খেলা
ডমিঙ্গোকে নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছেই না!
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ৮:৫৭ অপরাহ্ন
৩০শে নভেম্বর বরখাস্ত করা হয়েছে রাসেল ডমিঙ্গোকে! যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তা এখনো ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপরও গুঞ্জন ছিল বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিউজিল্যান্ড সফর ছিল তার শেষ মিশন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জানিয়েছিলেন জানুয়ারিতেই নির্ধারণ হবে কোচের ভাগ্য। তবে এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন সুর। এই যাত্রায় তিনি হয়তো থেকেই যাচ্ছেন। কিন্তু কীভাবে? প্রথমে তার সঙ্গে নতুন করে দুই বছরের চুক্তি করে বিসিবি। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর কঠিন সমালোচনার মুখে ফের বরখাস্ত করা হয় তাকে। এখন প্রধান কোচ কি সাকিব-তামিমদের দায়িত্বে থাকবেন? এককথায় তাকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক প্রকার ধোঁয়াশা। বিশেষ করে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির নয়া চেয়ারম্যান জালাল ইউনূসের বক্তব্যের পর গোটা বিষয়টি এখন আরো ব্যাপক ভাবে ঘোলাটে। গতকাল সিলেটে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের খেলা দেখতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমে তিনি ডমিঙ্গোকে দিয়ে কাজ চালানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কিন্তু হেড কোচ নেই (বিকল্প)। আমরা জেমি সিডন্সকে নিয়ে আসছি ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে। তিনি ফেব্রুয়ারির শুরুতে আমাদের এখানে আসবেন। কিন্তু আমাদের কোনো হেড কোচ নেই। কয়দিন আগে আপনাদেরকে সভাপতিও জানিয়েছেন যেহেতু বিকল্প হেড কোচ নেই এবং ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে, সেহেতু তাকেই চালিয়ে নেই।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগেই দুই বছরের জন্য নতুন করে চুক্তি হয়েছিল প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে। গত ১লা ডিসেম্বর থেকেই দুই বছরের চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এর প্রথম এক বছর আবার ‘গ্যারান্টিড পিরিয়ড’। এর অর্থ এই সময়ের মধ্যে এক মাস কাজ করিয়ে চাকরিচ্যুত করলে দিতে হবে বাকি ১১ মাসের বেতন। তবে বিশ্বকাপ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের ভরাডুবির পর বিসিবি আইনজীবীর পরামর্শে ডমিঙ্গোকে বরখাস্ত করার জন্য বেছে নেয় তার সঙ্গে আগের চুক্তির শেষ দিনটি (৩০শে নভেম্বর)। নতুন চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগেই চাকরিচ্যুত করা হলে আইনগত ঝামেলায় পড়তে হবে এমন আইনি ফাঁকের সুযোগ নিয়েই তাকে বরখাস্ত করে বিসিবি। তবে গেল ৯ই ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড সফরে মুমিনুলদের সঙ্গে প্রধান কোচ হিসেবেই সফরে পাঠানো হয় তাকে। সেখানে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম বারের মতো জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এই ইতিহাসের পর ডমিঙ্গোকে নিয়ে কি নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে বিসিবি! যে কারণে তার বিদায়ের বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য নেই। যেমন জালাল ইউনুসের বক্তব্যও স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘উনি (বিসিবি সভাপতি) বলেছেন জানুয়ারি মাসে একটা পরিকল্পনা করবেন, দেখা যাক। আসলে প্রধান কোচ, নির্বাচক প্যানেল এসব কিন্তু বোর্ড থেকে সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু ব্যাক টু ব্যাক খেলা, নিউজিল্যান্ড থেকে এসে বিপিএল, এরপর আফগানিস্তান আসবে, এটা শেষ হলেই যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ব্যস্ততা ও যেহেতু একটা চুক্তি তার সঙ্গে করা হয়েছে সেহেতু তাকে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদের অন্য চিন্তাও আছে পুরো কোচিং প্যানেল নিয়ে। ওটিস গিবসন চলে গেলেন, ওদিকে জেমি সিডন্স আসবেন।’ ওমান-দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজেভাবে হেরে বিদায় নেয় দল। এরপর দেশে ফিরে এসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হয় হোয়াইটওয়াশ। এছাড়াও করোনার ধাক্কা সামলে বাংলাদেশ দল মাঠে ফেরার পর থেকেই সাফল্যের গ্রাফও হয়েছে নিম্নমুখী। এই পতনের দায় হিসেবে ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে শুরু করে ভক্তদের অভিযোগের আঙ্গুুল প্রধান কোচের দিকেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগেই দুই বছরের জন্য নতুন করে চুক্তি হয়েছিল প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে। গত ১লা ডিসেম্বর থেকেই দুই বছরের চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এর প্রথম এক বছর আবার ‘গ্যারান্টিড পিরিয়ড’। এর অর্থ এই সময়ের মধ্যে এক মাস কাজ করিয়ে চাকরিচ্যুত করলে দিতে হবে বাকি ১১ মাসের বেতন। তবে বিশ্বকাপ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের ভরাডুবির পর বিসিবি আইনজীবীর পরামর্শে ডমিঙ্গোকে বরখাস্ত করার জন্য বেছে নেয় তার সঙ্গে আগের চুক্তির শেষ দিনটি (৩০শে নভেম্বর)। নতুন চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগেই চাকরিচ্যুত করা হলে আইনগত ঝামেলায় পড়তে হবে এমন আইনি ফাঁকের সুযোগ নিয়েই তাকে বরখাস্ত করে বিসিবি। তবে গেল ৯ই ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড সফরে মুমিনুলদের সঙ্গে প্রধান কোচ হিসেবেই সফরে পাঠানো হয় তাকে। সেখানে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম বারের মতো জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এই ইতিহাসের পর ডমিঙ্গোকে নিয়ে কি নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে বিসিবি! যে কারণে তার বিদায়ের বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য নেই। যেমন জালাল ইউনুসের বক্তব্যও স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘উনি (বিসিবি সভাপতি) বলেছেন জানুয়ারি মাসে একটা পরিকল্পনা করবেন, দেখা যাক। আসলে প্রধান কোচ, নির্বাচক প্যানেল এসব কিন্তু বোর্ড থেকে সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু ব্যাক টু ব্যাক খেলা, নিউজিল্যান্ড থেকে এসে বিপিএল, এরপর আফগানিস্তান আসবে, এটা শেষ হলেই যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ব্যস্ততা ও যেহেতু একটা চুক্তি তার সঙ্গে করা হয়েছে সেহেতু তাকে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদের অন্য চিন্তাও আছে পুরো কোচিং প্যানেল নিয়ে। ওটিস গিবসন চলে গেলেন, ওদিকে জেমি সিডন্স আসবেন।’ ওমান-দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজেভাবে হেরে বিদায় নেয় দল। এরপর দেশে ফিরে এসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হয় হোয়াইটওয়াশ। এছাড়াও করোনার ধাক্কা সামলে বাংলাদেশ দল মাঠে ফেরার পর থেকেই সাফল্যের গ্রাফও হয়েছে নিম্নমুখী। এই পতনের দায় হিসেবে ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে শুরু করে ভক্তদের অভিযোগের আঙ্গুুল প্রধান কোচের দিকেই।