ভারত
বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পেছনে দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
৯ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
দেশজুড়ে বিশেষ করে উত্তর পূর্বাঞ্চলে জঙ্গি, বিদ্রোহী গোষ্ঠী দমনে তার ছিল নিরলস চেষ্টা। লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশে চীনা অনুপ্রবেশ তিনি কখনও মেনে নেননি। দাঁতের বদলে দাঁত, চোখের বদলে চোখ নেওয়ার নীতি ছিল প্রয়াত চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের। তাই বুধবার দুপুরে তাঁর বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে ভারতজুড়ে প্রশ্ন উঠে গেছে, এ কি নিছকই দুর্ঘটনা? নাকি এর পেছনে আছে অন্তর্ঘাত? পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলার নির্মম ষড়যন্ত্র? বুধবার সকালে স্ত্রী মধুলিকাকে নিয়ে বিপিন রাওয়াত দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে পৌঁছান স্যালুর এয়ারবেসে এগারোটা পঁয়তিরিশ নাগাদ।
সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছিল রাশিয়ান এম আই ১৭ ভি একটি চপার। ভিভিআইপি মুভমেন্ট এর জন্য বিশেষভাবে নির্মিত এবং সুরক্ষার সব ব্যবস্থা সম্বলিত। এগারোটা পঞ্চাশ নাগাদ চপারটি আকাশে ওড়ে। বিপিন রাওয়াতের সঙ্গী ছিলেন মধুলিকা ও বারো সঙ্গী অফিসার ও কমান্ডো। প্রত্যক্ষদর্শী শিবকুমারের বর্ণনা অনুযায়ী চপারটিকে দ্রুত নামতে দেখা যায়। দুশো মিটার ওপরে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে চপারটিতে আগুন লাগে ও জ্বলতে জ্বলতে সেটি মাটিতে ভুপাতিত হয়।
শিবকুমার প্রথম ছুটে যান ঘটনাস্থলে। দেখেন বারো তেরো জনের দগ্ধ দেহ পড়ে আছে ঘটনাস্থলে । ঘড়িতে তখন বারোটা কুড়ি। এখানেই যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, দুর্ঘটনায় চপারে আগুন লেগেছিল নাকি আগুন লেগে চপারটি ভুপাতিত হয়? বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে, এই প্রশ্নের জবাবের ওপরই আসল রহস্য দাঁড়িয়ে আছে। মেঘলা আকাশে পুওর ভিজিবিলিটির কথা যাঁরা তুলছেন তাঁদের বিরুদ্ধে বক্তব্য যে চপার ওড়ানোর অভিজ্ঞ পাইলট পৃথিপাল চৌহান যদি মনে করতেন যে দৃষ্টিবিভ্রম হতে, তাহলে তিনি ককপিট-এ বসতেনই না প্রায় আধঘন্টা ওড়ার পরে, ওয়েলিংটন-এ ডিফেন্স স্টাফ কলেজের কুড়ি মিনিট দূরত্বে ঘটা এই দুর্ঘটনা তাই বহু প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
চপার আরোহী চোদ্দজনের মধ্যে একমাত্র বেঁচে ফেরা গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুন সিং ওয়েলিংটন এর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। তিনি বাঁচলে এবং এয়ারফোর্সের তদন্তে কি রহস্যের পর্দা ফাঁস হবে? সময়ই একমাত্র এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে ।
সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছিল রাশিয়ান এম আই ১৭ ভি একটি চপার। ভিভিআইপি মুভমেন্ট এর জন্য বিশেষভাবে নির্মিত এবং সুরক্ষার সব ব্যবস্থা সম্বলিত। এগারোটা পঞ্চাশ নাগাদ চপারটি আকাশে ওড়ে। বিপিন রাওয়াতের সঙ্গী ছিলেন মধুলিকা ও বারো সঙ্গী অফিসার ও কমান্ডো। প্রত্যক্ষদর্শী শিবকুমারের বর্ণনা অনুযায়ী চপারটিকে দ্রুত নামতে দেখা যায়। দুশো মিটার ওপরে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে চপারটিতে আগুন লাগে ও জ্বলতে জ্বলতে সেটি মাটিতে ভুপাতিত হয়।
শিবকুমার প্রথম ছুটে যান ঘটনাস্থলে। দেখেন বারো তেরো জনের দগ্ধ দেহ পড়ে আছে ঘটনাস্থলে । ঘড়িতে তখন বারোটা কুড়ি। এখানেই যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, দুর্ঘটনায় চপারে আগুন লেগেছিল নাকি আগুন লেগে চপারটি ভুপাতিত হয়? বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে, এই প্রশ্নের জবাবের ওপরই আসল রহস্য দাঁড়িয়ে আছে। মেঘলা আকাশে পুওর ভিজিবিলিটির কথা যাঁরা তুলছেন তাঁদের বিরুদ্ধে বক্তব্য যে চপার ওড়ানোর অভিজ্ঞ পাইলট পৃথিপাল চৌহান যদি মনে করতেন যে দৃষ্টিবিভ্রম হতে, তাহলে তিনি ককপিট-এ বসতেনই না প্রায় আধঘন্টা ওড়ার পরে, ওয়েলিংটন-এ ডিফেন্স স্টাফ কলেজের কুড়ি মিনিট দূরত্বে ঘটা এই দুর্ঘটনা তাই বহু প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
চপার আরোহী চোদ্দজনের মধ্যে একমাত্র বেঁচে ফেরা গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুন সিং ওয়েলিংটন এর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। তিনি বাঁচলে এবং এয়ারফোর্সের তদন্তে কি রহস্যের পর্দা ফাঁস হবে? সময়ই একমাত্র এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে ।