শেষের পাতা
শীতে বেড়েছে রোগবালাই হাসপাতালে ভিড়
স্টাফ রিপোর্টার
২২ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ৯:১৯ অপরাহ্ন
শীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা কমেছে। কোনো কোনো অঞ্চলে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। বাড়ছে ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, চর্মরোগসহ শীতকালীন নানা রোগ। ফলে হাসপাতালে ভিড় বেড়েছে রোগীদের।
গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মেডিসিন বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড় ছিল। ৪টি রুমে একাধিক ডাক্তার দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। রোগী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাধারণত যেসব রোগ দেখা দেয়, সেসব রোগীই তুলনামূলকভাবে বেশি। ঠাণ্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা শীতের কারণে বেড়েছে দ্বিগুণ। শীতের কারণে সকাল ৮টার দিকে রোগীর সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখানে চিকিৎসার জন্য ফেনী থেকে আসা ৬৩ বছর বয়সী আবুল বাশার বলেন, কয়েকদিন ধরে কাশি হচ্ছে। রাতে ঘুমাইতে পারি না। নাক দিয়েও পানি পড়ে। এ কারণে ডাক্তারের কাছে এসেছি, দেখি তারা কী বলেন। ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন হালিমা বেগম। শীত আসলেই সমস্যাটা তার বেড়ে যায়। ডাক্তার দেখানো ছাড়া উপায় থাকে না। স্বামীর সঙ্গে এসেছেন তিনি। সমস্যার কথা তুলে ধরে বর্ষা বলেন, পানিতে হাত দিলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তার ওপর এখন শীতও বেড়ে গেছে। তাই গত কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডাটা একটু বেশি লেগেছে। আর কমছে না। ওষুধ খেলাম, ভালো হয়নি। এজন্য এখানে ভালো ডাক্তার দেখাতে আসলাম। শীতের মৌসুমে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন প্রায় সব বয়সী মানুষই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী আসলেও এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ জনের মতো। ঢাকার শিশু হাসপাতালেও রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ।
শীতজনিত রোগ সম্পর্কে বহির্বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. জুলিয়া আঞ্জুমান লাকী বলেন, শীতের কারণে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমার রোগী বেড়ে গেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বায়ু দূষণসহ অসচেতনার ফলেই এসব রোগ বেড়ে যায়। এ ধরনের রোগের সংক্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ হিসেবে ডা. লাকী বলেন, প্রথমতো সচেতনতা দরকার। এ ছাড়া প্রাচীন যে পদ্ধতি যেমন গরম চা, আদা এসব খাওয়াও বেশ ভালো। সেই সঙ্গে ধূমপান না করা, মাস্ক পরাসহ ঠাণ্ডা লাগতে পারে এমন কিছু এড়িয়ে চললে এ ধরনের রোগী হ্রাস পাবে।
গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মেডিসিন বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড় ছিল। ৪টি রুমে একাধিক ডাক্তার দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। রোগী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাধারণত যেসব রোগ দেখা দেয়, সেসব রোগীই তুলনামূলকভাবে বেশি। ঠাণ্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা শীতের কারণে বেড়েছে দ্বিগুণ। শীতের কারণে সকাল ৮টার দিকে রোগীর সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখানে চিকিৎসার জন্য ফেনী থেকে আসা ৬৩ বছর বয়সী আবুল বাশার বলেন, কয়েকদিন ধরে কাশি হচ্ছে। রাতে ঘুমাইতে পারি না। নাক দিয়েও পানি পড়ে। এ কারণে ডাক্তারের কাছে এসেছি, দেখি তারা কী বলেন। ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন হালিমা বেগম। শীত আসলেই সমস্যাটা তার বেড়ে যায়। ডাক্তার দেখানো ছাড়া উপায় থাকে না। স্বামীর সঙ্গে এসেছেন তিনি। সমস্যার কথা তুলে ধরে বর্ষা বলেন, পানিতে হাত দিলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তার ওপর এখন শীতও বেড়ে গেছে। তাই গত কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডাটা একটু বেশি লেগেছে। আর কমছে না। ওষুধ খেলাম, ভালো হয়নি। এজন্য এখানে ভালো ডাক্তার দেখাতে আসলাম। শীতের মৌসুমে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন প্রায় সব বয়সী মানুষই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী আসলেও এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ জনের মতো। ঢাকার শিশু হাসপাতালেও রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ।
শীতজনিত রোগ সম্পর্কে বহির্বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. জুলিয়া আঞ্জুমান লাকী বলেন, শীতের কারণে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমার রোগী বেড়ে গেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বায়ু দূষণসহ অসচেতনার ফলেই এসব রোগ বেড়ে যায়। এ ধরনের রোগের সংক্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ হিসেবে ডা. লাকী বলেন, প্রথমতো সচেতনতা দরকার। এ ছাড়া প্রাচীন যে পদ্ধতি যেমন গরম চা, আদা এসব খাওয়াও বেশ ভালো। সেই সঙ্গে ধূমপান না করা, মাস্ক পরাসহ ঠাণ্ডা লাগতে পারে এমন কিছু এড়িয়ে চললে এ ধরনের রোগী হ্রাস পাবে।