫ টাকা এবং আর সোনালি মুরগি ৮০ টাকা পর্যন্ত কমলো।
রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি গেল এক সপ্তাহে কমেছে সোনালি ও লাল লেয়ার মুরগির দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। গত সপ্তাহে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা।
মুরগি ব্যবসায়ী শহীদ বলেন, সরবরাহ কম থাকায় এমন দাম বেড়েছিল। তবে এখন মুরগির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। তাই দাম কমেছে। আমাদের ধারণা সামনে মুরগির দাম আরও কমবে।
বাজারে মুরগি কিনতে আসা মহিউদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা কেজি কিনেছিলাম। সেই মুরগি ২৬০ টাকায় নিলাম।
এদিকে ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। এমনকি সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম বাড়ার ঘটনা ঘটেছে। সব থেকে বেশি বেড়েছে শসার দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে শসার দাম বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ফুলকপি ও শিম। বাজারে ব্যবসায়ীরা শসার কেজি বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে এই শসার কেজি ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে শসার দাম বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে।
গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ফুলকপির দাম। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপির দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শালগমের (ওল কপি) কেজি ৪০ টাকা। বরবটির কেজি ৭০ টাকা।
সবজি ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া বলেন, হঠাৎ করেই বাজারে শসার সরবরাহ কমে গেছে। বাজারে শসা অনেক কম এসেছে। এ কারণে এমন দাম বেড়েছে। তবে আমাদের ধারণা শসার এই দাম বেশিদিন থাকবে না। অল্প সময়ের মধ্যেই শসার দাম কমে যাবে।
সবজি কিনতে আসা রশিদ বলেন, এখন শীতের সবজির ভরা মৌসুম। স্বাভাবিকভাবেই এখন সবজির দাম কম হওয়ায় কথা। কিন্তু দেখেন সবজির দামে যেন আগুন লেগেছে। ৩০ টাকার শসা ৮০ টাকা হয়েছে। ৩০ টাকার ফুলকপি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এটা কীভাবে স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে। আসলে বাজারে কারও কোনো নজরদারি নেই। যে কারণে হুটহাট করে সবকিছুর দাম বেড়ে যায়।
মাছ বাজারে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। ছোট ইলিশ মাছের কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status