বাংলারজমিন
সাত বছর ধরে শিকলে বাঁধা মিজানুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৪ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ৮:৪৫ অপরাহ্ন
পৌষের কনকনে শীতের মাঝেও ধুলোবালিমাখা পোশাকে পায়ে লোহার শেকল। মায়াভরা দু’টি চোখ দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে এদিক-ওদিক তাকিয়ে থাকে। মাঝেমধ্যে আপন মনে কথা বলে। কিন্তু তার সে কথাগুলো কেউ বোঝে না!
খুলনা মহানগরীর জোড়াগেট কাঁচাবাজরের টিনশেডের ভগ্ন একটি খোলা কক্ষে মানসিক ভারসাম্যহীন মিজানুর রহমান মিজানের (২৮) জীবন কাটছে এভাবেই। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে এ যুবককে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। একটি চৌকিতেই খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, মলমূত্র ত্যাগ সবই করতে হয়। এভাবেই প্রায় সাত বছর ধরে শেকলে বন্দিজীবন কাটছে তার। সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য বিত্তশালী ও সরকারি সহায়তার দাবি মিজানের দরিদ্র বোনদের। মিজানের পিতা বরিশালের মৃত মজিদ সরদার। মাও বেঁচে নেই। দুই বোন আছে শুধু। মিজানের বোন রুবি বেগম ও নাজমা বেগম কাঁচাবাজারের পাশেই থাকেন। তারাই মিজানের দেখাশোনা করেন।
নাজমা বেগম বলেন, ৭-৮ বছর আগে সুস্থই ছিল। হঠাৎ একদিন মাকে এসে মারধর করলো। আমাদের দা দিয়ে কোপালো। আমার মা অন্ধ ছিলেন। তখন মাতা-পিতা দু’জনই জীবিত ছিলেন। পরে তারা মারা গেলেন। এরপর আর ভালো করা গেল না। অনেক কষ্ট করে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পাবনা মানসিক হাসপাতালে নেই। ওষুধ খায়ানোর পর ভালো হয়ে গেছে। পরে আবার যা তাই। আবার সেই পাগলামি। ঘরে প্রসাব করে। খাবার নষ্ট করে। আমাদের মারধর করে। ছোট বাচ্চা রয়েছে তাই ভয় লাগে। এ কারণে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। মাসে একবার লোকজন নিয়ে হাত-পা বেঁধে গোসল করিয়ে পরিষ্কার করে দেই। নিয়মিত চিকিৎসা করাতে পারলে মিজান সুস্থ হয়ে যাবে। তবে আমরা গরিব মানুষ হওয়ায় টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না।
মিজানের বড় বোন রুবি বেগমের মেয়ে কলেজছাত্রী সাদিয়া বলেন, মামা সরকারি কোনো ভাতা পান না। কয়েকবার কমিশনারের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। আমার মা লোন নিয়ে মামাকে পাবনা নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। যে কারণে মামার চিকিৎসা করাতে পারছি না। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামামন মিয়া স্বপন বলেন, মিজানের বোনদের মনে হয় বলা হয়েছে সমাজ সেবা অধিদপ্তরে গিয়ে কাগজপত্র মজা দিলে সরকারি প্রতিবন্ধী কার্ড দেবে। এরপর থেকে মিজান ভাতার আওতায় চলে আসবে। মিজানের পরিবার যোগাযোগ করলে ভাতা পেয়ে যাবে অসুবিধা নেই।
খুলনা মহানগরীর জোড়াগেট কাঁচাবাজরের টিনশেডের ভগ্ন একটি খোলা কক্ষে মানসিক ভারসাম্যহীন মিজানুর রহমান মিজানের (২৮) জীবন কাটছে এভাবেই। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে এ যুবককে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। একটি চৌকিতেই খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, মলমূত্র ত্যাগ সবই করতে হয়। এভাবেই প্রায় সাত বছর ধরে শেকলে বন্দিজীবন কাটছে তার। সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য বিত্তশালী ও সরকারি সহায়তার দাবি মিজানের দরিদ্র বোনদের। মিজানের পিতা বরিশালের মৃত মজিদ সরদার। মাও বেঁচে নেই। দুই বোন আছে শুধু। মিজানের বোন রুবি বেগম ও নাজমা বেগম কাঁচাবাজারের পাশেই থাকেন। তারাই মিজানের দেখাশোনা করেন।
নাজমা বেগম বলেন, ৭-৮ বছর আগে সুস্থই ছিল। হঠাৎ একদিন মাকে এসে মারধর করলো। আমাদের দা দিয়ে কোপালো। আমার মা অন্ধ ছিলেন। তখন মাতা-পিতা দু’জনই জীবিত ছিলেন। পরে তারা মারা গেলেন। এরপর আর ভালো করা গেল না। অনেক কষ্ট করে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পাবনা মানসিক হাসপাতালে নেই। ওষুধ খায়ানোর পর ভালো হয়ে গেছে। পরে আবার যা তাই। আবার সেই পাগলামি। ঘরে প্রসাব করে। খাবার নষ্ট করে। আমাদের মারধর করে। ছোট বাচ্চা রয়েছে তাই ভয় লাগে। এ কারণে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। মাসে একবার লোকজন নিয়ে হাত-পা বেঁধে গোসল করিয়ে পরিষ্কার করে দেই। নিয়মিত চিকিৎসা করাতে পারলে মিজান সুস্থ হয়ে যাবে। তবে আমরা গরিব মানুষ হওয়ায় টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না।
মিজানের বড় বোন রুবি বেগমের মেয়ে কলেজছাত্রী সাদিয়া বলেন, মামা সরকারি কোনো ভাতা পান না। কয়েকবার কমিশনারের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। আমার মা লোন নিয়ে মামাকে পাবনা নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। যে কারণে মামার চিকিৎসা করাতে পারছি না। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামামন মিয়া স্বপন বলেন, মিজানের বোনদের মনে হয় বলা হয়েছে সমাজ সেবা অধিদপ্তরে গিয়ে কাগজপত্র মজা দিলে সরকারি প্রতিবন্ধী কার্ড দেবে। এরপর থেকে মিজান ভাতার আওতায় চলে আসবে। মিজানের পরিবার যোগাযোগ করলে ভাতা পেয়ে যাবে অসুবিধা নেই।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]