শরীর ও মন

মাত্র ১০ মিনিট দৌড়ে বাড়িয়ে তুলুন মস্তিষ্কের কার্যক্রম

মানবজমিন ডিজিটাল

৯ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৪:৪৪ অপরাহ্ন

১০ মিনিটের মতো মাঝারি দৌড় আপনার মেজাজ এবং মস্তিষ্কের ফাংশনকে বাড়িয়ে তুলতে কার্যকরী।এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় ব্যায়াম কীভাবে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। সম্প্রতি এক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে।
গবেষণায় বিশেষ করে, প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স (পিএফসি) যা মস্তিষ্কের কার্যনির্বাহ করে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে সেই অংশের পরীক্ষা করা হয়েছে। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন , দৌড়ানোর ফলে এই অঞ্চলে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। দৌড়ানো এমন একটি জিনিস যা করা আমাদের অনেকের কাছে তুলনামূলকভাবে সহজ। দৌড়তে কোনও বিশেষ সরঞ্জাম বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়ে না। দৌড়ানোর জেরে আমাদের মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পায়। জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়নবিদ হিদাকি সোয়া বলেছেন, দৌড়ানোর সময়ে দেহের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি দেহের চালিকা শক্তিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য মস্তিস্ক থেকে নির্দেশ আসে , এর জেরে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সে নিউরোনাল অ্যাক্টিভেশন বৃদ্ধি পায়। ফলে গোটা মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে। আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে ব্যায়াম মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যকে অনেক উপায়ে বাড়িয়ে তুলতে পারে, কিন্তু যখন মানসিক সুস্থতার কথা আসে, তখন সাইকেল চালানোর মতো অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপের তুলনায় দৌড়ানোর নির্দিষ্ট সুবিধাগুলির তুলনামূলকভাবে এর আগে খুব কম বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন দৌড়ানো সেই আদিম যুগ থেকে চলে আসছে , সেখানে সাইকেল তো কয়েক প্রজন্ম ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে। দৌড়ানো এমন একটি কার্যকলাপ যা পুরো দেহকে শারীরিকভাবে জড়িত করে। মোট ২৬ জন অংশগ্রহণকারীকে বিশ্রামের পর এবং ১০ মিনিট দৌড়ানোর পরে পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষাটি স্ট্রুপ কালার-ওয়ার্ড টেস্ট হিসাবে পরিচিত। এই পরীক্ষাটি মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়ার সময় পরিমাপ করে। অনুশীলনের পরে, অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন দৌড়ানোর পর তাদের মেজাজ আগের থেকে অনেক বেশি ফুরফুরে লাগছিল। নিয়ার-ইনফ্রারেড স্পেকট্রোস্কোপি (fNIRS) নামক একটি কৌশল ব্যবহার করে দেখা গেছে দৌড়ানোর পর অংশগ্রহণকারীদের দেহে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চোরফাকা দামরোংথাই বলেছেন, এর থেকেই প্রমাণিত হয় মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল কর্টিকাল অঞ্চল কাকতালীয়ভাবে আমাদের মেজাজকেও নিয়ন্ত্রণ করে। প্রিফ্রন্টাল কর্টিকাল অঞ্চল বা PFC-এর অনেকগুলি কাজই মানুষের জন্য অনন্য এবং অন্যান্য প্রাণীর মস্তিষ্কে পাওয়া যায় না। এর দ্বারাও আরেকটি বিষয়ও বোঝা যায় তা হল খুব বেশি ব্যায়াম না করে দৌড়ানোর অভ্যাস থাকলেই অনেকটা সুস্থ থাকা যায়। মানসিক স্বাস্থ্য , হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে দৌড়ানো। বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম বিভিন্ন ধরনের ওষুধের মতো, কিন্তু আমরা যদি দৌড়ানোর প্রভাব সম্পর্কে আরও জানি তাহলে এটিও থেরাপি হিসেবে আগামীদিনে ব্যবহার করা যাবে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

সূত্র : sciencealert.com
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status