বাংলারজমিন
সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা, ঘাতক আটক
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২০২১-১২-১৯
চট্টগ্রাম নগরীতে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জড়িত থাকার সন্দেহে আবু তাহের নামে এক সিকিউরিটি সুপারভাইজারকে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার নোয়াখলীর কিল্লারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার আব্দুল জলিল পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া থানার তহির উদ্দীনের ছেলে। আর নিহত আবু তাহের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী থানার কলমতলী ইউনিয়নের মৃত শামছুদ্দিনের পুত্র। পুলিশ জানিয়েছে, জলিলের সঙ্গে তার স্ত্রী রওশন আরার দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। একপর্যায়ে তাদের তালাক হয়ে যায়। এরপর আব্দুল জলিল নোয়াখালী চলে যায়। আর স্ত্রী রওশন ১২ বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে স্টিল মিল এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে সে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুড়ি বিক্রি করতো। রওশন আরার পাশের বাসায় কর্ণফুলী ইপিজেডের এএইচকেডি গার্মেন্টেস এর সিকিউরিটি সুপারভাইজার তাহের থাকতেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে রওশন আরাকে নানাভাবে সহযোগিতা করতেন। যা নিয়ে জলিলের সন্দেহ ছিল।
জানা যায়, তালাক হয়ে যাওয়ার পরও জলিল পুনরায় রওশন আরার সঙ্গে সংসার করতে চেয়েছিলেন। গত ৯ই ডিসেম্বর জলিল চট্টগ্রামে এসে রওশন আরার মামীর বাসায় ওঠেন। ১৪ই ডিসেম্বর রওশন আরার বাসায় গিয়েছিলেন। পরদিন সকালে জলিল বাসা থেকে বের হওয়ার পর রওশন তার ১২ বছর বয়েসী ছেলেকে নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যায়। জলিল বাসায় এসে স্ত্রী-সন্তানকে না দেখে ধারণা করেন যে তার স্ত্রী-সন্তানকে তাহের লুকিয়ে রেখেছে। ওই সন্দেহ থেকেই বৃহস্পতিবার স্টিল মিল এলাকায় জলিল তার স্ত্রীর মামাতো ভাই ও মামাতো বোনের স্বামীকে নিয়ে তাহেরকে বাসা থেকে ডেকে বাইরে এনে মারধর করেন। তাহেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যায়। এ ঘটনায় তাহেরের মেয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। যদিও ততক্ষণে মুত্যুর খবর পেয়ে জলিল চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন মানবজমিনকে বলেন, আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি খুন হওয়ার পর তার মেয়ে রাজিয়া সুলতানা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে নোয়াখালীর কিল্লার হাট এলাকা থেকে জলিলকে আটক করা হয়েছে। আব্দুল জলিলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আব্দুল জলিল পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া থানার তহির উদ্দীনের ছেলে। আর নিহত আবু তাহের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী থানার কলমতলী ইউনিয়নের মৃত শামছুদ্দিনের পুত্র। পুলিশ জানিয়েছে, জলিলের সঙ্গে তার স্ত্রী রওশন আরার দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। একপর্যায়ে তাদের তালাক হয়ে যায়। এরপর আব্দুল জলিল নোয়াখালী চলে যায়। আর স্ত্রী রওশন ১২ বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে স্টিল মিল এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে সে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুড়ি বিক্রি করতো। রওশন আরার পাশের বাসায় কর্ণফুলী ইপিজেডের এএইচকেডি গার্মেন্টেস এর সিকিউরিটি সুপারভাইজার তাহের থাকতেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে রওশন আরাকে নানাভাবে সহযোগিতা করতেন। যা নিয়ে জলিলের সন্দেহ ছিল।
জানা যায়, তালাক হয়ে যাওয়ার পরও জলিল পুনরায় রওশন আরার সঙ্গে সংসার করতে চেয়েছিলেন। গত ৯ই ডিসেম্বর জলিল চট্টগ্রামে এসে রওশন আরার মামীর বাসায় ওঠেন। ১৪ই ডিসেম্বর রওশন আরার বাসায় গিয়েছিলেন। পরদিন সকালে জলিল বাসা থেকে বের হওয়ার পর রওশন তার ১২ বছর বয়েসী ছেলেকে নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যায়। জলিল বাসায় এসে স্ত্রী-সন্তানকে না দেখে ধারণা করেন যে তার স্ত্রী-সন্তানকে তাহের লুকিয়ে রেখেছে। ওই সন্দেহ থেকেই বৃহস্পতিবার স্টিল মিল এলাকায় জলিল তার স্ত্রীর মামাতো ভাই ও মামাতো বোনের স্বামীকে নিয়ে তাহেরকে বাসা থেকে ডেকে বাইরে এনে মারধর করেন। তাহেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যায়। এ ঘটনায় তাহেরের মেয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। যদিও ততক্ষণে মুত্যুর খবর পেয়ে জলিল চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন মানবজমিনকে বলেন, আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি খুন হওয়ার পর তার মেয়ে রাজিয়া সুলতানা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে নোয়াখালীর কিল্লার হাট এলাকা থেকে জলিলকে আটক করা হয়েছে। আব্দুল জলিলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।