প্রথম পাতা

ভুলে ভরা জন্মনিবন্ধন সনদ, ভোগান্তি

নূরে আলম জিকু

৯ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ৯:৪৪ অপরাহ্ন

মেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়-৩ এ আসেন বাংলাদেশ বেতারের এক শিল্পী। কথা হলে তিনি বলেন, আমার মেয়ে স্কুলে ভর্তি হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী শুধু মেয়ের জন্মনিবন্ধন লাগবে। সিটি করপোরেশনের এ শাখায় জন্মনিবন্ধন করতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছি। মেয়ের আগে আমার ও স্ত্রীর জন্মনিবন্ধন করেছি। সনদ পেয়েছি। এখন দেখি সব ভুল। এই সনদ পেতে গত ১৫ দিন ধরে নানা হয়রানির শিকার হয়েছি। এখন আবার সংশোধনী জমা দিতে এলাম। এসে জানতে পারলাম সংশোধনী হয়ে আসতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগবে। তাহলে মেয়ের জন্মনিবন্ধন করবো কবে? এদিকে স্কুলে ভর্তির সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ছোট একটা কাজে এতো ভোগান্তি! শুধু আমি নয়, আমার মতো শত শত লোক প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন। বেশির ভাগেরই নাম-ঠিকানা ভুল। অনলাইনে নিবন্ধনের একাধিক ধাপ থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা তেমন কোনো সহায়তা করছেন না। তারা বিভিন্ন দোকান ও দালালদের আশ্রয় নিতে বলেন। ৫০ টাকার নিবন্ধন ফি এখন ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত দালালদের মাধ্যমে নিবন্ধন কর্মীরা নিচ্ছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শাহাজান মুন্সি। ভোটার আইডি কার্ডে নাম ঠিক থাকলেও জন্মনিবন্ধনে ভুল হয়েছে। ৩ বছর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে জন্মনিবন্ধন নিয়েছেন তিনি। তখন সেটিকে গুরুত্ব দেননি। সম্প্রতি ছেলের জন্মনিবন্ধন করাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। সংশোধনীর জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৮-এর কার্যালয়ে নতুন করে আবেদন করে ভোগান্তিতে পড়েন। গত এক মাস ধরে তিনি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে আসা-যাওয়া করছেন। কিন্তু সংশোধনী আর হচ্ছে না। তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধনের নাম সংশোধনী নিয়ে সিটি করপোরেশন থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ঘুরছি। এক মাস ধরে যাওয়া-আসার মধ্যেই আছি। তারা এক অফিস অন্য অফিসের দোহাই দিয়ে যাচ্ছেন। আমার জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও এক মাসেও নাম সংশোধন হয়নি।
জন্ম সনদ নিতে আসা আরেক অভিভাবক মো. সালাউদ্দিন জানান, রাজধানীর একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার ছেলে চান্স পেয়েছে। জন্ম সনদ না থাকায় স্কুলে ভর্তি নিচ্ছে না। এটি বাধ্যতামূলক লাগবেই। অফিস টাইমে প্রতিদিনই নিবন্ধন রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে আসি। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সার্ভার নাকি বন্ধ। গত কয়েক মাস ধরে সার্ভার ঠিকমতো কাজ করছে না। একটা জন্মনিবন্ধনের জন্য যে মানুষকে এত হয়রানির স্বীকার হতে হয়, এটা জানলে দ্বিতীয় বার আর এই সেবা কেউ নিতে চাইবে না। সাধারণ নিবন্ধনেই এত ভোগান্তি, আর যারা সংশোধনীর জন্য আসেন তাদের তো দুর্ভোগের শেষ নেই। গত বুধবার রাজধানীর কাওরান বাজারে ডিএনসিসি আঞ্চলিক কার্যালয়ে ২ ঘণ্টায় ৯৭ জন জন্মনিবন্ধন সনদ সংক্রান্ত কাজে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে আসেন। তাদের মধ্যে ৬৯ জনই জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধনীর জন্য আবেদনকারী।
২০১৮ সালের ১০ই মে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৩ থেকে জন্মনিবন্ধন নিয়েছেন মো. নূরে আলম। নিয়ম অনুযায়ী হার্ড কাগজের একটি সনদও পান। যেখানে সব কিছু ইংরেজিতে লেখা হয়। সম্প্রতি অনলাইনে নিবন্ধন সনদটি চেক করলে ৪টি ভুল ধরা পড়ে। ইংরেজিতে সব ঠিক থাকলেও বাংলায় তার নাম, পিতা-মাতার নামে ভুল ধরা পড়ে। অনলাইনে নিবন্ধনধারী ব্যক্তির নাম মো. নূরে আলম এর স্থলে লিখা হয় (জকল্‌লকসসসস্‌) মাতার নাম কুলছুমের স্থলে লেখা হয় (কলক্ল্‌) পিতার নাম কাঞ্চন মিয়ার স্থলে লেখা হয় (কল্‌জক্‌)। শুধু নূরে আলম নন, প্রতিদিন এমন সমস্যা নিয়ে হাজারো মানুষ দুই সিটি করপোরেশনের নিবন্ধন রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে ভিড় করছেন। সমাধান মিলছে না। শুধু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নয়, জন্মনিবন্ধন নিয়ে জটিলতা দেখা দিচ্ছে অন্যান্য সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও সব ইউনিয়ন পরিষদেও। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে। ব্রাহ্মবাড়িয়ার শাহজাদাপুর থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়েছেন শামীমুল হক। যদিও জন্মনিবন্ধনের ওয়েবসাইটে গিয়ে তার নাম পাওয়া যায় শামসুল হক। ভোগান্তির এখানেই শেষ নয়, অনলাইনে ইংরেজিতে নাম নেই তার। নাম নেই বাবা-মায়েরও! এসব স্থান ফাঁকা রেখেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে রেজিস্ট্রার কার্যালয়।
৩ বছর আগে জন্মনিবন্ধন হওয়া সনদে ভুল সম্বন্ধে সিটি করপোরেশনের রেজিস্ট্রার বলছেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত যারা নিবন্ধন নিয়েছেন, তাদের সনদ একটি ভাষায় হয়েছে। যারা বাংলায় চেয়েছেন তারা বাংলা ভাষাই পেয়েছেন। আর যারা ইংরেজিতে চেয়েছেন তারা ইংরেজিতে পেয়েছেন। পরবর্তীতে এসব যখন অনলাইনে আপডেট করা হয়েছে তখন সংশ্লিষ্ট ভাষাই অনলাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। অন্য ভাষার স্থলে ডাটা এন্ট্রিকারীরা আজেবাজে অক্ষর লিখে রেখেছেন। যার ফলে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এখানে আবেদনকারীদের ভুল নেই, তবুও তারা নানা সমস্যা ও ভোগান্তিতে পড়ছেন। সংশোধনীর জন্য অনেকেই আবেদন করেছেন।
এদিকে ঢাকা দুই সিটির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো ঘুরে জানা যায়, করোনার ভ্যাকসিন ও স্কুলে ভর্তির জন্য প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ জন্মনিবন্ধন রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে ভিড় করছেন। তবে যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়েছে তার ১০ শতাংশ নিবন্ধন প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিনই অসংখ্য জমা পড়া আবেদন আটকে থাকছে। সময় যত গড়াচ্ছে, ফাইলের স্তূপ ততই বাড়ছে। এর মধ্যে সার্ভার জটিলতাকে দায়ী করছেন দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার জেনারেলরা। তারা বলছেন, দিনের বেশিভাগ সময় সার্ভার ডাউন থাকে। অনেক সময় সারা দিনে একবারও সাইটে প্রবেশ করা যায় না। সন্ধ্যার দিকে সার্ভার জটিলতা কিছুটা কমলেও আবেদনের বিপরীতে নিবন্ধন হয় সামান্যই। এই সমস্যার কারণে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসগুলোয় তো সব সময় ভিড় জমে থাকবেই। সবচেয়ে বেশি ভিড় করছেন সংশোধনী করতে আসা লোকজন। আমাদের এখানে তাদের তেমন একটা কাজ নেই। আমরা শুধু আবেদন গ্রহণ করতে পারি। বাকি কাজ হয় ডিসি অফিসে। ডিসি অফিস সংশোধনী ছাড় না দিলে আমরা কিছুই করতে পারি না। ফলে সাধারণ মানুষ ডিসি অফিসে না গিয়ে আমাদের এখানে চাপ প্রয়োগ করছেন। এতে তারা যেমন ভোগান্তিতে পড়েছেন, আমরাও কাজে বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলাপ করলেও কোনো সমাধান দিতে পারেননি। কর্তৃপক্ষ যদি সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে সংশোধনীর ক্ষমতা দিতেন তাহলে অল্প সময়েই বিষয়টির সমাধান করা সম্ভব হতো। এখন মাসের পর মাস যাচ্ছে। তবুও সম্পন্ন হচ্ছে না জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়া।
ভোগান্তির স্বীকার বেশিরভাগের অভিযোগ- করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে নিবন্ধনের আবেদন করে ১৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এতেও অনেক সময় নিবন্ধন সম্পন্ন হয় না। সিটি করপোরেশনের অসংখ্য কর্মী দ্রুত নিবন্ধন করে দেয়ার নামে দালালি নিচ্ছেন। ৫০ টাকার নিবন্ধন ফির বদলে দালাল চক্র ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে একদিনেই নিবন্ধন সম্পন্ন করে দেন। অনেক সময় দালালরা তাদের ইচ্ছামতো তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করেন। এতে নাম ও ঠিকানা ভুল হয়। দালাল চক্র আর সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রার কর্মকর্তাদের কমিশনবাণিজ্যের মাধ্যমে দ্রুত জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছেন। বাহাউদ্দিন নামের একজন বলেন, আমরা একই ফ্ল্যাটের দু’জন জন্মনিবন্ধন ফরম অনলাইনে আবেদন করেছি। আমি সরাসরি হাজির হয়ে ফরম জমা দিয়েছি। ১৩ দিনেও সনদ পাইনি। অপরজন দালালের মাধ্যামে ৮০০ টাকার বিনিময়ে ১ দিন পরেই জন্মনিবন্ধন সনদ পেয়েছেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে ১ দিনেই জন্মনিবন্ধন দেয় এমন অসংখ্য পোস্ট দেখা গেছে। তাদের কয়েকটি গ্রুপের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, তারা সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেন। এজন্য কর্মকর্তাদের কমিশন দিতে হয়। অনেকেই বলছেন, জন্মনিবন্ধন রেজিস্ট্রার শাখার কর্মকর্তারাই অবৈধ আয়ের জন্য গ্রুপে ও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে থাকেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের অফিসিয়াল লাইক পেজেও এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। সংস্থাটির অফিসিয়াল পেজের বিভিন্ন পোস্টের নিচে ‘জরুরি জন্মনিবন্ধন অনলাইন করতে ইনবক্স করুন’ এমন শত শত পোস্ট দেখা গেছে। যদিও ওসব পোস্ট ডিলেট কিংবা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
সংস্থাটির ফেসবুকে অনেকে সমস্যার কথা জানালেও তার সমাধান দেননি জন্মনিবন্ধন সংশ্লিষ্টরা।
জন্মনিবন্ধন ও সংশোধনীর ভোগান্তি নিয়ে স্বয়ং ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন শাখার একাধিক রেজিস্ট্রার। তারা বলেন, জন্মনিবন্ধন অনলাইনে করা হয়েছে। এই তথ্য সাধারণ মানুষ এখনো জানেন না। অনলাইনে একাধিক ধাপ থাকায় অনেকে সঠিকভাবে তথ্য পূরণ করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তারা দালাল দিয়ে কিংবা পার্শ্ববর্তী স্থানে কম্পিউটারে তথ্য পূরণ করেন। এতে অনেক ভুল থাকে। জন্মনিবন্ধন ওয়েবসাইট ঠিকমতো কাজ করে না, বিজি দেখায়। কাজেই আমাদের ইচ্ছা থাকলেও সঠিক সময়ে সনদ দিতে পারছি না। ভুল থাকলেও আমরা তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করতে পারছি না। সেই সুযোগ আমাদের দেয়া হয়নি। জনগণের বেশি ভোগান্তি হয় সংশোধনীতে। সংশোধনীর আবেদন আমাদের কাছে দিলেও আমরা ডিসি অফিসে পাঠিয়ে দেই। সেখানেই আটকে যায়। সামান্য ভুল সংশোধনের জন্য মাসের পর মাস চলে যায়। আর জনগণ আঞ্চলিক অফিসগুলোতে ভিড় করেন। যথাসময়ে কাজ করতে পারছি না। আমরা অসহায়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, গত ৫-৬ মাস ধরে সার্ভারে সমস্যা হচ্ছে। নিবন্ধনের ইনপুট দিতে সময় লাগছে। ভ্যাকসিন ও স্কুল ভর্তির জন্য একটা চাপ যাচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার অঞ্চলে ১৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন সনদ দেয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরকে নিয়মিত তদারকি করা হয়। কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। তবে বিভিন্ন তথ্য সংশোধনীর জন্য মানুষকে ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে। জনগণ এখনো সচেতন নয়। যার কারণে তারা অনলাইনে তথ্য পূরণ করার সময় ভুল করেন। সেই ভুলেই সনদ প্রিণ্ট হয়। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যারা সংশোধনীর জন্য আসেন, তাদের তথ্য আপডেট করার জন্য আমরা ডিসি অফিসে প্রেরণ করি। তথ্য আপডেটের ক্ষমতা আমাদের কাছে নেই। তিনি আরও বলেন, কীভাবে জন্মনিবন্ধন করতে হয় তা অনেকেই জানেন না। ফলে দালাল কিংবা তৃতীয় পক্ষের সহায়তায় তারা তথ্য পূরণ করেন। এতেই ভোগান্তি বাড়ে। এবং বাড়তি অর্থ খরচ করেন তারা। আমার ফোনে প্রতিদিন সংখ্যক কল আসে। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত।  
স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. ওসমান ভূঁইয়া মানবজমিনকে বলেন, সার্ভারের সমস্যার কারণে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনার টিকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির একটা চাপ আছে। ভর্তি ও টিকা নিতে জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজন হয়। আমাদের যেসব কার্যালয়ে নিবন্ধন করা হয় সেসব স্থানের সব চাপ একসঙ্গে পড়ছে। এতে নিবন্ধন সনদ পেতে কিছুটা সময় লাগছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। গত এক বছর ধরে জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলছে। আরও চলবে। জন্মনিবন্ধন ফরম অনলাইনে পূরণ করার সময় অনেকে তথ্য ভুল দিয়ে নিবন্ধন করেন। এটা নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই ভুলে নিবন্ধন কর্মকর্তাদের কোনো হাত নেই। তবে সংশোধনীর সুযোগ আছে। সংশোধনীতে ডিসি অফিসে ভোগান্তির স্বীকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি। ছোটখাটো ভুলগুলো কীভাবে দ্রুত সমাধান করা যায় তার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যে শাখা থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ দেয়া হয়েছে, সেখানেই সংশোধন করা যায় কিনা বিষয়টি দেখা হচ্ছে। অনেকে বয়স নিয়ে সংশোধনী করাতে আসেন, এটা অনেক বড় একটা সমস্যা। এটা ডিসি অফিসেই সমাধান করতে হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status