কলকাতা কথকতা
কলকাতা কথকতা
নিজের হাতে নিজের জামাকাপড় কাচেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, স্বাবলম্বী মমতাকে মোদির জন্মদিনের শুভেচ্ছা
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
২০২২-০১-০৬
তাকে ঘিরে অসংখ্য মিথ আর বিতর্কের মধ্যে তার জন্মদিনের তারিখটি নিয়েও বিতর্ক আছে। পাঁচ জানুয়ারি জন্মদিনের কোনো উৎসব ও পালন করেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু পাঁচ জানুয়ারি তারিখটাকেই মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন বলে ধরে নেয়া হয়। ১৯৫৫ সালের এই দিনটিতে তিনি জন্মেছিলেন বলে উইকিপিডিয়া জানাচ্ছে। মা গায়েত্রী দেবী বেঁচে থাকার দিনগুলোতে এই দিনটিতেই পায়েস রেঁধে খাওয়াতেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই দিনটিকে জন্মদিন ধরেই বুধবার তার কাছে বার্তা এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এমকে স্তালিন, অখিলেশ যাদবদের। গভীর রাতে এলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা।
কি লিখেছেন মোদি? মোদি তার প্রিয় দিদির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। যেমন প্রত্যেককে মমতা পাল্টা কৃতজ্ঞতার বার্তা দিয়েছেন, তেমনই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকেও। বুধবার সারাদিন শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যাওয়ার পর মমতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সাফল্যই তার সাফল্য। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে এক উচ্চতায় দেখতে চান। হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটের ছোট্ট বাড়িতেই নিভৃতবাসে বুধবার সারাটাদিন কাটালেন মমতা। সহকর্মী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর কেবিনেট মিটিংয়ে তার সঙ্গে সময় কাটানো মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে চলে যান। তবে একাকী থাকলেও হটলাইনে এবং নিজের আইফোনের মাধ্যমে মন্ত্রী ও অফিসারদের সঙ্গে চব্বিশ ঘণ্টা যোগাযোগ রাখছেন মমতা। জন্মদিনের দিনটিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করেন তিনি।এক আইএএস অফিসার এর কথায়- রিয়েল 24x7। রাতে ঘুমোনোর কয়েক ঘণ্টা বাদ দিয়ে সবসময় তৎপর মমতা। গভীর রাতে মন্ত্রী কিংবা অফিসারদের কাছে ফোন যাওয়া নিত্যাদিনের ঘটনা। মমতা জমানায় ফোন সুইচড অফ করেন না কোনো মন্ত্রী কিংবা অফিসার। প্রায় ৬৭ বছর বয়স হতে চললো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, কিন্তু এখনো তিনি স্বাবলম্বী। নিজের জামাকাপড় নিজেই কাচেন, নিজের হাতেই ইস্ত্রি করেন। অনাড়ম্বর জীবন তার। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রথমদিকে একটি ব্যাগ নিজের সঙ্গে রাখতেন। ব্যাগটির নাম তিনি দিয়েছিলেন জঙ্গলমহল। এই ব্যাগে নিজের টুকিটাকি জিনিসের সঙ্গে রাখতেন চকোলেটবার। চকোলেট খেতে একসময় খুব ভালোবাসতেন। প্রিয় খাবার চপ মুড়ি কিংবা মুড়ি চানাচুর। রাতে মাছের ঝোল ভাত কিংবা রুটি হলেই তার চলে যায়। কালীপুজোর রাতে ভোগ রাঁধেন নিজের হাতে। এবার কালীপুজোর রাতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু সব রুটিন ওলোটপালোট করে দেয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জীবনে কি অবসর বলে কিছু নেই? কাজের মাঝেই অবসর খুঁজে নেন মমতা। নবান্নে তাঁর আন্টি চেম্বারে একটি ইজেল বসানো আছে। ইচ্ছা হলে সেখানে ছবি আঁকেন। বাড়িতে থাকলে লেখালেখি করেন। জন্মদিনেও লিখেছেন, ছবি এঁকেছেন। আসলে মমতার কাছে জন্মদিনটি ও অন্যদিনের মতোই।
পুনশ্চঃ তৃণমূলের লোগোতে যে ঘাসফুলটি আঁকা সেটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই সৃষ্টি।
কি লিখেছেন মোদি? মোদি তার প্রিয় দিদির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। যেমন প্রত্যেককে মমতা পাল্টা কৃতজ্ঞতার বার্তা দিয়েছেন, তেমনই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকেও। বুধবার সারাদিন শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যাওয়ার পর মমতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সাফল্যই তার সাফল্য। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে এক উচ্চতায় দেখতে চান। হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটের ছোট্ট বাড়িতেই নিভৃতবাসে বুধবার সারাটাদিন কাটালেন মমতা। সহকর্মী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর কেবিনেট মিটিংয়ে তার সঙ্গে সময় কাটানো মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে চলে যান। তবে একাকী থাকলেও হটলাইনে এবং নিজের আইফোনের মাধ্যমে মন্ত্রী ও অফিসারদের সঙ্গে চব্বিশ ঘণ্টা যোগাযোগ রাখছেন মমতা। জন্মদিনের দিনটিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করেন তিনি।এক আইএএস অফিসার এর কথায়- রিয়েল 24x7। রাতে ঘুমোনোর কয়েক ঘণ্টা বাদ দিয়ে সবসময় তৎপর মমতা। গভীর রাতে মন্ত্রী কিংবা অফিসারদের কাছে ফোন যাওয়া নিত্যাদিনের ঘটনা। মমতা জমানায় ফোন সুইচড অফ করেন না কোনো মন্ত্রী কিংবা অফিসার। প্রায় ৬৭ বছর বয়স হতে চললো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, কিন্তু এখনো তিনি স্বাবলম্বী। নিজের জামাকাপড় নিজেই কাচেন, নিজের হাতেই ইস্ত্রি করেন। অনাড়ম্বর জীবন তার। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রথমদিকে একটি ব্যাগ নিজের সঙ্গে রাখতেন। ব্যাগটির নাম তিনি দিয়েছিলেন জঙ্গলমহল। এই ব্যাগে নিজের টুকিটাকি জিনিসের সঙ্গে রাখতেন চকোলেটবার। চকোলেট খেতে একসময় খুব ভালোবাসতেন। প্রিয় খাবার চপ মুড়ি কিংবা মুড়ি চানাচুর। রাতে মাছের ঝোল ভাত কিংবা রুটি হলেই তার চলে যায়। কালীপুজোর রাতে ভোগ রাঁধেন নিজের হাতে। এবার কালীপুজোর রাতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু সব রুটিন ওলোটপালোট করে দেয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জীবনে কি অবসর বলে কিছু নেই? কাজের মাঝেই অবসর খুঁজে নেন মমতা। নবান্নে তাঁর আন্টি চেম্বারে একটি ইজেল বসানো আছে। ইচ্ছা হলে সেখানে ছবি আঁকেন। বাড়িতে থাকলে লেখালেখি করেন। জন্মদিনেও লিখেছেন, ছবি এঁকেছেন। আসলে মমতার কাছে জন্মদিনটি ও অন্যদিনের মতোই।
পুনশ্চঃ তৃণমূলের লোগোতে যে ঘাসফুলটি আঁকা সেটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই সৃষ্টি।