খেলা
জবাব খুঁজে পাচ্ছেন না সুজন
স্পোর্টস রিপোর্টার
৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ৯:১৯ অপরাহ্ন
পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩০০ রান। সেখানে বাংলাদেশ ৭৬ রানে হারিয়েছে ৭ উইকেট। টাইগারদের ব্যাটিংয়ে তাড়াহুড়ো দেখে মনে হয়েছে টেস্ট নয় ওয়ানডে ম্যাচে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছে। এমন ব্যাটিং দেখে হয়তো অবাক হয়েছে প্রতিপক্ষও। আর টাইগারদের নবনিযুক্ত টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন তো এমন ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখে কোনো জবাবই খুঁজে পাচ্ছেন না! তিনি বলেন, ‘আমি উপর থেকে খেলা দেখেছি। কেন এমন হলো জানি না। অধৈর্য ব্যাপারটা ছিল, টেস্ট ব্যাটিং বলতে যা বুঝায় সেরকম তো ব্যাটিং করিনি আমরা। কেন এই ব্যাপারটা হচ্ছে সেটা চিন্তার বিষয়। উইকেটে স্পিন হচ্ছিল এবং ওরা ভালো স্পিনও করেছে কিন্তু আমরা তো কোয়ালিটি স্পিন খেলার সামর্থ্য আমাদের আছে। হয়নি কেন বা এত তাড়াহুড়ো কেন সেটা জানি না, আমরা তো জানি যে আজ সারাদিন ব্যাটিং করার ছিল, কালকের দিনটায় টেস্ট শেষ হবে। চারটা-সাড়ে চারটা সেশন হয়তো বা। পাকিস্তান যেভাবে ব্যাটিং করেছে, বিশেষ করে আজহার আলি যেভাবে লম্বা সময় ব্যাট করলো সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত ছিল।’
দলে সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল নেই ইনজুরির কারণে। সুস্থ থাকলেও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। অভিজ্ঞ অধিনায়ক মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহীম যারা নেই ছন্দে। স্পিনার তাইজুল ইসলাম একা বল হাতে লড়াই করছেন দলের হয়ে। পেসারদের বেহাল দশা। এমন একটি দল নিয়ে ৯ই ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে খেলবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রশ্ন উঠেছে সেই সিরিজে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কতটা আশা করা যায় তা নিয়েও। এ বিষয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমি নেতিবাচক কিছু বলবো না। কারণ নিউজিল্যান্ডে তো অনেকবারই বাংলাদেশ খেলেছে। অতীত দেখলে কোনোটাতেই আমরা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারিনি। আর শুধু বাংলাদেশ না, এশিয়ার যেকোনো দলের জন্যই নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন কঠিন হয়। কিন্তু এটা অজুহাত না, আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। প্রথম টেস্টে হারলেও আমরা কিছু জায়গায় ভুল করেছি দ্বিতীয় ইনিংসে ফেল করেছি। আর দলটাকেও যদি দেখেন বড়রা নেই, তরুণরা আছে। তো টেস্টকে টেস্ট বলে কেন? এটা তো ধৈর্যের খেলা। এখানে ধৈর্যটা দেখাতে হবে। নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন কঠিন হবে আমি নিজেও তা স্বীকার করছি। তারপরও যতটুকু গুছিয়ে আমরা ভালো করতে পারি, দলে নতুন ছেলেরা আসছে। পরিবর্তনের সময় চলছে। সবমিলিয়ে গুছিয়ে ভালো করার চেষ্টা করবো।’
ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের টেস্টে বড় দুর্বলতার নাম পেস বোলিং। এনিয়ে হতাশার গল্প শেষই হচ্ছে না। কবে টেস্ট সামর্থ্য সম্পন্ন টেস্ট বোলার পাবে টাইগাররা এ নিয়ে চিন্তার বিষয় বিসিবির সামনে। টেস্ট বোলার নিয়ে সুজন থাকলে আরও একবার জবাবহীন। উপরওয়ালার হাতেই ছেড়ে দিলেন। তিনি বলেন, ‘এটা (ভালো পেস বোলার) যেদিন আল্লাহ দেয়। এ ছাড়া আর কি বলবো। প্রচুর অনুশীলন করে, ৬ ফিট লম্বা, ১৪০ গতিতে বল করে কিন্তু কোচ তো কাউকে গুলিয়ে খাইয়ে দিতে পারবে না। এটা কমন সেন্সের বিষয়। কোচরা অনুশীলন করায় কিন্তু খাইতে তো হবে আপনার। চিবাইতে তো হবে আপনার। আপনি যদি চিবাইতে না পারেন তাহলে কি হবে! মাশরাফি কীভাবে উইকেট পেয়েছে? তাপস বৈশ্য কীভাবে উইকেট পেতো? তখন তো আমরা আরও পারতাম না, আরও জানতাম না। এখন তো আমাদের বোলিং কোচ আলাদা, এই কোচ, ঐ কোচ আলাদা। এটা বোলিং কোচের কাছে প্রশ্ন করলে ভালো হতো। বোলারদের ভুলটা হলো কমন সেন্স। এই উইকেটে কীভাবে বল করতে হবে, উইকেটে বল ধরছিল কিন্তু এরপরও আমরা পিছে বল করেছি। এটাতো বোলিং কোচ উত্তর দিবে। বোলিং কোচের প্ল্যান যদি প্রয়োগ করতে না পারে তাহলে কোচকে জিজ্ঞেস করবে। ওদের শক্তির জায়গা কোনটা দুর্বল জায়গা কোনটা তারা জানবে। আমি একটা ম্যাচের কথা বলি জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও ম্যাথু হেইডেন ব্যাট করছিলেন, অস্ট্রেলিয়াতে, আমি তখন অধিনায়ক। ডেভ হোয়াটমোর প্ল্যান দিয়েছে আমাদের যেন ওদের শক্তির জায়গায় বল না করি, এজন্য আমরা বাইরে বাইরে বল করে গেছি। আমার কথা হলো আমি জোরে বল করি স্কিল একটা ভিন্ন জিনিস।’
দলে সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল নেই ইনজুরির কারণে। সুস্থ থাকলেও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। অভিজ্ঞ অধিনায়ক মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহীম যারা নেই ছন্দে। স্পিনার তাইজুল ইসলাম একা বল হাতে লড়াই করছেন দলের হয়ে। পেসারদের বেহাল দশা। এমন একটি দল নিয়ে ৯ই ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে খেলবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রশ্ন উঠেছে সেই সিরিজে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কতটা আশা করা যায় তা নিয়েও। এ বিষয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমি নেতিবাচক কিছু বলবো না। কারণ নিউজিল্যান্ডে তো অনেকবারই বাংলাদেশ খেলেছে। অতীত দেখলে কোনোটাতেই আমরা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারিনি। আর শুধু বাংলাদেশ না, এশিয়ার যেকোনো দলের জন্যই নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন কঠিন হয়। কিন্তু এটা অজুহাত না, আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। প্রথম টেস্টে হারলেও আমরা কিছু জায়গায় ভুল করেছি দ্বিতীয় ইনিংসে ফেল করেছি। আর দলটাকেও যদি দেখেন বড়রা নেই, তরুণরা আছে। তো টেস্টকে টেস্ট বলে কেন? এটা তো ধৈর্যের খেলা। এখানে ধৈর্যটা দেখাতে হবে। নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন কঠিন হবে আমি নিজেও তা স্বীকার করছি। তারপরও যতটুকু গুছিয়ে আমরা ভালো করতে পারি, দলে নতুন ছেলেরা আসছে। পরিবর্তনের সময় চলছে। সবমিলিয়ে গুছিয়ে ভালো করার চেষ্টা করবো।’
ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের টেস্টে বড় দুর্বলতার নাম পেস বোলিং। এনিয়ে হতাশার গল্প শেষই হচ্ছে না। কবে টেস্ট সামর্থ্য সম্পন্ন টেস্ট বোলার পাবে টাইগাররা এ নিয়ে চিন্তার বিষয় বিসিবির সামনে। টেস্ট বোলার নিয়ে সুজন থাকলে আরও একবার জবাবহীন। উপরওয়ালার হাতেই ছেড়ে দিলেন। তিনি বলেন, ‘এটা (ভালো পেস বোলার) যেদিন আল্লাহ দেয়। এ ছাড়া আর কি বলবো। প্রচুর অনুশীলন করে, ৬ ফিট লম্বা, ১৪০ গতিতে বল করে কিন্তু কোচ তো কাউকে গুলিয়ে খাইয়ে দিতে পারবে না। এটা কমন সেন্সের বিষয়। কোচরা অনুশীলন করায় কিন্তু খাইতে তো হবে আপনার। চিবাইতে তো হবে আপনার। আপনি যদি চিবাইতে না পারেন তাহলে কি হবে! মাশরাফি কীভাবে উইকেট পেয়েছে? তাপস বৈশ্য কীভাবে উইকেট পেতো? তখন তো আমরা আরও পারতাম না, আরও জানতাম না। এখন তো আমাদের বোলিং কোচ আলাদা, এই কোচ, ঐ কোচ আলাদা। এটা বোলিং কোচের কাছে প্রশ্ন করলে ভালো হতো। বোলারদের ভুলটা হলো কমন সেন্স। এই উইকেটে কীভাবে বল করতে হবে, উইকেটে বল ধরছিল কিন্তু এরপরও আমরা পিছে বল করেছি। এটাতো বোলিং কোচ উত্তর দিবে। বোলিং কোচের প্ল্যান যদি প্রয়োগ করতে না পারে তাহলে কোচকে জিজ্ঞেস করবে। ওদের শক্তির জায়গা কোনটা দুর্বল জায়গা কোনটা তারা জানবে। আমি একটা ম্যাচের কথা বলি জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও ম্যাথু হেইডেন ব্যাট করছিলেন, অস্ট্রেলিয়াতে, আমি তখন অধিনায়ক। ডেভ হোয়াটমোর প্ল্যান দিয়েছে আমাদের যেন ওদের শক্তির জায়গায় বল না করি, এজন্য আমরা বাইরে বাইরে বল করে গেছি। আমার কথা হলো আমি জোরে বল করি স্কিল একটা ভিন্ন জিনিস।’