বাংলারজমিন
কেন্দুয়ায় মাশরুম চাষে মিনহাজ মিরাজের সফলতা
মজিবুর রহমান, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) থেকে
১৪ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ৮:৪৫ অপরাহ্ন
মাশরুম মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী, ঔষধিগুণে ভরপুর, পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সবজি জাতীয় ফসল। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর সে কারণে এটি সারা দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই মাশরুম চাষ করে সাফল্য পেয়েছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আমতলা গ্রামের কলেজ পড়ুয়া দুই ভাই মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ উদ্দিন আহমেদ। মিনহাজ ও মিরাজের বাবা বাহাউদ্দিন আহমেদ একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। মিনহাজ ময়মনসিংহের আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বিভাগের ছাত্র আর মিরাজ উদ্দিন আহমেদ কেন্দুয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। করোনাকালীন সময়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় লেখাপড়ার পাশাপাশি বিকল্প কিছু করার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন তারা দুই ভাই। হতাশ না হয়ে সফল হওয়ার পথ খোঁজেন তারা। গত অক্টোবর মাসে দুই ভাই মাগুরার ডিম মাশরুম সেন্টারে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বাড়িতে এসেই নতুন উদ্যমে শুরু করেন মাশরুম চাষ। নাম দেয়া হয় এনএমসি মাশরুম সেন্টার। শুরুতেই বাজিমাত। অল্প সময়ে লাভের মুখ দেখছেন তারা। মাশরুম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের পাশাপাশি এখন চারা উৎপাদন করছেন। অনলাইনে অর্ডার পেয়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া অনেকেই বাড়িতে এসে মাশরুম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। দুই ভাইয়ের সাফল্য দেখে মাশরুম চাষে
আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। মাশরুম চাষি মিনহাজ বলেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা দুই ভাই বাড়িতেই থাকি। লেখাপড়ার পাশাপাশি সময় কাটানোর জন্য আমরা বিকল্প কিছু করার চিন্তা করি। ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে আগ্রহী হই। পরে দুই ভাই ১০ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বাড়িতে এসেই চাষ শুরু করি। অল্প দিনেই সফল হয়েছি। প্রতিদিন অন্তত ২০ কেজি মাশরুম তুলতে পারি। বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচা মাশরুম ২৫০-৩০০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। আর শুকনো মাশরুম ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সফলতা দেখে অনেকেই মাশরুম চাষে আগ্রহ হচ্ছেন। আমরাও তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি। এ ব্যাপারে কৃষি অফিসার মো. শাহজাহান কবীর জানান, মাশরুম মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। এই চাষে কোনো ঝুঁকি নেই। সব স্থানেই চাষ করা যায়। মাশরুম চাষ করে বাড়তি আয় করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। মাশরুম চাষি মিনহাজ বলেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা দুই ভাই বাড়িতেই থাকি। লেখাপড়ার পাশাপাশি সময় কাটানোর জন্য আমরা বিকল্প কিছু করার চিন্তা করি। ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে আগ্রহী হই। পরে দুই ভাই ১০ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বাড়িতে এসেই চাষ শুরু করি। অল্প দিনেই সফল হয়েছি। প্রতিদিন অন্তত ২০ কেজি মাশরুম তুলতে পারি। বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচা মাশরুম ২৫০-৩০০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। আর শুকনো মাশরুম ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সফলতা দেখে অনেকেই মাশরুম চাষে আগ্রহ হচ্ছেন। আমরাও তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি। এ ব্যাপারে কৃষি অফিসার মো. শাহজাহান কবীর জানান, মাশরুম মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। এই চাষে কোনো ঝুঁকি নেই। সব স্থানেই চাষ করা যায়। মাশরুম চাষ করে বাড়তি আয় করা সম্ভব বলে জানান তিনি।